ক্যাম্পাসে দলীয় রাজনীতির পক্ষ-বিপক্ষ

ক্যাম্পাসে দলীয় রাজনীতি চান, কী চান না- এই প্রশ্নটি উন্মুক্ত পরিসরে ছুঁড়ে দিলে ‘চান না’র পক্ষে ভোট বেশি পড়বে, এটি চোখ বন্ধ করে বলে দেওয়া যায়। কারণ, ছাত্ররাজনীতির নামে দলীয় লেজুড়বৃত্তির যে কদর্য চেহারাটি বছরের পর বছর ধরে তৈরি হয়েছে, তাতে খুব ব্যতিক্রম ছাড়া কোনো অভিভাবকই এখন আর চান না, তার সন্তান ক্যাম্পাসে গিয়ে কোনো ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হোক।
Student politics
ছবি: স্টার

ক্যাম্পাসে দলীয় রাজনীতি চান, কী চান না- এই প্রশ্নটি উন্মুক্ত পরিসরে ছুঁড়ে দিলে ‘চান না’র পক্ষে ভোট বেশি পড়বে, এটি চোখ বন্ধ করে বলে দেওয়া যায়। কারণ, ছাত্ররাজনীতির নামে দলীয় লেজুড়বৃত্তির যে কদর্য চেহারাটি বছরের পর বছর ধরে তৈরি হয়েছে, তাতে খুব ব্যতিক্রম ছাড়া কোনো অভিভাবকই এখন আর চান না, তার সন্তান ক্যাম্পাসে গিয়ে কোনো ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হোক।

কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, ক্যাম্পাসে যদি ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয় তাহলে কী করে নেতৃত্ব গড়ে উঠবে এবং শিক্ষার্থীরাই বা কীভাবে রাষ্ট্রীয় এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়সম্পর্কিত বিবিধ অন্যায়ের প্রতিবাদ করবেন? তাছাড়া, ক্যাম্পাসে রাজনীতি নিষিদ্ধ হলেই কি গণরুমে নির্যাতন এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে নানাবিধ অন্যায় আচরণ বন্ধ হবে? শিক্ষকরাজনীতি বন্ধ হবে? এসব প্রশ্ন সামনে রেখেই এগোনো যাক।

ছাত্ররাজনীতির প্রসঙ্গ এলেই আমাদের সামনে ষাটের দশকের তুখোড় ছাত্রনেতাদের উদাহরণ পেশ করা হয়। পাকিস্তানি শোষণের বিরুদ্ধে আমাদের সেই পূর্বপুরুষদের লড়াই-সংগ্রামের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়। এরপর আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং তার এক দশক পরে আশির দশকের শেষ দিকে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে ছাত্রদের ভূমিকার কথাও উল্লেখ করা হয়। নিঃসন্দেহে এগুলো ছাত্ররাজনীতির গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস। কিন্তু, ক্যাম্পাসে দলীয় রাজনীতি আর ছাত্র আন্দোলন কি এক জিনিস?

ষাটের দশকে আমাদের পূর্বপুরুষরা দেশ মুক্তির জন্য যা করেছেন, তার নাম ছাত্র আন্দোলন। কিন্তু, এই শব্দটি পরবর্তীকালে যখন ছাত্ররাজনীতিতে রূপ লাভ করলো, তখন এখানে যুক্ত হয় মূলত দলের লেজুড়বৃত্তি এবং ছাত্ররাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নেতাকর্মী বিশেষ করে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা পরিণত হন প্রতিপক্ষ দমনে সরকারের পেটোয়া বাহিনীতে। সেই সঙ্গে দলের পদ-পদবি নিয়ে ছাত্র রাজনীতিকে রাতারাতি টাকা কামানোর মেশিনে পরিণত করা হয়।

এরশাদের আমলে যেমন ছাত্র সমাজ, বিএনপির আমলে তেমনি ছাত্রদল ও ছাত্রশিবির এবং আওয়ামী লীগের আমলে ছাত্রলীগ- একই চক্র। অর্থাৎ, যখন যে দল ক্ষমতায় তখন সেই দলের ছাত্র সংগঠন ক্যাম্পাসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করবে- এটিই স্বতঃসিদ্ধ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

