বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচে থাকবে যুদ্ধংদেহী মনোভাব, বলছেন জামাল

jamal bhuiyan
জামাল ভূঁইয়া (মাঝে)। ছবি: বাফুফে

বাছাই পর্বের দুই ম্যাচের দুটিতেই হেরেছে বাংলাদেশ। অন্যদিকে, ভারত দুই ম্যাচে খেলে একটিতে ড্র করলেও হেরেছে বাকিটি। তাই নিজেদের মধ্যকার লড়াইটিকে পূর্ণ পয়েন্ট প্রাপ্তির ভালো সুযোগ বলে মনে করছে দুপক্ষই। পাশাপাশি দুই প্রতিবেশী দেশের ম্যাচে চরম উত্তেজনা বিরাজ করবে বলেও মনে করেন বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। এমনকি মাঠে দুদলের খেলোয়াড়দের শারীরিক শক্তি প্রদর্শনের সম্ভাবনাকেও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তিনি।

২০২২ বিশ্বকাপ ও ২০২৩ এশিয়ান কাপের যৌথ বাছাইয়ে 'ই' গ্রুপে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে আগামী মঙ্গলবার ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে কলকাতার সল্টলেক স্টেডিয়ামে। খেলা শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত আটটায়।

ভারতীয় গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের তারকা মিডফিল্ডার জামাল বলেন, ‘এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ, কেবল আমাদের জন্য নয়, ভারতের জন্যও। তাদেরও জয় দরকার। এটা একটা কঠিন ম্যাচ হতে যাচ্ছে।’

এবারের বাছাইয়ে বাংলাদেশ ও ভারত দুদলই এখনও জয়শূন্য। সল্টলেকে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ম্যাচে এ ধারা থেকে বের হতে মরিয়া দুই শিবিরই। যে কোনো মূল্যে জয় ছিনিয়ে নেওয়ার প্রবণতা থেকে মাঠে যুদ্ধংদেহী মনোভাব দেখাতে পারেন ফুটবলাররা, এমনটাই মনে করছেন জামাল, ‘আমার মনে হয়, প্রচুর ট্যাকল হবে আর হলুদ কার্ডের ছড়াছড়িও দেখতে পাওয়া যাবে। কারণ কেউ-ই এ ম্যাচটি হারতে চায় না। আমি ব্যক্তিগতভাবে হারতে চাই না। আর আমি নিশ্চিত, সুনীলও (ছেত্রী, ভারতীয় দলের দলনেতা) হারতে চায় না।’

বাংলাদেশ দলের কোচ জেমি ডে অবশ্য দ্বিধাহীনভাবে এগিয়ে রাখছেন স্বাগতিক ভারতকে। ফিফা র‍্যাঙ্কিং আর অতীত পরিসংখ্যানও সায় দিচ্ছে তার কথায়। ভারত যেখানে র‍্যাঙ্কিংয়ের ১০৪ নম্বরে, সেখানে বাংলাদেশের অবস্থান ১৮৭তম। ৮৩ ধাপ পিছিয়ে থাকলেও মাঠে নিজেদের সেরাটা ঢেলে দেওয়ার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে চান তিনি।

ডে জানান, ‘ছেলেরা (এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন কাতারের বিপক্ষে ঘরের মাঠে) খুবই ভালো খেলেছে এবং আমি খুবই আনন্দিত। আমি কেবল আরেকটি ইতিবাচক নৈপুণ্য প্রদর্শনের প্রত্যাশা করছি (ভারতের সঙ্গে)।’

Comments

The Daily Star  | English

Trump brokered ceasefire agreement in contact with Israel, Iran: White House official

Meanwhile, fresh series of explosions were reported in the Iranian capital Tehran, as per AFP journalist

1d ago