খরচ বাড়ছে দূরের যাত্রায়
মহাসড়কগুলো থেকে টোল আদায়ের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার প্রেক্ষাপটে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় টোল আদায়ের প্রক্রিয়া শুরু করছে।
এর ফলে দূরপাল্লার যাত্রার খরচ বেড়ে যাবে মনে করছেন বাস মালিক ও যাত্রীদের কল্যাণে কাজ করে এমন একটি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। অপরদিকে, যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শামসুল হক বলেন, “আমাদের বিদ্যমান মহাসড়কগুলো এখনো টোল আদায়ের উপযুক্ত নয়।”
গত ২৯ সেপ্টেম্বর এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছে মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের যুগ্মসচিব মোহাম্মদ শফিকুল করিম (টোল ও এক্সেল) দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, “আমরা এখনো ঠিক করিনি কোন কোন মহাসড়ক থেকে টোল আদায় করা হবে। কিন্তু, প্রাথমিকভাবে আমাদের লক্ষ্য হলো চার-লেনের মহাসড়কগুলো থেকে টোল আদায় করা।”
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি কীভাবে এবং কোন কোন গাড়ি থেকে টোল নেওয়া হবে।
২০১৪ সালের টোল পলিসি অনুযায়ী সড়ক ও জনপথ বিভাগ বর্তমানে দুই-লেন বিশিষ্ট ৫০ কিলোমিটার হাতিকুমরুল-বনপাড়া মহাসড়ক, প্রায় ১৪ কিলোমিটার চট্টগ্রাম বন্দর প্রবেশপথ এবং ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের জগদীশপুর-শেরপুর অংশের ৭২ কিলোমিটার থেকে টোল আদায় করছে।
সেই পলিসি অনুযায়ী গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়ক থেকে কিলোমিটার প্রতি সাধারণত দুই টাকা, জাতীয় মহাসড়ক থেকে কিলোমিটার প্রতি দেড় টাকা, আঞ্চলিক মহাসড়ক থেকে এক টাকা এবং জেলা পর্যায়ে ৫০ পয়সা করে টোল নির্ধারণ করা রয়েছে।
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের অধীনে জাতীয়, আঞ্চলিক ও জেলা পর্যায়ে ২২ হাজার কিলোমিটারের বেশি সড়ক রয়েছে। এগুলোর মধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম এবং ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক চার লেনের। এছাড়াও, ঢাকা-টাঙ্গাইল এবং ঢাকা মাওয়া মহাসড়ক দুটিকে চার লেনে উন্নীত করার কাজ চলছে।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের গত বছরের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, প্রতিদিন প্রায় ৩২ হাজার গাড়ি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক দিয়ে চলাচল করে। বর্তমানে এই মহাসড়ক ব্যবহারকারী গাড়িগুলোকে মেঘনা ও গোমতী সেতুতে টোল দিতে হয়।
গত ৩ সেপ্টেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জাতীয় মহাসড়কগুলো থেকে টোল আদায়ের নির্দেশনা দেন।
বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান সাংবাদিকদের বলেন, টোল থেকে আদায়কৃত অর্থ একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে রাখা হবে। সেই টাকা সড়ক-সংস্কার ও মেরামতের কাজে খরচ করা হবে। তবে স্বল্পপাল্লার গাড়িগুলোকে কোনো টোল দিতে হবে না বলেও জানান পরিকল্পনামন্ত্রী।
(সংক্ষেপিত, পুরো প্রতিবেদনটি পড়তে এই Tolled highways: Long trips to get costlier soon লিংকে ক্লিক করুন)
Comments