প্রতিটি অসুস্থ বাচ্চাকে দেখেই হাসপাতাল ছাড়লেন ইতালিয়ান ফুটবলার

ছবি: টুইটার

রোমের হাসপাতালে অসুস্থ বাচ্চাদের দেখতে গিয়েছিলেন ইতালিয়ান ফুটবলাররা। কিছু বাচ্চাদের সঙ্গে দেখা করার পর দলের সবাই ফেরার জন্য বসেছেন টিম বাসে। কিন্তু ফ্র্যান্সিস্কো আচের্বির দেখা নেই। পরে তার খোঁজ নিতে গেলে তিনি জানিয়ে দেন, প্রতিটি বাচ্চাকে না দেখা পর্যন্ত হাসপাতাল ছাড়বেন না তিনি। প্রয়োজনে আলাদা করে ট্যাক্সিতে করে টিম হোটেলে ফিরবেন। এমনকি শেষ পর্যন্ত ফিরেছেন একাই। মানবতার অনন্য নিদর্শন দেখালেন এ ইতালিয়ান ডিফেন্ডার।

জিতলেই ইউরোর মূল পর্ব নিশ্চিত হবে ইতালির। গ্রিসের বিপক্ষে এমন ম্যাচে মাঠে নামার একদিন আগে দলের সবাইকে নিয়ে বামবিনো গেসু হাসপাতালে অসুস্থ বাচ্চাদের দেখতে গিয়েছিলেন কোচ রবার্তো মানচিনি। সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছিলেন নানা উপহার। ছিল স্টাফ এবং বাচ্চাদের পরিবারের জন্য ম্যাচ টিকেটও। উপহার বাচ্চাদের হাতে দিয়ে ফেরার জন্য তাড়া দেন কোচ। কিন্তু দলের সবার সঙ্গে না গিয়ে আলাদা যান আচের্বি।

বিষয়টি পরে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন ইতালি জাতীয় দলের মিডিয়া অফিসার আলেসান্দ্রো লাপিনো। আচের্বিকে টিম বাসে ফিরতে বলায় তিনি বলেছিলেন, 'তারা চলে গেলে চলে যেতে পারে। আমি ট্যাক্সি ধরে পরে ফিরে আসবো। কিন্তু আমি প্রত্যেককে না দেখে ফিরবো না।'

তার এমন কোথায় দারুণ মুগ্ধ হন সবাই। কারণ অসুস্থ মানুষ দেখলেই মন কেঁদে ওঠে তার। কারণ ২০১৩ সালে এসি মিলানে থাকা কালীন সময়ে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। দারুণ সংগ্রামের পর শেষ পর্যন্ত ক্যান্সার জয় করতে পেরেছেন। ফিরেছেন মাঠেও। কিন্তু দুঃসময়টা ভুলে যাননি তিনি। ভুলে যাননি অবর্ণনীয় কষ্টের কথাও।

আগের রাতে গ্রিসের বিপক্ষে পুরো ৯০ মিনিট খেলেছেন আচের্বি। দলও জিতেছে ২-০ গোলের ব্যবধানে। ফলে ইউরো ২০২০ এর মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছে তারা।

Comments

The Daily Star  | English

Uncovering the silent deaths of migrant women

In the shadows of booming remittance flows and the quiet resilience of Bangladesh’s labour diaspora, a disturbing reality persists: numerous Bangladeshi female migrant workers, particularly those employed as domestic help in Gulf countries, are returning home in coffins.

18h ago