ডাবল সেঞ্চুরি করে শচীন-শেবাগকে টপকে গেলেন কোহলি
ভারতের হয়ে টেস্টে সবচেয়ে বেশি ডাবল সেঞ্চুরি করার রেকর্ড এককভাবে নিজের করে নিয়েছেন দলটির বর্তমান অধিনায়ক বিরাট কোহলি। তিনি পেছনে ফেলেছেন ছয়টি করে দ্বিশতক হাঁকানো দেশটির দুই সাবেক তারকা ব্যাটসম্যান শচীন টেন্ডুলকার ও বীরেন্দ্র শেবাগকে।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) পুনেতে ক্যারিয়ারের ৮১তম ম্যাচে সপ্তম ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন কোহলি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিনে ভারতের প্রথম ইনিংসে ইতিহাস গড়েছেন তিনি। চলতি বছর সাদা পোশাকে এটাই তার প্রথম সেঞ্চুরি। সেটাকে ডাবল সেঞ্চুরিতে রূপ দিয়ে কোহলি অপরাজিত থাকেন ২৫৪ রানে।
আগের দিনের ৬৩ রান নিয়ে খেলতে নেমে এদিন ১৭৩ বলে তিন অঙ্কের ম্যাজিক্যাল ফিগারে পৌঁছান কোহলি। আকাঙ্ক্ষিত ডাবল সেঞ্চুরি ছুঁয়ে ফেলেন মুখোমুখি হওয়া ২৯৫তম বলে। সবমিলিয়ে তার ৩৩৬ বলের ইনিংসে ছিল ৩৩ চার ও ২ ছক্কা।
ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি ডাবল সেঞ্চুরি করা খেলোয়াড়দের তালিকায় যৌথভাবে চার নম্বরে আছেন কোহলি। তার মতো সাতটি করে দ্বিশতক পেয়েছেন ইংল্যান্ডের ওয়ালি হ্যামন্ড ও শ্রীলঙ্কার মাহেলা জয়াবর্ধনে। ১২টি ডাবল সেঞ্চুরি নিয়ে তালিকার শীর্ষে অস্ট্রেলিয়ার ডন ব্র্যাডম্যান। এরপর আছেন যথাক্রমে শ্রীলঙ্কার কুমার সাঙ্গাকারা (১১টি) ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্রায়ান লারা (৯টি)।
শচীন-শেবাগকে টপকে যাওয়ার পথে কোহলি টেস্টে সাত হাজার রানের মাইলফলকও পেরিয়ে যান। দ্রুততম সাত হাজার রানের রেকর্ডেও কোহলি আছেন যৌথভাবে চতুর্থ স্থানে। তার মতো সাঙ্গাকারা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের গ্যারি সোবার্সেরও লেগেছে ১৩৮ ইনিংস। ১৩১ ইনিংসে মাইলফলক স্পর্শ করে তালিকার চূড়ায় রয়েছেন হ্যামন্ড। এরপর দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে আছেন যথাক্রমে শেবাগ (১৩৪ ইনিংস) ও শচীন (১৩৬ ইনিংস)।
ক্যারিয়ারের প্রথম ৪১ টেস্টে কোনো ডাবল সেঞ্চুরি ছিল না কোহলির। এরপর চলতি ম্যাচসহ সবশেষ ৪০ টেস্টে সাতটি দ্বিশতক করার কৃতিত্ব দেখিয়েছেন ৩০ বছর বয়সী তারকা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২০১৬ সালের জুনে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন তিনি।
সবমিলিয়ে মোট ছয়টি দেশের বিপক্ষে ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন কোহলি। এই কীর্তি আছে আর কেবল দুজন ব্যাটসম্যানের। লঙ্কান সাঙ্গাকারা ও পাকিস্তানের ইউনুস খান সমানসংখ্যক দলের বিপক্ষে ডাবল সেঞ্চুরির স্বাদ পেয়েছিলেন।
Comments