বার্সেলোনায় যোগ দিতে আগ্রহী ওজিল!

ছবি: এএফপি

গত রাশিয়া বিশ্বকাপ থেকেই দুঃসময় যাচ্ছে আর্সেনালের জার্মান তারকা মেসুত ওজিলের। তুরস্কের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বিতর্কে জড়িয়ে হারিয়েছেন জাতীয় দলের জায়গা। এরপর ক্লাবেও জায়গা পাচ্ছেন না তিনি। চলতি মৌসুমে আর্সেনালের জার্সিতে মাত্র দুটি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। এ ক্লাবে যে তিনি কেবল একটি নম্বর তা খুব ভালো করে জেনে ফেলেছেন বিশ্বকাপ জয়ী এ তারকা। তাই নতুন ক্লাবের সন্ধানে রয়েছেন তিনি।

ফুটবল পাড়ায় গুঞ্জন, তুরস্কের ক্লাব ফেনেরব্যাকই হতে পারে ওজিলের পরবর্তী গন্তব্য। আগামী শীতের দলবদলে সে ক্লাবটিতে যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে বলেই সংবাদ প্রকাশ করেছে দ্য গার্ডিয়ান সহ বেশ কিছু ইংলিশ গণমাধ্যম। মূলত তুরস্কের সংবাদমাধ্যম তাকভিম এ গুঞ্জনের মূল উৎস। উচ্চ বেতন দিয়ে ওজিলকে কিনতে আগ্রহী খুব কম ক্লাবই। সপ্তাহে সাড়ে ৩ লাখ পাউন্ড বেতন নেন এ জার্মান তারকা। এ বেতন দিয়েই ফেনেরব্যাক চায় ওজিলকে।

কিন্তু ওজিলের ভাবনা ভিন্ন। বয়স মাত্র ৩০ বছর। ক্যারিয়ারে এখনও লম্বা সময় পড়ে আছে। এখনি নিচু সারির ক্লাবে যেতে আগ্রহী নন তিনি। বড় কোন ক্লাবেই যোগ দিতে চান। ইচ্ছে আছে সাবেক ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনাতেও যোগ দেওয়ার। এমন সংবাদই প্রকাশ করেছে স্প্যানিশ গণমাধ্যম ডন ব্যালন। বার্সেলোনায় যোগ দেওয়ার জন্য নিজের মুখপাত্রকেও জানিয়েছেন, কাতালান ক্লাবে যেতে নিজের বেতন অর্ধেক করতেও সমস্যা নেই তার। এখন দেখার বিষয় বার্সা তার উপর আগ্রহ দেখায় কি না।

সংবাদে আরও বলা হয়েছে, ইভান রাকিতিচকে আগামী শীতে বিক্রি করতে পারলে ওজিলের উপর আগ্রহ দেখাতেও পারে বার্সেলোনা। এর মধ্যেই রাকিতিচের উপর আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়নরা। চলতি মৌসুমে সে অর্থে খেলার সুযোগ মিলছে না তার। অবশ্য ওজিলকে কেনার ব্যাপারে দলের প্রাণ ভোমরা লিওনেল মেসিরও সবুজ সংকেতের প্রয়োজন রয়েছে।

এদিকে আর্সেনালে কোচ হিসেবে উনাই এমেরি যোগ দেওয়ার পর থেকেই জায়গা নড়বড়ে হয়ে যায় ওজিলের। মাঠের পারফরম্যান্স নয়, ওজিলের উপর বিরক্ত তিনি অনুশীলনের নানা বিষয়ে। এমেরির অভিযোগ অনুশীলনে সিরিয়াস নন এ জার্মান তারকা। সঙ্গে মাঠে প্রত্যাশা অনুযায়ী পারফর্ম করতে না পারায় তাকে আর ক্লাবেই চাইছেন না এ স্প্যানিশ কোচ।

Comments

The Daily Star  | English

Smaller in size, larger in intent

Finance Adviser Salehuddin Ahmed has offered both empathy and arithmetic in his budget speech, laying out a vision that puts people, not just projects, at the heart of economic policy.

9h ago