উপাচার্যকে পেয়ে বুয়েট শিক্ষার্থীদের ক্ষোভের বিস্ফোরণ

আবরার ফাহাদের লাশ পাওয়ার প্রায় ৪০ ঘণ্টা পেরিয়ে যাওয়ার পর জনসমক্ষে এসেছেন বুয়েটের উপাচার্য ড. অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম। ক্যাম্পাসে তাকে শিক্ষার্থীদের প্রশ্নবাণে জর্জরিত হতে হয়েছে। দাবি মেনে নেওয়ার কথা বললেও শিক্ষার্থীরা শান্ত হননি। তাদের দাবি ছিল সুনির্দিষ্টভাবে দাবিগুলো পূরণের ব্যাপারে তার ঘোষণা।
ছবি: পলাশ খান

আবরার ফাহাদের লাশ পাওয়ার প্রায় ৪০ ঘণ্টা পেরিয়ে যাওয়ার পর জনসমক্ষে এসেছেন বুয়েটের উপাচার্য ড. অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম। ক্যাম্পাসে তাকে শিক্ষার্থীদের প্রশ্নবাণে জর্জরিত হতে হয়েছে। দাবি মেনে নেওয়ার কথা বললেও শিক্ষার্থীরা শান্ত হননি। তাদের দাবি ছিল সুনির্দিষ্টভাবে দাবিগুলো পূরণের ব্যাপারে তার ঘোষণা।

আবরার হত্যার পর ক্যাম্পাসে উপাচার্যের অনুপস্থিতি নিয়ে আজ সারাদিনই চলেছে আলোচনা সমালোচনা। এমনকি উপাচার্য নিহত ছাত্রের মরদেহ দেখতে আসেননি। উপস্থিত ছিলেন না জানাযাতেও। এটা নিয়ে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে তাকে। বিভিন্ন মহল থেকেও উদ্ভূত পরিস্থিতিতে উপাচার্যের এমন নির্লিপ্ততা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

ক্যাম্পাসে না আসার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে এদিন সন্ধ্যায় উপাচার্য শিক্ষার্থীদের বলেন যে তাকে সারাদিন সরকারের বিভিন্ন মহলের সঙ্গে কথা বলতে হয়েছে। সে কারণেই তিনি ছাত্রদের সঙ্গে দেখা করতে পারেননি, “আমি তোমাদের জন্য কাজ করছি। সরকারের সর্বমহল জানে আমি কী করেছি।”

আট দফা দাবির ব্যাপারে শিক্ষার্থীদের প্রশ্নের মুখে উপাচার্য বলেন, আমি সব দাবি মেনে নিচ্ছি। দাবি বাস্তবায়ন নিয়ে আমি তোমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চাই।

এসময় শিক্ষার্থীরা তাকে সেখানেই তাৎক্ষণিকভাবে আলোচনায় বসার আহ্বান জানান। দাবিগুলো সুনির্দিষ্টভাবে পড়ে শোনানোর জন্য আওয়াজ ওঠে শিক্ষার্থীদের দিক থেকে।

এসময় শিক্ষার্থীদের হট্টগোলে দুপক্ষের মধ্যে আলোচনা থেমে যায়। উপাচার্যকে উদ্দেশ্য করে দেওয়া হয় দুয়োধ্বনি। মুহুর্মুহু চলে স্লোগান।

পরে উপাচার্য আবার বলেন, নিয়ম অনুযায়ী ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা কাজ শুরু করেছেন।

এসব কথা বলে উপাচার্য আবার তার কার্যালয়ে ঢুকে যান। বাইরে অবস্থান নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

 

আরো পড়ুন:

ছাত্রলীগের টর্চার সেল!

বুয়েট শাখার ৯ নেতাকে বহিষ্কার করলো ছাত্রলীগ

ছাত্রলীগের জেরার পর বুয়েট শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার

আবরার হত্যা: ৯ জন আটক

সিসিটিভি ফুটেজ: আবরারকে পাঁজাকোলা করে সিঁড়িতে নেওয়া হয়

শিবিরের সঙ্গে আবরারের সংশ্লিষ্টতা ছিল না: পরিবার

দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করুন: ছাত্রলীগ

মতের পার্থক্যের কারণে কাউকে মেরে ফেলা উচিত না: কাদের

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নিয়ে আবরারের শেষ ফেসবুক পোস্ট

আবরারের সমস্ত শরীরে মারধর ও আঘাতের চিহ্ন

Comments

The Daily Star  | English

3 quota protest leaders held for their own safety: home minister

Three quota protest organisers have been taken into custody for their own safety, said Home Minister Asaduzzaman Khan

Now