‘মুশফিকের বাবা, মিরাজের খালার সমস্যার সমাধানও আমাকে করতে হয়’

এগারো দফা দাবি-দাওয়া দিয়ে ক্রিকেটাররা খেলার মাঠ ছেড়ে ধর্মঘটে, এই বিষয়টা কোনভাবেই হজম হচ্ছে না বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের। বোর্ড প্রধানের দাবি, ক্রিকেটারদের সুযোগ সুবিধার কোন কমতি রাখেননি তারা। এমনকি নাম ধরে ধরে কার কার ব্যক্তিগত সমস্যার সমাধান করে সহযোগিতা করেছেন সেসবও মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সংবাদ সম্মেলনে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।

এগারো দফা দাবি-দাওয়া দিয়ে ক্রিকেটাররা খেলার মাঠ ছেড়ে ধর্মঘটে, এই বিষয়টা কোনভাবেই হজম হচ্ছে না বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের। বোর্ড প্রধানের দাবি, ক্রিকেটারদের সুযোগ সুবিধার কোন কমতি রাখেননি তারা। এমনকি নাম ধরে ধরে কার কার ব্যক্তিগত সমস্যার সমাধান করে সহযোগিতা করেছেন সেসবও মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সংবাদ সম্মেলনে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।

ক্রিকেটাররা তার কাছে যে কোন সমস্যা নিয়ে যখন তখন যেতে পারেন সেটা উল্লেখ করে নাজমুল প্রথমেই টানেন ইমরুল কায়েসের প্রসঙ্গ, ‘অনেকে ব্যক্তিগত সমস্যা আমার কাছে শেয়ার করে। আমি চেষ্টা করি তাদের সহায়তা করতে। ইমরুলের বাচ্চা খুব অসুস্থ ছিল (কয়েকদিন আগে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়)। অ্যাপোলো (হাসপাতাল) কিছু করতে পারছে না। সিঙ্গাপুরে নিতেই হবে। আমাকে বলল, আমার ভিসা নেই। কালকের মধ্যে ভিসা করে দিতে হবে। বললাম, টিকিট করে ফেল। এক দিনের মধ্যে সবার (ইমরুলের পরিবার) ভিসা করলাম। রাতে একটা অনুষ্ঠানের মধ্যে আবার ফোন করল। বলল, বাচ্চার এত খারাপ অবস্থা, ভিআইপি ব্যবহার করতে পারলে ভালো হয়। আমি ভিআইপি ব্যবস্থা করলাম।’

বোর্ড প্রধান জানান, ক্রিকেটারদের অনেক ব্যক্তিগত সংকটও তাকেই মেটাতে হয়, তাই এই আন্দোলন তার কাছে বড় এক ধাক্কা, ‘কার ভাইকে এসপি-ডিসি মেরেছে, রাতে সেই এসপিকে ফোন দিয়ে ব্যবস্থা নিতে হয়েছে। এক খেলোয়াড়কে পুলিশ ধরে নিয়ে যাচ্ছে। বলছে, মেরে ফেলবে! বিদেশ থেকে এসব থামাতে হয়। কার মামার জমি দখল করে নিয়ে গেছে উত্তরায়, সেটি উদ্ধার করতে হয়েছে। মুশফিকের বাবা, মিরাজের খালা... কোন গ্রামে কাকে মেরেছে, সেটার সমাধান আমাকে করতে হয় বিদেশ থেকে। এগুলো (দাবি দাওয়া) আমার কাছে ধাক্কা।’

ক্রিকেটারদের বেতন-ভাতা বাড়ানো প্রসঙ্গেও বরাবরই তার দৃষ্টিভঙ্গি উদার জানিয়ে নাজমুল পেছনে ফেরেন, ‘আমরা যখন (পরিচালনা পর্ষদে) এসেছি ওদের বেতন ছিল দেড় লাখ টাকা। এটা বাড়িয়ে করলাম আড়াই লাখ টাকা। বেশি দিন আগের কথা না, শ্রীলঙ্কায় সিরিজ খেলে আসছে; মাশরাফি আর তামিম দুজন আমাকে লাউঞ্জে বলছে, বেতনটা বাড়িয়ে দেন না। বললাম, কত আছে? বলল, আড়াই লাখ। ওরা বলল, আরেকটু বাড়ায়ে দেন। একজন বলল, বেশি করে বাড়িয়ে দেন। আরেকজন বলল, না ৫০ হাজার টাকা বাড়িয়ে দেন। সেটি হলে হয় তিন লাখ। ওখানে বসেই করলাম চার লাখ। বললাম, তোমাদের বেতন এখন থেকে চার লাখ টাকা। ওদের সঙ্গে এটাই আমাদের সম্পর্ক। কখনো ওরা বলতে পারবে আমাদের কাছে যেটা চেয়েছে, সেটা দিইনি?’

কেবল বেতনই নয়। বিপুল পরিমাণ বোনাসও ক্রিকেটারদের দেওয়া হয় জানিয়ে ক্রিকেটারদের চলমান আন্দোলনে নিজের হতভম্ব ভাব প্রকাশ করেন বোর্ড প্রধান, ‘২৪ কোটি টাকা ওদের বোনাস দিয়েছি। এই ১৫ খেলোয়াড়কে। শুধুই পারফরম্যান্সের জন্য। এটা কেউ দেয় না-কি? কী পরিমাণ সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হচ্ছে, এই টাকার জন্য খেলা বন্ধ করে দেবে, বিশ্বাস হয় না। কোন দিন এ নিয়ে কিছু বলল না, জানলাম না। এদের সঙ্গে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ, কাউকে বলল না।’

‘সাকিবের সঙ্গে সবশেষ যখন দেখা, তখনো সে বলেছে, আমি বিশ্বকাপে ভালো খেললাম, আমার টাকা দিয়ে দেন! বললাম, ঠিক আছে, আপার (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) সঙ্গে কথা বলে অনুষ্ঠান করে দিই। তুমি ভালো খেলেছ।’

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

10h ago