আরাফাত সানির ৬ উইকেট, তাসামুলের দৃঢ়তা
আগের দিন চট্টগ্রামের তিন উইকেটই নিয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দ্বিতীয় দিনে তিনি আর খুব বেশি বল করলেন না। সকালে দুই পেসার শহিদুল ইসলাম-মেহরাব জোশি দেখালেন ঝাঁজ। কিন্তু বেলা বাড়তে উইকেট সব নিয়েছেন আরাফাত সানিই। বাঁহাতি স্পিনে চট্টগ্রামকে কাবু করেছেন তিনি। তবে একপ্রান্তে উইকেট পতনের মাঝে দৃঢ়তা দেখিয়েছেন তাসামুল হক।
মিরপুরে দ্বিতীয় স্তরের ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে ছিল না বৃষ্টি। ফুরফুরে আবহাওয়ায় অবশ্য রান উঠেনি খুব বেশি। আগের দিনের ১৪৭ রানের সঙ্গে আরও ১৪৩ রান যোগ করে ২৯০ রানে অলআউট হয় চট্টগ্রাম। জবাবে ২ উইকেটে ৬৬ রান তুলে দিন শেষ করেছে ঢাকা মেট্রো। অর্থাৎ সারা দিনে দুদল মিলে রান উঠেছে কেবল ২০৯।
৩ উইকেটে ১৪৭ রান নিয়ে নেমে দিনের শুরুতেই শহিদুলের বলে পিনাক ঘোষকে হারায় চট্টগ্রাম। এরপর মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনকে নিয়ে সকালের সেশন পার করেন তাসামুল। তবে দুজনেরই রান তোলার গতি ছিল অতি মন্থর। তাদের চেপে রেখে শহিদুল দেখান পেসার ঝাঁজ। অভিষিক্ত মেহরাব হোসেন জোশিও করেন রান আটকানোর কাজ।
৬৭ রানের জুটির পর ১৩০ বলে ৩০ করা অঙ্কনকে আউট করে উইকেট নেওয়া শুরু করেন সানি। অভিষিক্ত মাসুম খানকে নিয়ে এরপর ৫৭ রানের আরেক জুটি পান তাসামুল।
৭৩ বলে ২৭ করা তাসামুলকেও ক্যাচ বানান সানি। এরপর টপাটপ উইকেট পড়তে থাকে। সবগুলোই নেন সানি। সেঞ্চুরির কাছে চলে যাওয়া তাসামুল ছিলেন একমাত্র ভরসা, কিন্তু নব্বুইর ঘরে গিয়েই শেষ হয় তার ইনিংস। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আরাফান সানির বলে বোল্ড হয়ে যান চট্টগ্রামের এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান।
ব্যাট করতে নেমে ঢাকা মেট্রোর শুরুটাও ভাল হয়নি। অভিষিক্ত নোমান চৌধুরীর বলে সাদমান ইসলাম ক্যাচ দেন গালিতে। অদ্ভুতুড়ে রান আউটে ফেরেন রাকিন আহমেদ। দুই অভিজ্ঞ মার্শাল আইয়ুব আর শামসুর রহমান মিলে অবশ্য দিনের বাকিটা সময় আর কোন বিপর্যয় বাড়াতে দেননি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
চট্টগ্রাম বিভাগ প্রথম ইনিংস: ২৯০ (তাসামুল ৯০, সাদিকুর ৫১; আরাফাত সানি ৬/৮৭)
ঢাকা মেট্রো প্রথম ইনিংস: ২৪ ওভারে ২/৬৬ ( সাদমান ৬, রাকিন ৮, শামসুর ব্যাটিং ২৬*, মার্শাল ব্যাটিং ২১* ; নোমান ১/২৩)
Comments