গায়ানার জয়রথ থামিয়ে সিপিএলের শিরোপা সাকিবদের

ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (সিপিএল) ফাইনালে ওঠার পথে টানা ১১ ম্যাচ জিতেছিল গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্স। তিনবারের দেখায় প্রতিবারই তারা হারিয়েছিল শিরোপার লড়াইয়ের প্রতিপক্ষ বার্বাডোজ ট্রাইডেন্টসকে। কিন্তু মূল মঞ্চে পাল্টে গেল চিত্র। গায়ানাকে আসরের প্রথম হারের স্বাদ দিয়ে সিপিএলের শিরোপা জিতে নিল সাকিব আল হাসানের বার্বাডোজ।
barbados tridents
শিরোপা উৎসবে বার্বাডোজ। ছবি: সিপিএল টুইটার

ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (সিপিএল) ফাইনালে ওঠার পথে টানা ১১ ম্যাচ জিতেছিল গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্স। তিনবারের দেখায় প্রতিবারই তারা হারিয়েছিল শিরোপার লড়াইয়ের প্রতিপক্ষ বার্বাডোজ ট্রাইডেন্টসকে। কিন্তু মূল মঞ্চে পাল্টে গেল চিত্র। গায়ানাকে আসরের প্রথম হারের স্বাদ দিয়ে সিপিএলের শিরোপা জিতে নিল সাকিব আল হাসানের বার্বাডোজ।

শনিবার বাংলাদেশ সময় রাতে ফাইনালে শোয়েব মালিকের গায়ানার বিপক্ষে ২৭ রানে জিতেছে জেসন হোল্ডারের বার্বাডোজ। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৭১ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে বার্বাডোজ। লক্ষ্য তাড়ায় পুরো ওভার খেলে ৯ উইকেটে ১৪৪ রানে থামে গায়ানা।

ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-টোয়েন্টি আসর সিপিএলে বার্বাডোজের দ্বিতীয় শিরোপা এটি। এর আগে ২০১৪ সালে এই গায়ানাকে হারিয়েই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল দলটি। অন্যদিকে, আরও একবার রানার্স-আপ হয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হলো গায়ানাকে। সিপিএলের সাত আসরের পাঁচটিতে ফাইনাল খেললেও দুর্ভাগ্যজনকভাবে কোনোবারই শিরোপা জেতা হয়নি তাদের।

শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে বাংলাদেশের তারকা ক্রিকেটার সাকিব ব্যাটে-বলে তেমন ভূমিকা রাখতে পারেননি। তিনি নিষ্প্রভ থাকলেও জয় তুলে নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েই মাঠ ছেড়েছে বার্বাডোজ। শুরুতে ব্যাট হাতে ১৫ বলে ১ চারে ১৫ রান করেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব। পরে বল হাতেও সুবিধা করতে পারেননি। ২ ওভারে ১৮ রান খরচায় থাকেন উইকেটশূন্য।

দ্বিতীয়বারের মতো সিপিএলে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বাদ নিলেন বাংলাদেশের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি দলনেতা সাকিব। এর আগে ২০১৬ সালে জ্যামাইকা তালওয়াহসের হয়ে শিরোপা জিতেছিলেন তিনি। সে আসরের ফাইনালেও সাকিবদের প্রতিপক্ষ ছিল গায়ানা।

shakib al hasan
ছবি: সাকিব আল হাসানের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে নেওয়া

ত্রিনিদাদের ব্রায়ান লারা স্টেডিয়ামে উদ্বোধনী জুটিতে বার্বাডোজকে ভালো শুরু এনে দেন জনসন চার্লস ও অ্যালেক্স হেলস। ৫.২ ওভারে তারা যোগ করেন ৪৩ রান। ২৪ বলে ২৮ রান করা হেলসের বিদায়ে ভাঙে জুটি। চার্লস ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ২২ বলে করেন ৩৯ রান। মারেন ৬ চার ও ১ ছক্কা। সাকিবসহ পরের চার ব্যাটসম্যান তেমন সুবিধা করতে পারেননি।

১০৮ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলা বার্বাডোজকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দেন সাতে নামা জোনাথান কার্টার। তিনি তাণ্ডব চালিয়ে ২৭ বলে অপরাজিত ৫০ রান করেন সমান ৪টি করে চার ও ছয়ে। অবিচ্ছিন্ন সপ্তম উইকেট জুটিতে অ্যাশলে নার্সকে নিয়ে ৩১ বলে ৬৩ রান যোগ করেন কার্টার। নার্স ১৫ বলে ১৯ রানে অপরাজিত থাকেন।

জবাব দিতে নেমে ব্যাটিং ব্যর্থতায় গায়ানাকে থামতে হয় লক্ষ্য থেকে বেশ দূরে। ওপেনার ব্রান্ডন কিং দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেন ৩৩ বলে। তার ইনিংসে ছিল ৪ চার ও ১ ছয়। আটে নামা কিমো পল ১৪ বলে ২ ছক্কায় ২৫ রান করে কেবল হারের ব্যবধানই কমান।

এছাড়া মিডল অর্ডারে নিকোলাস পুরান ২৫ বলে ২৪ ও শেরফান রাদারফোর্ড ১২ বলে ১৫ রান করেন। বাকিরা কেউ দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি। বার্বাডোজের র‍্যামন রেইফার ৪ ওভারে মাত্র ২৪ রান দিয়ে নেন ৪ উইকেট। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন হ্যারি গার্নি ও নার্স। তারা নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের পাশাপাশি ২টি করে উইকেট নেন।

Comments