জিপি, রবিতে শীঘ্রই সরকারি প্রশাসক
সরকার গ্রামীণফোন ও রবি ব্যবসা পরিচালনার জন্য প্রশাসক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এটি হবে বাংলাদেশের এক নজিরবিহীন ব্যবস্থা।
এই বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, সরকারের শীর্ষ কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের ফলে এই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এর মাধ্যমে বেসরকারি টেলিকম সংস্থা দুটির কাছে সরকারের দাবিকৃত ১৩ হাজার ৪৪৭ কোটি টাকা পুনরুদ্ধার করার লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে।
২০১৬ সালে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) দুটি পৃথক অডিটের মাধ্যমে এই অর্থের পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছিলো।
প্রশাসক নিয়োগের বিষয়টি অনুমোদনের জন্য গত ১৫ অক্টোবর বিটিআরসি দুটি চিঠি পাঠিয়েছে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে।
চিঠিতে প্রতিটি সংস্থায় চারজন প্রশাসক নিয়োগের প্রস্তাব করা হয়েছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার গতকাল (১৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ডেইলি স্টারকে জানান, “আমাদের কাছে টেলিকম নিয়ন্ত্রক সংস্থার সুপারিশ রয়েছে। আমরা এগুলো বিবেচনায় নিবো। কেননা, সরকারের শীর্ষ কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে এ বিষয়ে তাৎক্ষনিক পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে।”
আজ (১৭ অক্টোবর) প্রস্তাবটির অনুমোদন আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে বলেও তিনি জানান।
“আমি মৌখিকভাবে বিটিআরসিকে নির্দেশনা দিয়েছি প্রস্তুত থাকার জন্যে। প্রশাসকের পদে উপযুক্ত ব্যক্তিদের খোঁজ নেওয়ার কথাও বলেছি,” যোগ করেন তিনি।
এর আগে বাংলাদেশে কোনো বেসরকারি কোম্পানিকে কখনো প্রশাসক নিয়োগ হয়নি বলেও মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
টেলিকম বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তারা আরও বলেন, সরকারের সম্মতি নিয়ে টেলিকম নিয়ন্ত্রক এবং মন্ত্রণালয় প্রশাসক নিয়োগের বিষয়টি নিয়ে এগিয়েছে।
৫ সেপ্টেম্বর, বিটিআরসি গ্রামীণফোন এবং রবিকে দুটি নোটিশ দিয়ে জানতে চায় যে, ‘পাওনা’ পরিশোধে ব্যর্থতার কারণে কেনো তাদের টুজি এবং থ্রিজি লাইসেন্স বাতিল করা হবে না।
জবাবে সংস্থা দুটি জানায়, বিটিআরসির নোটিশগুলো অবৈধ কেননা, এ বিষয়টি বিচারাধীন।
বিটিআরসির চেয়ারম্যান জহিরুল হক গতকাল বলেন, কোম্পানি দুটির জবাব সন্তোষজনক নয়। কমিশন প্রশাসকদের নিয়োগের আগে সংস্থা দুটির টুজি ও থ্রিজি লাইসেন্স স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আর সেক্ষেত্রে নিয়োগকৃত এই প্রশাসকরাই তখন অপারেটর দুটির টুজি ও থ্রিজি সেবা চালু রাখতে কাজ করবেন।
(সংক্ষেপিত, পুরো প্রতিবেদনটি পড়তে এই Administrators for GP, Robi soon লিংকে ক্লিক করুন)
Comments