আমার অধীনে এটাই বাংলাদেশের সেরা ম্যাচ: জেমি ডে
ম্যাচের ফল বলছে, শক্তিশালী কাতারের কাছে দুই গোলের ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। কিন্তু স্কোরলাইনে যার ছাপ পড়েনি তা হলো, এশিয়ান চ্যাম্পিয়নদের সঙ্গে সেয়ানে-সেয়ানে লড়াই করেছে জেমি ডের দল। ভাগ্য সঙ্গ দিলে কমপক্ষে ড্র নিয়ে ম্যাচ শেষ করতে পারত বাংলাদেশ। কাতারের সঙ্গে শিষ্যদের সমান তালে লড়াই করতে দেখে ভীষণ তৃপ্তি পেয়েছেন লাল-সবুজের কোচ ডে। ম্যাচ শেষে তিনি ঢাক-ঢোল পিটিয়ে ঘোষণা দিয়েছেন, তার অধীনে এটাই বাংলাদেশের সেরা ম্যাচ।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) বন্ধবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ২০২২ বিশ্বকাপ ও ২০২৩ এশিয়ান কাপের বাছাই পর্বের ম্যাচে কাতারের কাছে ০-২ গোলে হেরেছে বাংলাদেশ। আরব দেশটি ২০২২ বিশ্বকাপের আয়োজক ও বর্তমান এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন।
বৃষ্টি ভেজা ভারী মাঠের সুবিধা নিয়ে কাতারের বিপক্ষে লড়াকু ফুটবল উপহার দেয় বাংলাদেশ। পাল্টা আক্রমণে মাহবুবুর রহমান সুফিল-মোহাম্মদ ইব্রাহিমরা ভীতি ছড়ান প্রতিপক্ষের রক্ষনে। কিন্তু ভাগ্যের ফেরে গোল পাওয়া হয়নি জামাল ভূঁইয়াদের।
ম্যাচ শেষে উচ্ছ্বসিত ডে বলেন, ‘মাঠে যে নৈপুণ্য এবং মনোভাব ছেলেরা দেখিয়েছে, তাতে আমি খুবই গর্বিত। ছেলেদের ওয়ার্ক রেট ছিল অসাধারণ। আমি মনে করি, দ্বিতীয়ার্ধে আমরা তুলনামূলক ভালো সুযোগ পেয়েছি এবং কাতারকে চাপে ফেলতে পেরেছি। এতেই বোঝা যায়, আমরা কতটা এগিয়েছি।...শেষদিকে একটা গোল হজম করাটা অবশ্যই হতাশাজনক ছিল। তবে ছেলেরা যেমন খেলেছে, তাতে আমি প্রশংসা করার ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না।’
তিনি যোগ করেন, ‘আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর এটাই তাদের সেরা পারফরম্যান্স। পুরো ৯০ মিনিটে দুদলের মধ্যে ব্যবধান ছিল না বললেই চলে। ফল যা-ই হোক না কেন, ছেলেরা সেরা পারফরম্যান্স দেখিয়েছে। অনূর্ধ্ব-২৩ দলের ছয়জন খেলোয়াড় শুরুর একাদশে ছিল। এতে বোঝা যায়, তরুণ খেলোয়াড়রা উঠে আসছে। অবশ্যই, আগামী ম্যাচেও আমাদের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে।’
আগামী ১৫ অক্টোবর বাছাইয়ের পরের ম্যাচে ভারতের মাটিতে আতিথ্য নেবে বাংলাদেশ। সে ম্যাচেও ইতিবাচক কিছুর প্রত্যাশায় ডে, ‘আমি কাতারের সঙ্গে একটি কঠিন লড়াই আশা করেছিলাম। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, খেলোয়াড়রা আমার প্রত্যাশা ছাপিয়ে পারফর্ম করেছে। তারা তাদের যোগ্যতার প্রমাণ রেখেছে। আমরা ভালো ভালো কিছু সুযোগ পেয়েছি এবং গোল পেলে বিষয়টা দারুণ হতো। আমরা অসাধারণ খেলেছি এবং ভারতের বিপক্ষেও এর পুনরাবৃত্তি ঘটাতে চাই।’
Comments