একসময় রাজশাহী ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ছাত্রশিবির’ শব্দটি যেমন একটি মূর্তিমান আতঙ্কে পরিণত হয়েছিল; ‘রগকাটা পার্টি’ নামে যেমন তাদের কুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছিলো, ঠিক একইরকম আতঙ্ক এখন ছাত্রলীগকে নিয়ে। নিয়মিত বিরতিতে তাদের নৃশংসতার শিকার প্রতিপক্ষ। শুধু প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীই নয়, বরং সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যেও কাউকে তাদের প্রতিপক্ষ মনে হলে তারাও এই জিঘাংসার শিকার। সুতরাং, ষাটের দশকে পাকিস্তান এবং আশির দশকে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে বর্তমানের ছাত্র রাজনীতির চারিত্রিক, আদর্শিক বা দার্শনিক কোনো মিল নেই।

ষাটের দশকের কোনো ছাত্রনেতা ব্যক্তিগত গাড়িতে চড়ার কথা কল্পনাও করতে পারতেন না। কিন্তু, এখন ছাত্রনেতারা হেলিকপ্টারে চড়ে সম্মেলনে যান। এখন ছাত্রনেতারা ক্যাম্পাস ছাড়ার আগেই কোটিপতি হন। এখন ছাত্রনেতারা রাস্তায় বেরোলো শত শত ছাত্রছাত্রী তাদের প্রটোকল দেন। এখন ছাত্রনেতারা যে দল করেন, সেই দলের নীতি-আদর্শ কতোটুকু বুকে ধারণ করেন, তা নিয়েও সংশয়ের যথেষ্ট কারণ আছে।

তাছাড়া, ষাট ও আশির দশকে যেসব বাস্তবতায় ছাত্র আন্দোলন গড়ে উঠেছিলো, সেরকম কোনো আদর্শিক লড়াইয়ের উদ্দেশ্যে এখন ছাত্ররা রাজনীতি করেন না। এখন তাদের লক্ষ্য প্রধানত দুটি; ১. মূল দলের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশ অনুযায়ী অ্যাসাইনমেন্ট বাস্তবায়ন এবং ২. ব্যক্তিগতভাবে ধনসম্পত্তির মালিক হওয়া। এর বাইরে তৃতীয় কোনো উদ্দেশ্য, তথা দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে তারা রাজনীতি করেন- এই সংখ্যাটা খুবই সামান্য।

বামপন্থি সংগঠনের ছাত্র সংগঠনগুলো জাতীয় স্বার্থে কিছু কথাবার্তা বললেও মূলধারার রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠনগুলোর লক্ষ্য উদ্দেশ্য সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মনে কোনো দ্বিধা নেই। বরং যেসব ছাত্রছাত্রী ক্যাম্পাসে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত, তাদের অভিভাবকদের প্রতিনিয়ত অজানা ভয়ের মধ্যে থাকতে হয়। তারা কেন চাইবেন তাদের সন্তানরা রাজনীতিতে যুক্ত হোক?

এ বিষয়ে কিছু প্রশ্নও সামনে আসছে। যেমন ১. ছাত্ররাজনীতি না থাকলে কীভাবে নেতৃত্ব গড়ে উঠবে; ২. ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি না থাকলে শিক্ষার্থীরা অন্যায়ের প্রতিবাদ করবেন কীভাবে; ৩. ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করা এক ধরনের বিরাজনীতিকরণের চক্রান্তের অংশ কী না; ৪. ছাত্রদের রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে রেখে ক্ষমতাসীনরা নিজেদের বড় বড় অন্যায় থেকে তাদের দৃষ্টি আড়াল করতে চায় কী না? এগুলো অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন।

কিন্তু, সাধারণ মানুষের মনে এ প্রশ্নও আছে যে, এ যাবত ক্যাম্পাসে যতো খুন, যতো হানাহানি, শিক্ষক ও ভিসিদের যতো অপকর্ম, তার সবকিছুর পেছনে কি রাজনীতিই দায়ী নয়? রাজনৈতিক পরিচয় না থাকলে বুয়েটের শিক্ষার্থী আবরারকে পিটিয়ে হত্যার সাহস কেউ পেতো। একজন সাধারণ শিক্ষার্থী, যার রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নেই, তিনি কি ক্যাম্পাসে বেপরোয়া হতে পারেন? দলবল নিয়ে ঘুরতে পারেন? মাস্তানি করতে পারেন? তার বিছানার নিচে অস্ত্র থাকে? রাজনৈতিক লেজুড়বৃত্তি না থাকলে বা রাজনৈতিক বিবেচনায় ভিসি নিয়োগ না হলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কি কলঙ্কিত হতো? ক্যাম্পাসে দলীয় রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকলে শিক্ষকরা কি শিক্ষা ও গবেষণার বাইরে তাদের জাগতিক অন্যান্য অন্যায় সুবিধা বাগাতে মরিয়া হতে পারতেন?

