নারায়ণগঞ্জে নারী পোশাক শ্রমিককে গণধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৫

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলায় পোশাক কারখানার এক নারী শ্রমিক (২৫) গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে পলাতক রয়েছে আরও দুইজন।
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলায় পোশাক কারখানার এক নারী শ্রমিক (২৫) গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে পলাতক রয়েছে আরও দুইজন।

মঙ্গলবার বিকেলে ভুক্তভোগী শ্রমিক বাদী হয়ে সোনারগাঁও থানায় মামলা দায়ের করেন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, উপজেলার ব্রাহ্মণগাঁও এলাকার মুজিবর রহমানের ছেলে আবু সাইদ (২৪), একই এলাকার রেজা উদ্দিনের ছেলে ইমরান উদ্দিন (২৫), নবী হোসেনের ছেলে রনি হোসেন (২২), আবু সিদ্দিকের ছেলে আবুল হোসেন (৩০) ও ভুট্টু মিয়ার ছেলে মাসুদ মিয়া (২৬)। আর পলাতক রয়েছে আমির হোসেনের ছেলে আরিফ হোসেন (২০) ও সামসুল হকের ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন (২৮)।

মামলার বরাত দিয়ে সোনারগাঁও তালতলা ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. আহসান উল্লা দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, ভুক্তভোগী নারী শ্রমিক রূপগঞ্জের রবিন টেক্স নামে পোশাক তৈরির কারখানায় কাজ করেন। সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় কারখানার কাজ শেষে গাউছিয়া এলাকায় বাড়িতে ফেরার জন্য কারখানার সামনে থেকে সিএনজি চালিত অটোরিকশায় ওঠেন। সেসময় পেছনের সিটে বসা ছিল অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর। অটোরিকশাটি গাউছিয়া এলাকায় পৌঁছালে ওই নারী শ্রমিককে নামতে বাধা দেয় জাহাঙ্গীর। অটোরিকশা চালকের (অজ্ঞাত পরিচয়) সহযোগিতায় বেঁধে ফেলা হয় হাত-মুখ। পরে কয়েক ঘণ্টা ঘুরে রাতে সোনারগাঁয়ের তালতলা এলাকায় হালিম মিয়ার বাড়িতে নিয়ে আটকে রাখা হয় তাকে। ওই সময় হালিম মিয়া বাড়িতে ছিলেন না। সেখানে আবু সাইদ, ইমরান উদ্দিন, রনি হোসেন, আবুল হোসেন, মাসুদ মিয়া, আরিফ হোসেন ও জাহাঙ্গীর হোসেন মিলে নারী শ্রমিককে গণধর্ষণ করেন। ভোরে বাড়ির মালিক বৃদ্ধ হালিম মিয়া বাড়িতে ফিরে এসব দেখে প্রতিবাদ করলে তাকে মারধর ও ধর্ষিতাকে ফেলে রেখে সবাই পালিয়ে যায়।

সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, বিকেলে ভুক্তভোগী নারী শ্রমিক বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত আসামীরা গণধর্ষণের ঘটনা স্বীকার করেছেন। তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Abu Sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

13h ago