রংপুরের ভোট ও ইসির মাছ ধরা
রংপুর-৩ উপনির্বাচনে ভোট পড়েছে ২২ শতাংশেরও কম এবং এখানে জয়ী হয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের ছেলে রাহগীর আল মাহী ওরফে সাদ এরশাদ। এরশাদের মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়েছিল।
ন্যূনতম কত শতাংশ ভোট পড়তে হবে, সে বিষয়ে কোনো নির্দেশনা সংবিধান বা নির্বাচনি আইনে (আরপিও) নেই। সুতরাং ২২ শতাংশ মানুষের অর্ধেকের কিছু বেশি, অর্থাৎ ৪ লাখ ৪১ হাজার ভোটারের মধ্যে মাত্র ৫৮ হাজার ৮০০ মানুষ মি. সাদকে ভোট দিয়েছেন এবং তাতেই তিনি সংসদ সদস্য তথা আইনপ্রণেতা হয়ে গেলেন, তাতে সংবিধান বা আইন তাকে বাধা দিচ্ছে না।
বিষয়টিকে উল্টো করে দেখলে রংপুর-৩ উপনির্বাচনে ৭৮ শতাংশ ভোটার ভোট দেননি, মানে তারা ভোট প্রত্যাখ্যান করেছেন। আর যিনি নির্বাচিত হলেন তাকে সমর্থন দিয়েছেন মাত্র ১২ বা ১৩ শতাংশ মানুষ, অর্থাৎ বাকি ৮৭ শতাংশ মানুষের সমর্থন তার পক্ষে নেই; এভাবে বিশ্লেষণ করলেও সেটি বোধ হয় অন্যায় হবে না।
যদি সংবিধান বা আরপিওতে এরকম বিধান থাকত যে, ন্যূনতম ৫০ শতাংশ ভোট না পড়লে সেই ভোট বাতিল হবে এবং পুনরায় ভোট হবে, তাহলে প্রার্থী ও নির্বাচন কমিশনের ওপরে একটা বাড়তি চাপ তৈরি হতো এবং ভোটারের উপস্থিতি বাড়াতে তারা কিছু কৌশল তৈরি করতেন। মানুষ কেন ভোট দিতে এলেন না বা নাগরিকরা কেন ভোট থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন, সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখার অবকাশ তৈরি হতো। কিন্তু এখন যেহেতু মাত্র ১২-১৩ শতাংশ মানুষের সমর্থন নিয়েও আইনপ্রণেতা হওয়া যাচ্ছে, সুতরাং কে ভোট দিতে এলেন আর কে এলেন না, তা নিয়ে বোধ করি প্রার্থী এবং ইসি—কারোরই মাথাব্যথা নেই। বরং গেজেট হয়ে গেলেই তিনি এমপি এবং গাড়িতে জাতীয় পতাকা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা। সুতরাং কত শতাংশ মানুষ তাকে ম্যান্ডেট দিলেন আর কত শতাংশ প্রত্যাখ্যান করলেন, সেই বিবেচনার অবকাশ নেই।
শনিবার একটি অনলাইন নিউজপোর্টালের সংবাদ শিরোনাম ছিল, “ভোটার খুঁজতে খুঁজতেই শেষ রংপুরের ভোট।” নির্বাচন চলাকালীন ফেসবুকে ঢাকার একজন সাংবাদিক লিখেছেন, “টিসিবির পেঁয়াজ কিনতে লম্বা লাইন, অথচ রংপুরে ভোটারের কোনও লাইন নেই।” রংপুরে কর্মরত আরেক সাংবাদিকের পোস্ট, “আশায় গুড়েবালি, শেষ সময়েও দল বেঁধে কেন্দ্রে এল না সোনার হরিণ ভোটাররা।’
সংসদ নির্বাচন হওয়া সত্ত্বেও ভোটারদের এই কেন্দ্রবিমুখতায় নির্বাচন কমিশনও ছিল নির্ভার। যে কারণে আরেকটি অনলাইন নিউজপোর্টাল তাদের সংবাদ শিরোনাম করে, “ভোটে উত্তাপ নেই, মাছ শিকারে ইসি।” এই খবরে বলা হয়, “বিকেল তিনটা-সোয়া তিনটার দিকে নির্বাচন ভবন থেকে নেমে আসেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদা, নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, ইসি সচিব মো. আলমগীর, অতিরিক্ত সচিব মো. মোখলেছুর রহমানসহ অনেকে। ইসির লেকে বড়শি ফেলেই প্রথমে টোপ খাইয়ে মাছ তুলে আনেন সিইসি।” উল্লেখ্য, রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবন ও নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মাঝে একটা লেক তৈরি করা হয়েছে, যেখানে দেশি-বিদেশি নানা প্রজাতির মাছ চাষ করছে ইসি। রংপুরে যখন ভোট চলছিল তখন এই লেকে মাছ শিকারে নামেন ইসির কর্তারা। অনেকটা “নেই কাজ তো খই ভাজ”-এর মতো পরিস্থিতি।