ক্যাম্পাসের ছাত্ররাজনীতি যেহেতু ভালো কিছু দিচ্ছে না, ফলে আবরারের নিহত হওয়ার পর এখন বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীদের তরফেই ক্যাম্পাসকে রাজনীতিমুক্ত করার দাবি উঠেছে এবং তাতে একাত্মতা প্রকাশ করেছে শিক্ষক সমিতিও।

প্রশ্ন উঠেছে- ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি না থাকলে নেতৃত্বের বিকাশ এবং অন্যায়ের প্রতিবাদ হবে কীভাবে? এর একটি জবাব হতে পারে কার্যকর ছাত্র সংসদ। কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যদি নিয়মিত ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয় এবং সেই নির্বাচনে দলীয় রাজনীতির প্রভাব না থাকে তাহলে প্রকৃত শিক্ষার্থীর মধ্যে নেতৃত্ব গড়ে উঠবে। তারাই নিজেদের সমস্যা নিয়ে কথা বলবেন। বরং কেন্দ্রীয় রাজনীতির হস্তক্ষেপ না থাকলে ক্যাম্পাসে হানাহানি ও রক্তারক্তির অবসান হবে।

প্রতিটি ক্যাম্পাসেই বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন থাকে। সেসব সংগঠনও বড় প্লাটফর্ম। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় কোনো অন্যায় করলে সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোই তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তুলতে পারে। এমনকী, রাষ্ট্রীয় কোনো বিষয়েও চাইলে তারা প্রতিবাদ করতে পারে এবং সেখানে কেন্দ্রীয় রাজনীতির ইন্ধন বা প্রভাব না থাকলেও একটি অন্যরকম আন্দোলন গড়ে উঠতে পারে।

খুব সম্প্রতি গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) যে উপাচার্যবিরোধী আন্দোলন গড়ে উঠলো এবং যার ফলে ভিসিকে সরে যেতে হয়েছে, সেই আন্দোলনটি গড়ে তুলেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। কোনো রাজনৈতিক দল নয়।

এর আগে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়েও একইভাবে ভিসিবিরোধী আন্দোলন হয়েছে রাজনৈতিক ইন্ধন ছাড়াই। সেখানেও ভিসিকে সরে যেতে হয়েছে। সুতরাং, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি না থাকলে শিক্ষার্থীরা অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে পারবেন না বা কর্তৃপক্ষ যা খুশি তাই করে পার পেয়ে যাবে, বিষয়টা এতো সহজ নয়। শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলনও গড়ে উঠেছিলো অরাজনৈতিকভাবে। যদিও পরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সেখানে সম্পৃক্ত হয়েছে নিজেদের স্বার্থে।

ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতির পক্ষ-বিপক্ষ নিয়ে এই তর্কের মধ্যে কেউ কেউ এ প্রশ্নও তুলছেন যে, আমাদের জাতীয় রাজনীতির চেহারাও অত্যন্ত কদর্যপূর্ণ; তাহলে এখন কি বলা হবে যে, দেশ থেকে রাজনীতিই উঠিয়ে দেওয়া হোক? আবার সব পেশাতেই ঘুণপোকা বাসা বেঁধেছে। রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ বলা হয় যে গণমাধ্যমকে, সেই সাংবাদিকতায়ও এখন গুজব ও ফেক নিউজের ছড়াছড়ি। তাহলে কি বলা হবে যে সাংবাদিকতা বন্ধ করে দেওয়া হোক?

