মুশফিকের ব্যাটে রান
তাইজুল ইসলামের ঘূর্ণিতে আগের দিনই বিভাগের ৭ উইকেট তুলে নিয়েছিল রাজশাহী। একমাত্র স্বীকৃত ব্যাটসম্যান হিসেবে অপরাজিত থাকা তাইবুর পারভেজ টেল এন্ডারদের নিয়ে এদিন যোগ করেন আরও ৯৭ রান। এরপর সুমন খানের পেসে রাজশাহীকে কাঁপিয়ে দেয় ঢাকা। সেই বিপর্যয় সামাল দেন জহুরুল ইসলাম আর মুশফিকুর রহিম।
ফতুল্লায় প্রথম স্তরের ম্যাচে লড়াই চলছে সমান তালে। ঢাকার করা ২৪০ রানের জবাবে ৬ উইকেটে ১৭৩ রান তুলে দিন শেষ করেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রাজশাহী।
আগের দিনের ৭ উইকেটে ১৪৩ রান নিয়ে নেমে আর ১ রান যোগ করেই নাজমুল ইসলামকে হারায় ঢাকা। কিন্তু তাইবুর ছিলেন অবিচল। সুমন খানকে নিয়ে নবম উইকেটে যোগ করেন আরও ৪৮ রান। জুটিতে সুমনের অবদান ছিল মাত্র ১০। শেষ উইকেটে সালাউদ্দিন শাকিলকে নিয়েও যোগ করেন আরও ৪৮ রান। যাতে সালাউদ্দিন করেন ৫ রান। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন তিনি।
১২৩ বলে ৯ চার, ১ ছক্কায় তাইবুর অপরাজিত থেকে যান ৮৮ রানে।
ঢাকাকে কম রানে মুড়িয়ে স্বস্তিতে থাকতে পারেনি রাজশাহী। পেসার সুমন খান কাঁপিয়ে দেন রাজশাহীর টপ অর্ডার। ৭ ওভারের প্রথম স্পেলে মাত্র ২ রান দিয়ে তিনি তুলে নেন ৩ উইকেট। মিজানুর রহমানকে ক্যাচ বানিয়ে উইকেট নেওয়া শুরু সুমনের। এরপর জুনায়েদ সিদ্দিকী আর অভিষেক মিত্রকে করেন বোল্ড।
১৪ রানে ৩ উইকেট খুইয়ে দিশেহারা রাজশাহী পথ পায় জহুরুল-মুশফিকের ব্যাটে। ১২১ রানের জুটিতে দুজনে সামাল দেন পরিস্থিতি। মুশফিক অবশ্য এগুচ্ছিলেন সেঞ্চুরির দিকেই। কিন্তু শুভাগত হোমের স্পিনে ৭৫ রানেই শেষ হয় তার ইনিংস। এরপর দ্রুত ফেরেন সাব্বির রহমান ও শাকির হোসেন।
দিনশেষে ৫৭ রানে অপরাজিত থাকা জহুরুলের সঙ্গী ১৪ রানে অপরাজিত ফরহাদ রেজা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
(দ্বিতীয় দিন শেষে)
রাজশাহী প্রথম ইনিংস: ২৪০ ( তাইবুর ৮৮ ; তাইজুল ৪/৯২)
ঢাকা প্রথম ইনিংস: ৬৬ ওভারে ১৭৩/৬ (মুশফিক ৭৫, জহুরুল ব্যাটিং ৫৭* ; সুমন ৩/২৭)
Comments