বড় রানের সুযোগ হাতছাড়া তামিমের, ব্যর্থ মুমিনুলও

Tamim Iqbal

প্রথম ইনিংসে ছিলেন জড়সড়। উইকেটের বাও বুঝে সময় নিয়ে থিতু হওয়ার চেষ্টায় ছিলেন। কিন্তু ফিরতে হয় বাজে শটে। দ্বিতীয় ইনিংসে পাওয়া গেল অনেকটা সাবলীল তামিম ইকবালকে। এবারও খেলছিলেন সময় নিয়ে। এগুচ্ছিলেন ফিফটির দিকে। সুযোগ ছিল আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়ার মতো ইনিংস খেলার। কিন্তু এবারও ব্যর্থ হলেন তিনি। আর প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও হতাশ করেছেন মুমিনুল হক। এবার আউট হয়েছে মুখোমুখি হওয়া প্রথম বলেই।

রবিবার (১৩ অক্টোবর) ঢাকা মেট্রোর বিপক্ষে চট্টগ্রাম বিভাগের ড্রয়ের দিকে এগুনো শেষ দিনে আগ্রহের কেন্দ্রে ছিলেন তামিম। এবার ১১২ বলে ৪৬ রান করে আউট হয়েছেন তিনি। তামিমের সুযোগ হাতছাড়া হওয়ার দিনে ম্যাড়ম্যাড়ে ড্র হয়েছে চট্টগ্রাম ও ঢাকা মেট্রোর দ্বিতীয় স্তরের ম্যাচ। 

মিরপুরে প্রথম স্তরের ম্যাচে আগের দিনের ৭ উইকেটে ৩৪৯ রান নিয়ে আর বেশি দূর যেতে পারেনি ঢাকা মেট্রো। আর মাত্র ৫ রান যোগ করেই বাকি ৩ উইকেট হারায় তারা। আগের দিনের দুই ব্যাটিং হিরো জাবিদ হোসেন ৮৫ ও শহিদুল ইসলাম ৮৩ রানে থামেন।

সকালের প্রথম ঘণ্টাতেই তাই চট্টগ্রাম বিভাগের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামেন তামিম। পিনাক ঘোষকে নিয়ে শুরুটা হয় দারুণ। খোলস থেকে বেরিয়ে আসার আভাস মিলছিল তামিমের ব্যাটে। অবশ্য সে তুলনায় পিনাক ছিলেন বেশি আগ্রাসী। তামিমকে ছাপিয়ে ফিফটি তুলে নেন তিনি। ১০৯ বলে ৫৭ রান করে মাহমুদউল্লাহর বলে এলবিডব্লিউ হন লাঞ্চের পর। 

লাঞ্চের পর অস্থিরতা বাড়তে থাকে তামিমেরও। মাহমুদউল্লাহর বলে জায়গা বের করে খেলার চেষ্টায় স্টাম্প থেকে সরে যেতে দেখা যায় তাকে। ওদিকে পিনাককে আউট করার পরের বলেই মুমিনুলকে তুলে নেন মাহমুদউল্লাহ। মুখোমুখি হওয়া প্রথম বলেই মুমিনুলের ক্যাচ যায় স্লিপে।

এক ওভার পর তামিমও শিকার মাহমুদউল্লাহর। সকাল থেকে দারুণ টার্ন পাওয়া মাহমুদউল্লাহর বলে সামনে এসে রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলতে গিয়েছিলেন তামিম। কিন্তু জোরালো আবেদনে হয়ে যান এলবিডব্লিউ। যদিও আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত নিয়ে মাঠেই অসন্তোষ জানাতে দেখা যায় তামিমকে। ১৪২ মিনিট ক্রিজে থেকে ১১২ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় ৪৬ রানে থামতে হয় তাকে। 

তামিমের পর মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনকে এলবিডব্লিউতে তুলে নেন আরাফাত সানি। তিনিও খুশি হতে পারেননি আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে। বিনা উইকেটে ১০২ থেকে হঠাৎ বিপর্যয়ে ১০৮ রানে ৪ উইকেট হারায় চট্টগ্রাম।

এরপর ১১৫ রানের জুটি গড়েন তাসামুল হক ও মাসুম খান। প্রথম ইনিংসের মতো এবারও হেসেছে তাসামুলের ব্যাটে। ৫৩ রান করে আল-আমিন জুনিয়রের বলে ফেরেন তিনি। আরেক প্রান্তে মাসুম খান ছিলেন অবিচল। ৬৩ রানে অপরাজিত থেকে যান মাসুম। 

দিনের খেলা শেষ হওয়ার এক ঘন্টা আগে ড্র মেনে নেয় দুদল। 

Comments

The Daily Star  | English

Iran launches waves of missiles at Israel in response to airstrikes

"New round of Honest Promise 3 attacks," state television reported, referring to the name of the Iranian military operation against Israel

1h ago