এক্ষেত্রে আমাদের মনে রাখা দরকার, ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের মানে বিরাজনীতিকরণ নয় বা শিক্ষার্থীদের রাজনীতিশূন্য করা নয়। সংগঠিত ছাত্রসমাজ ও দাবি আদায়ে তাদের সম্মিলিত অংশগ্রহণ এবং বর্তমানের দলের লেজুড়বৃত্তির ছাত্ররাজনীতি এক কথা নয়। বরং ক্যাম্পাসে রাজনীতি থাকবে। কিন্তু, সেটি হতে হবে দলীয় লেজুড়বৃত্তিমুক্ত। ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীরা যদি মূল দলের অ্যাসাইনমেন্ট বাস্তবায়নের হাতিয়ারে পরিণত হন, তাহলে সেই রাজনীতি খুন, রক্ত ও প্রতিহিংসা ছাড়া কিছু দেবে না। এ কারণেই বুয়েটের শিক্ষার্থীরাও এই দাবি তুলছেন। তারা দেখেছেন, যে বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্তচিন্তা ও মুক্তবুদ্ধির চর্চা হওয়ার কথা, সেখানে রাজনীতির নামে কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে। ক্ষমতাবানরা তাদের নিজেদের মতো করে অন্যকে চিন্তা করতে বাধ্য করছে। এই নোংরা রাজনীতিটা তারা অন্তত ক্যাম্পাসের ভেতরে চান না।

রাজনীতি করার অধিকার যেকোনো নাগরিকেরই রয়েছে। সমাজের সচেতন নাগরিক হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর তো বটেই। সেই কাজটি তিনি ক্যাম্পাসের বাইরেও করতে পারেন। ক্যাম্পাসে রাজনীতির নামে যে দুর্বৃত্তায়ন ফুলে ফেঁপে উঠেছে, তা থেকে শিক্ষার্থীরাও মুক্তি চান। মনে রাখা দরকার, রাজনীতি না করলেই যে শিক্ষার্থীরা রাজনীতি-সচেতন হবেন না, তা নয়। রাজনীতি-সচেতনতা আর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড আলাদা জিনিস। যদি রাজনৈতিক দলগুলো ছাত্রদেরকে প্রতিপক্ষ দমনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার বন্ধ না করে, যদি ছাত্রদের মধ্যে ভোগবাদিতা প্রবল হতে থাকে, যদি মেধাবীদের রাজনীতিতে আসার মতো পরিবেশ তৈরি না হয়, তাহলে ক্যাম্পাসে দলীয় রাজনীতি বন্ধের দাবি আরো প্রবল হবে।

রাজনীতি ছাড়া দেশ চলে না। কিন্তু, ক্যাম্পাসে কতোটুকু রাজনীতি থাকবে, কোন প্রক্রিয়ায় থাকবে, সেটি মূল দলের লেজুড়বৃত্তি করবে কী না, ক্যাম্পাসে তারা প্রতিপক্ষ দমনে পেটোয়া বাহিনী হিসেবে কাজ করবে কী না- এসব প্রশ্নের সুরাহা করতে হবে আগে।

সুতরাং, ছাত্র রাজনীতি বন্ধ নয়, বরং ক্যাম্পাসে দলীয় রাজনীতি বন্ধ বা সংস্কার এখন সময়ের দাবি। সেই সঙ্গে এ ব্যাপারেও সতর্ক থাকতে হবে যে, যদি কোনো ক্যাম্পাসে সত্যি সত্যিই দলীয় রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়, তাহলে শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ-বিক্ষোভের অন্যান্য স্পেসগুলো উন্মুক্ত থাকবে কী না। যদি ক্যাম্পাসে দলীয় রাজনীতি নিষিদ্ধের মাধ্যমে কথা বলার স্পেস সংকুচিত করা হয়, তাহলে সেই নিষিদ্ধের পক্ষে আমরা নই।…

আমীন আল রশীদ, বার্তা সম্পাদক, চ্যানেল টোয়েন্টিফোর

[email protected]

(দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদকীয় নীতিমালার সঙ্গে লেখকের মতামতের মিল নাও থাকতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির আইনগত, মতামত বা বিশ্লেষণের দায়ভার সম্পূর্ণরূপে লেখকের, দ্য ডেইলি স্টার কর্তৃপক্ষের নয়। লেখকের নিজস্ব মতামতের কোনো প্রকার দায়ভার দ্য ডেইলি স্টার নিবে না।)

Comments