কথা হচ্ছে, খই ভাজার মতো দশা কেন তৈরি হলো? কেন ভোটাররা কেন্দ্রে এল না। সকাল ৯ টায় এখানে ভোট শুরু হয়ে শেষ হয় বিকেল ৫টায়। কিন্তু পুরো সময়ে কোনও কেন্দ্রে ভোটারের লম্বা লাইন চোখে পড়েনি। মানুষ কি তাহলে ভোটে আগ্রহ হারাচ্ছে? যদি তাই হয়, তাহলে কেন এই অনাগ্রহ তৈরি হলো—নির্বাচন কমিশনের মাছ শিকার বন্ধ করে এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজায় মনোনিবেশ করা উচিত।
শনিবার দিনভর গণমাধ্যমে যেসব খবর এসেছে, তাতে দেখা গেছে কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল না। কোনও কোনও কেন্দ্রে কিছুক্ষণ পরপর দুয়েকজন করে ভোটার দেখা গেলেও অনেক কেন্দ্রই ছিল ফাঁকা। ভোটারদের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তাদের। কেউ ভোট দিয়ে গেলে আবারও পরবর্তী ভোটারের জন্য অপেক্ষা করেছেন। ফলে একটি টেলিভিশন চ্যানেলে দুপুরের সংবাদ শিরোনাম ছিল: “কেন্দ্রে ভোটারের অপেক্ষায় ইসির কর্মকর্তারা।”
২.
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে ৫২ দশমিক ৩১ শতাংশ ভোট পড়েছিল। তখন জাতীয় পার্টির এইচ এম এরশাদ পেয়েছিলেন ১ লাখ ৪২ হাজার এবং বিএনপির রিটা রহমান ৫৩ হাজার ভোট। কিন্তু এরশাদের মৃত্যুর পর এই শূন্য আসনে উপনির্বাচনে ভোটের হার নেমে এল অর্ধেকেরও নিচে। এর কারণটা কী?
সম্ভবত মানুষের মনে এরকম একটা ধারণা বদ্ধমূল হয়েছে যে, যদি তিনি ভোট দিতে নাও যান, তাতেও কিছু যাবে আসবে না। কারণ ফলাফল যা হবার তাই হবে। এটি নির্বাচনি ব্যবস্থার উপরে নাগরিকদের অনাস্থারই বহিঃপ্রকাশ।
বিগত নির্বাচনগুলো, বিশেষ করে একাদশ জাতীয় নির্বাচন যেভাবে বিতর্কিত বা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে, সেটিও ভোটের ব্যাপারে মানুষের অনাগ্রহ তৈরিতে ভূমিকা রাখছে বলে ধারণা করা যায়। ১৯৯১ সালে অনুষ্ঠিত পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে দেশে যে নির্বাচনি ব্যবস্থা গড়ে উঠছিল, সাম্প্রতিক নির্বাচনে সেই ব্যবস্থাটি ভেঙে পড়েছে বলে দেশের মানুষ মনে করে। অথবা নির্বাচনি ব্যবস্থাটিকে সচেতনভাবেই খোঁড়া করে দেওয়া হয়েছে। ফলে নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচনি ব্যবস্থার প্রতি যদি মানুষের আস্থাহীনতা তৈরি হয়, তাহলে তারা ভোটকেন্দ্রে যেতে উৎসাহ বোধ করবে না, এটিই স্বাভাবিক।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ঢাকা উত্তর সিটির নির্বাচনেও এরকম ভোটারের উপস্থিতি ছিল অত্যন্ত কম এবং এর কারণ হিসেবে তখন প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক পার্টির মেয়র প্রার্থী শাহীন খান সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ভোটের উপরে মানুষের আস্থা নেই। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের আগের রাতেই ভোট হয়ে যাওয়ায় মানুষ ভোটের প্রতি আস্থা হারিয়েছে।
