একজন অভিনয়শিল্পীর কাছে অভিনয়টাই আসল: জাহিদ হাসান
জাহিদ হাসান নব্বই দশক থেকে এদেশের টিভি নাটকে অভিনয় করছেন। কাজের স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও। তার ক্যারিয়ারে অসংখ্য জনপ্রিয় নাটক রয়েছে। পাশাপাশি নাটক পরিচালনাও করছেন।
সম্প্রতি জাহিদ হাসান অভিনীত নতুন সিনেমা সাপলুডু মুক্তি পেয়েছে। ভারতেও তার অভিনীত বাংলা সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। সেসব নিয়েই কথা বলেছেন দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে।
দ্য ডেইলি স্টার: আপনার অভিনীত সাপলুডু সিনেমাটি সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে, এটি নিয়ে কিছু বলুন।
জাহিদ হাসান: আমি সব সময় পজিটিভ চিন্তাধারার একজন মানুষ। কখনও আশা হারাইনি। ভালো কাজ নিয়ে আরও বেশি আশাবাদী আমি। সেভাবেই আমার বিশ্বাস সাপলুডু একটি ভালো সিনেমা হবে। কাজ করে তাই মনে হয়েছে। এখন সিনেমাকে টিকিয়ে রাখেন দর্শকরা। একটি সিনেমা একার কাজ না। অনেকগুলো মানুষের পরিশ্রমের ফসল সিনেমা। সাপলুডুতে সবাই মিলে শ্রম দিয়েছি।
দ্য ডেইলি স্টার: সাপলুডু সিনেমায় কীভাবে সম্পৃক্ত হলেন?
জাহিদ হাসান: এই সিনেমার পরিচালক গোলাম সোহরাব দোদুল। ভালো একজন পরিচালক। অনেক নাটক পরিচালনা করেছে। আমাদেরই কাছের ছোট ভাই। একদিন দোদুল আমার কাছে প্রস্তাব নিয়ে আসে। গল্পটা বলে। গল্পটা ভালো লাগে। আরও বেশ কয়দিন আমরা বসি। এভাবেই সাপলুডুর সঙ্গে আমি সম্পৃক্ত হই।
দ্য ডেইলি স্টার: হালদার পর শনিবার বিকেলে, তারপর সাপলুডু, আর কোনো সিনেমায় কাজ করছেন কী?
জাহিদ হাসান: কথা চলছে। প্রস্তাব নিয়ে অনেকেই আসেন। গল্প ও চরিত্র পছন্দ হলেই কাজটি করা যায়। এখন কথা হচ্ছে শিহাব শাহীনের সঙ্গে। শিহাব শাহীন ভালো পরিচালক। দেখা যাক কী হয়। সবকিছু পছন্দ হলে কাজটি করা হবে।
দ্য ডেইলি স্টার: ভারতে আপনার অভিনীত প্রথম সিনেমা মুক্তি পেয়েছে, সে বিষয়ে যদি কিছু বলেন।
জাহিদ হাসান: ভারতে প্রথমবার বাংলা সিনেমায় অভিনয় করেছিলাম এক বছর আগে। সিনেমার নাম সিতারা। প্রধান একটি চরিত্রে অভিনয় করেছি। সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে। প্রখ্যাত লেখক আবুল বাশারের ভোরের প্রসূতি উপন্যাস থেকে সিনেমাটির গল্প নেওয়া হয়েছে।
দ্য ডেইলি স্টার: ভারতের বাংলা সিনেমায় কাজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করবেন?
জাহিদ হাসান: অবশ্যই। একজন অভিনয়শিল্পীর কাছে অভিনয়টাই আসল। পাশের দেশ বা ভিন্ন দেশের সিনেমা বলে বাড়তি কোনো চাপ ছিলো না। আমি অভিনয়টা করে গেছি। শুটিং করার সময় সেটে অনেকে কাজের প্রশংসা করেছেন। একটা কাজ আমি করি, যখন যে কাজটি করি যত্ন নিয়ে করি। সিতারা সিনেমায়ও তাই করেছি। আসলে সব দেশের ক্যামেরার ভাষা কিন্তু এক।
দ্য ডেইলি স্টার: অভিনয় ছাড়াও নাটক পরিচালনার সঙ্গেও আপনি যুক্ত, নতুন কোনো নাটক কি পরিচালনা করছেন?
জাহিদ হাসান: নতুন একটি ধারাবাহিক নাটক পরিচালনা শুরু করেছি। নাটকটির নাম হুলস্থূল। নাট্যকার জাকির হোসেন উজ্জল। প্রথম লটের শুটিং শেষ করেছি। সামনেই দ্বিতীয় লটের শুটিং করবো। আরটিভিতে প্রচার হবে নাটকটি।
দ্য ডেইলি স্টার: আপনার পরিচালিত মেগা ধারাবাহিক লাল নীল বেগুনি ব্যাপক জনপ্রিয় একটি নাটক, অভিনয় ও পরিচালনা কোনটি বেশি পছন্দ?
জাহিদ হাসান: দুটিই ভালোবাসি। দুটিই পছন্দ করি। যদি বেশি পছন্দ বা বেশি ভালোবাসার কথা আসে, তাহলে বলবো- অভিনয় আমার প্রথম ভালোবাসা। অভিনয় করি বলেই তো ধীরে ধীরে নাটক পরিচালনায় এসেছি। অভিনয় করি বলেই তো এতো মানুষ আমাকে ভালোবাসেন। অভিনয় শিল্পের বাইরে কিছু করি না। সেজন্য মাঝে মাঝে নাটকও পরিচালনা করি।
দ্য ডেইলি স্টার: নব্বই দশক থেকে আজও আপনি ব্যাপক জনপ্রিয় একজন তারকা, কীভাবে সম্ভব টানা এতোদিন জনপ্রিয়তা ধরে রেখে কাজ করে যাওয়া?
জাহিদ হাসান: এটার জন্য প্রথমে কৃতজ্ঞতা জানাই সৃষ্টিকর্তাকে। তারপর কৃতজ্ঞতা দর্শকদের। দর্শকরা আমার কাজ ভালোবাসেন বলেই এতোদিন ধরে টানা কাজ করতে পারছি এবং সবার ভালোবাসা পাচ্ছি। সবচেয়ে বড় কথা সততা নিয়ে ও ভালোবাসা নিয়ে কাজটি করি। পরিশ্রমও করি। সততা, পরিশ্রম ও ভালোবাসা এবং মানুষের আশীর্বাদ যদি থাকে- তাহলে টিকে থাকা সম্ভব।
Comments