নতুন দুই দাবি নিয়ে আলোচনাই হয়নি

দুদিন আগে ১১ দফা দাবি করে আন্দোলনে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। বুধবার (২৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ফের সংবাদ সম্মেলন করে সঙ্গে আরও দুটি নতুন দাবির কথা জানান তারা। এরপর নিজেদের সঙ্গে আলোচনা করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সঙ্গে বৈঠকে বসেন সাকিব আল হাসানরা। সভা শেষে তারা হাসি মুখে ফিরেছেন। অথচ নতুন দুটি দাবি নিয়ে কোনো আলোচনাই হয়নি।
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

দুদিন আগে ১১ দফা দাবি করে আন্দোলনে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। বুধবার (২৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ফের সংবাদ সম্মেলন করে সঙ্গে আরও দুটি নতুন দাবির কথা জানান তারা। এরপর নিজেদের সঙ্গে আলোচনা করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সঙ্গে বৈঠকে বসেন সাকিব আল হাসানরা। সভা শেষে তারা হাসি মুখে ফিরেছেন। অথচ নতুন দুটি দাবি নিয়ে কোনো আলোচনাই হয়নি।

মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের বিসিবি কার্যালয়ে সভা শেষে বিষয়টি জানিয়েছে দুপক্ষই। প্রথমে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘এই দুই দাবি নিয়ে আলোচনা হয়নি। তারা যেহেতু আইনজীবীর মাধ্যমে পাঠিয়েছে, আমরাও তা আমাদের আইনি বিভাগে দিয়েছি। সাধারণত আইনজীবীর মাধ্যমে পাঠানো বিষয় আমরা লেনদেন করি না।’

পুরনো দাবিগুলো মেনে নেওয়ার কথা সকালেই ঘোষণা করেছিলেন বিসিবি সভাপতি। সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করার পর এ কথা জানিয়েছিলেন তিনি। এরপর অপেক্ষা করছিলেন ক্রিকেটারদের জন্য। কিন্তু তাদের ডাকে সাড়া দেওয়ার আগে ফের আরও একটি সংবাদ সম্মেলন করে ক্রিকেটাররা। সে সংবাদ সম্মেলনে খেলোয়াড়দের হয়ে ১৩ দফা দাবি উপস্থাপন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মুস্তাফিজুর রহমান খান। যাতে ছিল দুটি নতুন দাবি। যোগ হওয়া দুটি দাবির একটি হলো- বোর্ডের লাভের ভাগ দিতে হবে ক্রিকেটারদের। অন্যটি- নারী ক্রিকেট দলকেও দিতে হবে ন্যায্য ভাগ।

কিন্তু নতুন দুই দাবি নিয়ে কোনো আলোচনাই করেননি সাকিবরা। আর না করার কারণও জানিয়েছেন বাংলাদেশের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক, ‘পাপন ভাই বলেছেন, যেহেতু আজই দাবিগুলো করা হয়েছে, কাজেই এসব নিয়ে ভাবার বা কাজ করার জন্য তাদের সময় দরকার।’

গত সোমবার পারিশ্রমিক বাড়ানো, ক্রিকেটারদের প্রতি বোর্ডের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টানোসহ ১১ দফা দাবিতে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিলেন দেশের ক্রিকেটাররা। দাবি না মানা পর্যন্ত সব ধরনের ক্রিকেটীয় কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার ঘোষণাও দেন। মিরপুর একাডেমি মাঠে ৫০-৬০ জনের মতো ক্রিকেটার জড়ো হয়ে নিজেদের দাবি জানান। দাবিগুলোর মধ্যে আরও ছিল- স্থানীয় কোচদের প্রাধান্য  দেওয়া, জাতীয় লিগের ম্যাচ ফি ন্যূনতম এক লাখ করা, ভ্রমণ-ভাতা বাড়ানো, প্রতি বিভাগে অনুশীলনের সুযোগ বাড়ানো, মানসম্মত বল দিয়ে স্থানীয় খেলা চালানো, প্রথম ও দ্বিতীয় বিভাগ লিগের দুর্নীতি বন্ধ করা ইত্যাদি।

তবে এ সকল দাবির অনেকটাই মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেওয়ায় ধর্মঘট থেকে সরে এসেছেন সাকিবরা। আগামী শুক্রবারই ভারত সফরকে সামনে রেখে জাতীয় দলের অনুশীলন ক্যাম্প দিয়ে ক্রিকেটে ফিরছেন তারা। তার একদিন পরই শুরু হবে জাতীয় লিগের তৃতীয় রাউন্ড। যদিও এটা শুরু হওয়ার কথা ছিল বৃহস্পতিবার। তবে আন্দোলন শেষ হওয়ায় ভেন্যুতে পৌঁছাতে পর্যাপ্ত সময় দিতেই পিছিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত আসে।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

5h ago