তবে অনেকে মনে করেন, রংপুর-৩ উপনির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল সরাসরি নির্বাচনে না থাকায় তাদের নেতাকর্মীরাও মাঠে ছিলেন না। ফলে নির্বাচনে যে উত্তাপ বা আমেজ থাকার কথা, সেটি ছিল সম্পূর্ণ অনুপস্থিত। আওয়ামী লীগ মহজোটের রাজনৈতিক কৌশলের অংশ হিসেবে এখানে শেষ মুহূর্তে তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেয় এবং জাতীয় পার্টির প্রার্থীকে সমর্থন দেয়। পক্ষান্তরে সংসদের বাইরে আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী মাঠে থাকলেও রংপুর যেহেতু এরশাদ ও জাতীয় পার্টির ঘাঁটি বলে পরিচিত, ফলে এখানে ‘কলাগাছ’ দাঁড়ালেও জয়ী হবে, এমন একটি ধারণা জনমনে বদ্ধমূল রয়েছে। ফলে বিএনপির মাঠে থাকা না থাকা ভোটের মাঠে খুব একটা প্রভাব ফেলেনি।
অনেকে রংপুর-৩ উপনির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার পেছনে আকেটি কারণকে দায়ী করছেন তা হলো, প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ছয় প্রার্থীর মধ্যে তিনজনই রংপুরের ভোটার নন। নির্বাচনী এলাকার ভোটার না হওয়ায় তারা ভোটও দিতে পারেননি। তারা হলেন, জাতীয় পার্টির রাহগির আল মাহি সাদ এরশাদ, অর্থাৎ যিনি এখানে জয়ী হলেন, তিনি এখানের ভোটারই নন। রংপুর-৩ আসনের ভোটার নন গণফ্রন্টের কাজী মো. শহীদুল্লাহ এবং ন্যাশনাল পিপলস পার্টির শফিউল আলমও। ফলে মানুষ যখন দেখে যে, যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তাদের অর্ধেকই ‘তাদের লোক’ নন, তখন সেই ভোটে মানুষের আগ্রহ কম থাকবে এটিই স্বাভাবিক।
স্মরণ করা যেতে পারে, জাতীয় পার্টি এই আসনে সাদ এরশাদকে মনোনয়ন দিল, তখন স্থানীয় জাতীয় পার্টির একটি বড় অংশ এর বিরোধিতা করেছে। তাদের দাবি ছিল স্থানীয় কোনো নেতাকে মনোনয়ন দেওয়া হোক। দলের স্থানীয় পর্যায়ের অনেক সিনিয়র নেতাও সাদ এরশাদের মনোনয়নকে মেনে নেননি। ফলে এটি ধারণা করাই সঙ্গত যে, শনিবার জাতীয় পার্টির অনেক ভোটারও ভোটকেন্দ্রে যাননি। কারণ তারা জানতেন, যেহেতু এখানে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কোনো প্রার্থী নেই এবং দলীয় মনোনয়ন পাওয়া সাদ এরশাদই জিতবেন, ফলে তারা ভোট দিতে উৎসাহ দেখাননি।
ভোট মানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা। নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ না হলে ভোটারের উপস্থিতি কম হবে এটিই স্বাভাবিক। রংপুরে ওই অর্থে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল না। তাছাড়া ভোটের ফলাফল কী হবে, তা ভোটাররা মোটামুটি আগেভাগেই জেনে গিয়েছেন।
ভোটের প্রতি মানুষের আগ্রহ হারানোর আরেকটি কারণ ভোট দিতে না পারা। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেড় শতাধিক আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। অথচ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হওয়াটা একধরনের “সিলেকশন”। কিন্তু আমাদের সংবিধানে বলা আছে প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচন হবে। ফলে কেউ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হলে সেটি এক অর্থে অসাংবিধানিক হলেও যেহেতু এ বিষয়ে সংবিধানে সুস্পষ্ট বিধান নেই যে, একাধিক প্রার্থী না থাকলে সেখানে ভোট হবে না, ফলে বিনা ভোটে জয়ী হয়েও প্রার্থীরা জনপ্রতিনিধি হয়ে যাচ্ছেন। এটিও আমাদের সংবিধান ও আইনের একটি বড় দুর্বলতা। এখন এই দুর্বলতা বা ক্ষতগুলো সারানোর সময় এসেছে।
৩.
