পাকিস্তান সফরের প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে কিশোররা

চার সদস্যের একটি নিরাপত্তা প্রতিনিধি দল পাকিস্তানের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখতে ঢাকা ছেড়েছে গত বুধবার। ফেরার কথা রয়েছে আগামীকাল রোববার (২১ অক্টোবর)। ফিরে দেশটির নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে সবুজ সংকেত দিলেই বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৭ দলকে পাকিস্তানে পাঠানোর কথা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের। কিন্তু তাদের ফেরার আগেই পাকিস্তান যাওয়ার সব প্রস্তুতি সেরে ফেলেছে বিসিবি। ইতিবাচক সংকেত পেলে আগামীকাল সোমবার (২১ অক্টোবর) রাত পৌনে ৮টায় পাকিস্তানের বিমান ধরবে কিশোররা।
ছবি: সংগ্রহীত

চার সদস্যের একটি নিরাপত্তা প্রতিনিধি দল পাকিস্তানের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখতে ঢাকা ছেড়েছে গত বুধবার। ফেরার কথা রয়েছে আগামীকাল সোমবার (২১ অক্টোবর)। ফিরে দেশটির নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে সবুজ সংকেত দিলেই বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৭ দলকে পাকিস্তানে পাঠানোর কথা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের। কিন্তু তাদের ফেরার আগেই পাকিস্তান যাওয়ার সব প্রস্তুতি সেরে ফেলেছে বিসিবি। ইতিবাচক সংকেত পেলে আগামীকাল রাত পৌনে ৮টায় পাকিস্তানের বিমান ধরবে কিশোররা।

পাকিস্তান সফরকে সামনে রেখে গত কয়েক দিন থেকে জোর প্রস্তুতি চলছে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের একাডেমী মাঠে। এদিনও অনুশীলন করেছেন কিশোররা। তবে দুপুরের পর থেকেই চলছে ব্যাগ গোছানো পর্ব। দলের সঙ্গে প্রধান কোচ হিসেবে যাচ্ছেন মিজানুর রহমান বাবুল। তার সহকারী হিসেবে থাকবেন জাতীয় দলের সাবেক ওপেনার মেহরাব হোসেন অপি।

অনুশীলন শেষে কোচ বাবুল জানালেন সফরে যাওয়ার কথা, 'আমি যতদূর শুনেছি এই সফর নিশ্চিত। আনুষ্ঠানিকভাবে হয়তো ঘোষণা আসেনি। আর যাওয়া হোক বা না হোক আমাদের মাথার মধ্যে আছে যে আমরা যাচ্ছি, অংশগ্রহণ করবো। সেখানে আমাদের অবশ্যই লক্ষ্য আছে যে আমরা ভালো কিছু করবো। কিভাবে জিততে হয়, কিভাবে পরিকল্পনার বাস্তবায়ন করতে হয় এসব ব্যাপারে ছেলেদের সঙ্গে কাজ করছি।'

আর কিশোরদের মাথায় পাকিস্তানের নিরাপত্তা নিয়ে কোন ভাবনাও নেই। তারা কেবল নিজেদের খেলা নিয়ে ভাবছে বলেই জানালেন কোচ, 'আমার কাছে যেটা মনে হয়েছে বাচ্চারা ওটা নিয়ে (পাকিস্তানে খেলা নিয়ে) কোন চিন্তিত না। তাদের মাথায় এই দুশ্চিন্তা আমি দেখিনি। তারা খেলতে যাচ্ছে, ভালো খেলবে এরকমই তাদের চিন্তা ভাবনা। ওটা নিয়ে তাদের কোন মাথাব্যাথাই নেই।'

তবে এ সফর নিয়ে এখনও পরিষ্কার করে কিছু বলেনি বিসিবি। বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বলেছেন, ‘পাকিস্তানে আমাদের জে চার জনের নিরাপত্তা প্রতিনিধি দল গিয়েছে তাদের আজ কালের মধ্যেই চলে আসার কথা। এসেছে কি না তা যদিও আমি জানি না। তবে তাদের সবুজ সংকেত পেলেই আমাদের দল পাকিস্তান যাবে। দুই ভাগে ওরা পাকিস্তান যাবে।’

বাংলাদেশের জন্য কিছুটা হলেও স্বস্তির খবর ম্যাচ ভেন্যু থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে অ্যাবোটাবাদকে। আট বছর আগে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আল কায়েদার সর্বোচ্চ নেতা ওসামা বিন লাদেন এ শহরেই মার্কিন বাহিনীর হাতে প্রাণ হারান। তাই কিছুটা শঙ্কা ছিলই। যদিও ভেন্যু পরিবর্তনের কারণ হিসেবে জানানো হয়েছে, আবহাওয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখে রয়েছে শহরটি। তাই সফরের সবগুলো ম্যাচই অনুষ্ঠিত হবে রাওয়ালপিন্ডিতে।

পাকিস্তানে দুইটি তিন দিনের ম্যাচ ও তিনটি একদিনের ম্যাচ খেলার কথা রয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৭ দলের। পাকিস্তানে পৌঁছে দেশটির কন্ডিশনে মানিয়ে নেয়ার জন্য দুই দিন সময় পাচ্ছে বাংলাদেশের যুবারা। তিন দিনের ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে এ সিরিজ। প্রথম ম্যাচটি শুরু হবে ২৫ অক্টোবর থেকে। ৩০ অক্টোবর থেকে দ্বিতীয় ম্যাচ। ওয়ানডে ম্যাচ তিনটি হবে ৪, ৬ ও ৮ নভেম্বর। শেষ ওয়ানডে ম্যাচ খেলে সেদিন রাতেই দেশে ফেরার কথা রয়েছে কিশোরদের।

পাকিস্তানে ফের ক্রিকেট ফেরাতে মরিয়া দেশটির ক্রিকেট বোর্ড। কদিন আগে শ্রীলঙ্কা দল সংক্ষিপ্ত একটি সফর করে আসায় আশার আলো দেখছে তারা। এবার বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৭ দলকে নিয়ে একটি পুর্নাঙ্গ সিরিজ করে দাবীটা আরও জোরালো করতে চায় তারা। অবশ্য এর আগে বাংলাদেশের নারী দল পাকিস্তান সফর করেছিল। ২০১৭ সালেও পাকিস্তান সফর করেছিল শ্রীলঙ্কা। এর আগে গিয়েছিল জিম্বাবুয়েও। কিন্তু এখনও বড় কোন সফর করতে যায়নি কেউ।

Comments