বাংলাদেশ ‘মার্ক’ করলে বরং খুশিই হবেন সুনীল ছেত্রী!
ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে সুনীল ছেত্রী বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় হুমকি। অভিজ্ঞতায় ঋদ্ধ এই স্ট্রাইকার এক কথায় দুর্ধর্ষ। বয়স ৩৫ বছর পেরিয়ে গেলেও তার গোল করার ক্ষমতা কমা তো দূরে থাক, বেড়েই চলেছে। পরিসংখ্যান দিচ্ছে সেই সাক্ষ্য। ছেত্রীকে নিয়ে তাই আলাদা করে ছক কষতে হচ্ছে বাংলাদেশের কোচ জেমি ডেকে। পরিকল্পনা তাকে বোতলবন্দী করে রাখার। তবে এসব নিয়ে ভাবছেন না ছেত্রী। বরং মার্ক (কড়া পাহারায় রাখা) করা হলে খুশিই হবেন বলে জানিয়েছেন তিনি!
২০২২ বিশ্বকাপ ও ২০২৩ এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে ‘ই’ গ্রুপে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে কলকাতার সল্টলেক (বিবেকানন্দ যুব ভারতী ক্রীড়াঙ্গন) স্টেডিয়ামে। খেলা শুরু বাংলাদেশ সময় রাত আটটায়। এখন পর্যন্ত বাছাইয়ে দুই ম্যাচ খেলে দুটিতেই হেরেছে ডের শিষ্যরা। অন্যদিকে, ভারতও সমান ম্যাচ খেলে জয়হীন। দুদলের জন্য তাই ম্যাচটি ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সবশেষ দুটি ম্যাচই ড্র হয়। ২০১৩ সালে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ১-১ সমতায় শেষ হয়েছিল দুই প্রতিবেশীর দ্বৈরথ। পরের বছর আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচের ফল ছিল ২-২। দুই ম্যাচেই জয়ের পথে ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সেই পথ থেকে লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের দুবারই ছিটকে দিয়েছিলেন ছেত্রী। দুটি ম্যাচেই অন্তিম সময়ে লক্ষ্যভেদ করে বাংলাদেশকে জয়বঞ্চিত করেছিলেন তিনি। কাতারের বিপক্ষে দলের শেষ ম্যাচে শারীরিক অসুস্থতার জন্য খেলতে না পারা এই ফরোয়ার্ড বাংলাদেশের বিপক্ষে মাঠে নামতে পুরোপুরি প্রস্তুত।
বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সহকারী কোচ স্টুয়ার্ট ওয়াটকিস ভারতীয় গণমাধ্যমের কাছে আগেই বলেছিলেন, ‘অবশ্যই, ছেত্রী সবচেয়ে বিপজ্জনক খেলোয়াড়। যে পরিমাণ গোল তিনি করেছেন, তাতেই বোঝা যায় ব্যাপারটা।’
জাতীয় দলের জার্সিতে ১১২ ম্যাচে ৭২ গোলের রেকর্ডধারী এই ছেত্রীকে আটকে দিয়ে নিজেদের গোলপোস্ট অক্ষত রাখার দায়িত্বটা নিতে হবে বাংলাদেশের রক্ষণভাগের ইয়াসিন খান, রহমত মিয়া, রায়হান হাসানদের। আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে ডের বক্তব্যে বোঝা গেছে, মাঠে ছেত্রীকে মার্ক করা হবে, তাকে স্বাধীনভাবে খেলতে দেওয়া হবে না, ‘যদি ওদের (ভারতের) বড় খেলোয়াড়দের জায়গা দেই, তবে তারা আমাদের পুরোপুরি ভোগাবে।’
ছেত্রী অবশ্য মার্ক হওয়ার চ্যালেঞ্জ নিতে মুখিয়ে, ‘যদি তারা আমাকে পাহারায় রাখে, আমি খুশি হব। যদি তিন/চার জন আমাকে পাহারায় রাখে, তাহলে এটা হবে দশ জনের সঙ্গে চার জনের লড়াই। তাহলে আমরা সংখ্যার দিক থেকে সুবিধা পাব। এটা কেবল আমার ব্যাপার নয়, এটা বাংলাদেশেরও ব্যাপার।’
তিনি যোগ করেন, ‘আমি সত্যিই খুশি হব যদি আমাকে মার্ক করা হয়। কারণ তখন মানবীর সিং, বলবন্ত সিং, উড়ন্ত সিং, আশিক কুরুনিয়ান যারা আমার চেয়ে শারীরিকভাবে ভালো অবস্থায় আছে, তারা সুবিধা পাবে। দেখা যাক, কী ঘটে।’
Comments