রংপুর উপনির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা একটি গুরুত্বপূর্ণ তর্ক উসকে দিয়েছেন। তিনি বলছেন, ভোটার উপস্থিতি নয়, বরং নির্বাচনের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করাই তাদের দায়িত্ব। আসলে কি তাই? সামগ্রিকভাবে রংপুরে সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে। কোনো হানাহানি হয়নি। ব্যাপকভাবে ভোট কারচুপিও হয়নি। কিন্তু সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোট মানেই কি ভালো নির্বাচন? নির্বাচন বিশ্লেষকরাও এ কারণে বলেন, ভোট কতটা শান্তিপূর্ণ তার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ সেটি কতটা ভালো ভোট হলো। ভালো ভোট মানে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে, প্রচুর ভোটার উপস্থিতি থাকবে এবং ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে এসে ভোট দিয়ে নিরাপদে বাড়ি ফিরবেন এবং স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় ভোট গণনা শেষে সবচেয়ে বেশি ভোট পাওয়া প্রার্থীকে রিটার্নিং কর্মকর্তা বিজয়ী ঘোষণা করবেন। সেইসঙ্গে পরাজিত প্রার্থীরা ফলাফল মেনে নেবেন। এটিকে বলা হয় ভালো নির্বাচন। কিন্তু ভোট সুষ্ঠু হলো, শান্তিপূর্ণ হলো, কোথাও উত্তেজনা ছড়ালো না, কিন্তু ভোটকেন্দ্র খালি—এমন শান্তিপূর্ণ নির্বাচন গণতন্ত্রের জন্য কাঙ্ক্ষিত নয়।
ভোটার উপস্থিত কম মানে ভোটের প্রতি মানুষের আগ্রহ কমছে। ক্ষমতার পালাপাবদলে প্রধানতম নিয়ামক যে নির্বাচন, সেই ব্যবস্থার প্রতি যদি মানুষের আগ্রহ নষ্ট হয়, তাহলে সেটি তো গণতন্ত্রের জন্যই অশনিসংকেত। সেই সংকেতটা যত দ্রুত টের পাওয়া যাবে এবং ভোটারদের মনে আস্থা ফিরিয়ে আনা যাবে, ততই মঙ্গল। না হলে বিনাভোটে কিংবা নিরুত্তাপ ভোটে, অতি অল্প মানুষের ভোটে প্রার্থীরা জনপ্রতিনিধি হয়ে যাবেন, কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ম্যান্ডেট তাদের পক্ষে থাকবে না। যখন সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ম্যান্ডেট কারও প্রতি থাকে না, তখন মানুষের প্রতি সেই জনপ্রতিনিধিও দায়বদ্ধতা অনুভব করেন না। সুতরাং রংপুরে যে মাত্র ২২ শতাংশ মানুষ ভোট দিলেন, সেখানে একটি গভীর রাজনৈতিক বার্তা আছে। এটি যত দ্রুত আমাদের রাজনীতিবিদরা বুঝতে পারবেন, ততই মঙ্গল। সেইসঙ্গে ন্যূনতম ৫০ শতাংশ ভোট না পড়লে সেই ভোট বাতিল হবে এবং একাধিক প্রার্থী না থাকলে সেখানে ভোট হবে না, এমন বিধানও সংবিধানে সংযুক্ত করা কিংবা নির্বাচনি আইনে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি তোলারও সময় হয়েছে।
আমীন আল রশীদ, বার্তা সম্পাদক, চ্যানেল টোয়েন্টিফোর
(দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদকীয় নীতিমালার সঙ্গে লেখকের মতামতের মিল নাও থাকতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির আইনগত, মতামত বা বিশ্লেষণের দায়ভার সম্পূর্ণরূপে লেখকের, দ্য ডেইলি স্টার কর্তৃপক্ষের নয়। লেখকের নিজস্ব মতামতের কোনো প্রকার দায়ভার দ্য ডেইলি স্টার নিবে না।)
Comments