এবারের বিপিএলে উৎসাহ হারাবে বিদেশি খেলোয়াড়রা, বললেন সাকিব

shakib
সাকিব আল হাসান। ছবি: খালিদ হুসাইন অয়ন

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আগের ছয়টি আসরে ছিল ফ্র্যাঞ্চাইজি পদ্ধতি। কিন্তু এবার সে ধারা থেকে সরে এসে বিশেষভাবে সপ্তম আসরটি আয়োজন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সেখানে থাকছে বোর্ডের কিছু ধরা-বাঁধা নিয়মও, সেসব মানতে হবে, তবেই খেলা গড়াবে মাঠে। এতে করে বিশ্বের তাবৎ ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক টি-টোয়েন্টি লিগগুলোর মধ্যে বিপিএল যে অন্যতম জনপ্রিয় আসরে উন্নীত হয়েছিল, কিছুটা হলেও কি তাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না?

বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সেরা তারকা সাকিব আল হাসানের মতটা জেনে নিন। রবিবার (২০ অক্টোবর) নিজের বাসায় দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, বিপিএলে ফ্র্যাঞ্চাইজি পদ্ধতি না থাকায় বিদেশি খেলোয়াড়রা আসরটিতে খেলতে উৎসাহ-আস্থা হারিয়ে ফেলবেন।

‘অনেক বিদেশি খেলোয়াড় বিগ ব্যাশ বাদ দিয়ে বিপিএলের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছিল। ওই একই সময়ে (ডিসেম্বর-জানুয়ারি) বিগ ব্যাশ ও বিপিএল দুটোই হয়। অনেক বিদেশি খেলোয়াড়, আগে যেভাবে ফ্র্যাঞ্চাইজি পদ্ধতিতে চুক্তিবদ্ধ হওয়া যেত, সেভাবে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিল। সেসব খেলোয়াড় তো স্বাভাবিকভাবেই হতাশ হবে। তারা এখন আর অন্য খেলোয়াড়দের এখানে এসে খেলতে বলবে না, খেলতে উৎসাহ দেবে না।’

তিনি যোগ করেছেন, ‘গতবার যারা খেলে গেছে, তারা এখানে ভালো রীতি-নীতি দেখে গেছে, পারিশ্রমিক প্রদানের ভালো পদ্ধতি দেখে গেছে। তারা ভালো ক্রিকেট, ভালো সুবিধা, ভালো হোটেল পেয়েছে। তাই তারা যখন ভালো ভালো কথা বলেছে, তখন অন্যান্য খেলোয়াড়রা আসার জন্য উদ্বুদ্ধ হয়েছে। জানি না, এবার তাদের প্রতিক্রিয়া কেমন হবে। তবে আমার মনে হয়, যেভাবে বিপিএল চলছিল, সেই পদ্ধতি-কাঠামোকে যদি আরও ভালো করা যেত, তাহলে ভালো হতো।’

বোর্ডের ফ্র্যাঞ্চাইজি পদ্ধতি থেকে সরে আসার সিদ্ধান্তের আগে সাকিব ঢাকা ডায়নামাইটস থেকে যোগ দিয়েছিলেন রংপুর রাইডার্সে। বেশ জাঁকজমকের সঙ্গে তাকে দলে টেনেছিল ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। সাকিবও দেখছিলেন নতুন চ্যালেঞ্জ। কিন্তু নতুন নিয়মে ওই চুক্তির আর কোনো বৈধতা থাকছে না। এ নিয়ে যারপরনাই হতাশ তিনি, ‘ব্যক্তিগতভাবে বিষয়টা খুবই হতাশাজনক। এখন বোর্ড যা ভালো মনে করবে, সেটাই করবে। আমাদের (খেলোয়াড়দের) তো সেরকম কিছু আসলে বলার নাই। কিছু করার আছে বলেও মনে হয় না।…জীবনে যা আসবে, সেটা আসবে। তবে হতাশা তো অবশ্যই।’

Comments

The Daily Star  | English

Cops gathering info on polls candidates

Based on the findings, law enforcers will assess security needs in each constituency and identify candidates who may pose risks.

13h ago