ব্যাটে-বলে আলো ছড়িয়ে সেরা হওয়াতেই স্বস্তি মাহমুদউল্লাহর

একমাত্র ইনিংসে ব্যাটিংয়ে ৬৩ রান। দুই ইনিংসেই বল হাতে ছড়িয়েছেন আলো। নিয়েছেন ৬ উইকেট। তাতে নিষ্প্রাণ ম্যাচে সেরার পুরস্কার উঠেছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের হাতে। ব্যাটিংয়ে বরাবরই অবদান রাখেন। কাঁধের চোটে বোলিংটা করতেই পারছিলেন না। এবার সে চোট সামলে বল তো করেছেনই, ব্যাটসম্যানদের কাবু করেছেন, নিয়েছেন উইকেট। মাহমুদউল্লাহর সন্তুষ্টি তাই সব দিক থেকে।
Mahmudullah
ছবি: সংগ্রহ

একমাত্র ইনিংসে ব্যাটিংয়ে ৬৩ রান। দুই ইনিংসেই বল হাতে ছড়িয়েছেন আলো। নিয়েছেন ৬ উইকেট। তাতে নিষ্প্রাণ ম্যাচে সেরার পুরস্কার উঠেছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের হাতে। ব্যাটিংয়ে বরাবরই অবদান রাখেন। কাঁধের চোটে বোলিংটা করতেই পারছিলেন না। এবার সে চোট সামলে বল তো করেছেনই, ব্যাটসম্যানদের কাবু করেছেন, নিয়েছেন উইকেট। মাহমুদউল্লাহর সন্তুষ্টি তাই সব দিক থেকে।

প্রথম ইনিংসে ২৬ ওভার বল করে ৫৫ রানে ৩ উইকেট নেন মাহমুদউল্লাহ। ব্যাটিংয়ে নেমে খেলেন ৬৩ রানের ইনিংস। দ্বিতীয় ইনিংসে ১৩ ওভার বল করে ২৫ রানে নেন আরও ৩ উইকেট।

প্রথম ইনিংসে লম্বা স্পেলে বল করতে দেখে গেছে তাকে। বল টার্ন করিয়েছেন, বাউন্স আদায় করে ব্যাটসম্যানদের ধন্দে ফেলেছেন। তাতে মিলেছে সাফল্য। দুই ইনিংসেই তার বলে আউট হন তামিম ইকবাল।

দ্বিতীয় ইনিংসে ১৩ ওভার বল করেই আরো ধারালো ছিলেন তিনি। পর পর দুই বলে পিনাক ঘোষ আর মুমিনুল হককে আউট করে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও জাগিয়েছিলেন। তার অলরাউন্ড নৈপুণ্যে দাপট দেখিয়েই ম্যাচ শেষ করেছে তার দল ঢাকা মেট্রো।

জাতীয় দলে এমনিতেই নিয়মিত খেলা হয় না। এরমধ্যে হয়েছেন ম্যাচ সেরা। তবে মাহমুদউল্লাহকে সবচেয়ে তৃপ্তি দিচ্ছে লম্বা সময় স্বচ্ছন্দে বল করা,  ‘সত্যি বলতে মাঝে আমার কাঁধের ইনজুরি ছিল, সাত মাসের মতো আমি বোলিং করতে পারিনি। তাই আমি উদগ্রীব ছিলাম কিছু ওভার বল করতে। আলহামদুলিল্লাহ বোলিং করতে পেরেছি। আমার বোলিং অনুশীলনটাও ভালো হলো। কারণ, আমিও চাচ্ছিলাম যতোটা বেশি ওভার বলা করা যায়। এটাই মূল উদ্দেশ্য ছিল।’

‘বোলিং আমি সবসময় করতে চাই। আমি মনে করি এটা আমাকে বাড়তি সুবিধা বা বাড়তি আত্মবিশ্বাস দেয় আমার ব্যাটিংয়ে।’

উইকেটে সুবিধা ছিল। বল করে তাই তৃপ্ত। তবে উইকেটে টিকতে পারলে রান করাও কঠিন ছিল না। এখানে তাই সেঞ্চুরি না করার একটা খেদ থেকে গেছে তার, ‘যদি তিন অঙ্ক ছুঁতে পারতাম তাহলে আরেকটু ভালো লাগতো। আমি চেষ্টাও করছিলাম। পিচে দ্বিতীয় এমনকি তৃতীয় দিনেও বোলারদের জন্য সুবিধা ছিল। সেটা স্পিনার ও পেসার সবার জন্য। আর ব্যাটসম্যানরা সবাই চেষ্টা করছিল, আমিও চেষ্টা করছিলাম।’

প্রথমে থিতু হতে বেশ কিছুটা সময় নেন। পরে ধীরে ধীরে মেলেন ডানা। ১৩৪ বলে ৬৩ রান করে অফ স্পিনে হয়েছেন কাবু,  ‘আমি প্রথম দুই মনে হয় ৩০/৩২ বা ৪০ বলে করেছিলাম। প্রথমে টিকে থাকতে চেয়েছিলাম যাতে পরে লাভটা তুলে নিতে পারি। ওটাই চেষ্টা করছিলাম।’

 

 

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

8h ago