৯-০ গোলে জিতে ইউনাইটেডের রেকর্ডে ভাগ বসাল লেস্টার

১০ জনের সাউদাম্পটনকে দুমড়েমুচড়ে দিয়েছে লেস্টার সিটি। জেমি ভার্ডি ও আয়োজে পেরেজের হ্যাটট্রিকে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জয়ের কীর্তি গড়েছে তারা। ছুঁয়েছে ২৪ বছরের পুরনো রেকর্ড।
leicester city
ছবি: এএফপি

১০ জনের সাউদাম্পটনকে দুমড়েমুচড়ে দিয়েছে লেস্টার সিটি। জেমি ভার্ডি ও আয়োজে পেরেজের হ্যাটট্রিকে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জয়ের কীর্তি গড়েছে তারা। ছুঁয়েছে ২৪ বছরের পুরনো রেকর্ড।

শুক্রবার রাতে সাউদাম্পটনকে তাদের মাঠেই ৯-০ গোলে হারিয়েছে ব্রেন্ডন রজার্সের শিষ্যরা। এতদিন প্রিমিয়ার লিগে সবচেয়ে বড় জয়ের রেকর্ড এককভাবে ছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের দখলে। ১৯৯৫-৯৬ মৌসুমে তারা ইপসউইচ টাউনকে হারিয়েছিল একই ব্যবধানে। সেই রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছে লেস্টার।

ম্যাচের দশম মিনিটে বেন চিলওয়েলের লক্ষ্যভেদে শুরু হয় লেস্টারের গোল উৎসব। ওই গোলের আক্রমণের শুরুতে পেরেজকে ফাউল করেছিলেন সাউদাম্পটনের রায়ান বার্ট্রান্ড। ভিএআর প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে তাকে লাল কার্ড দেখান রেফারি।

একজন খেলোয়াড় বেশি নিয়ে প্রতিপক্ষকে চেপে ধরে লেস্টার। ১৭তম মিনিটে ব্যবধান বাড়ান ইয়োরি টিয়েলেমান্স। দুই মিনিট পর ম্যাচের স্কোরলাইন ৩-০ করেন পেরেজ। ৩৯তম মিনিটে ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় গোলের দেখা পান এই স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড।

প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে সাউদাম্পটনের জালে পঞ্চমবারের মতো বল পাঠান ইংলিশ স্ট্রাইকার ভার্ডি। বিরতির পরও আক্রমণের ধারা অব্যাহত রাখে লেস্টার। ৫৭তম মিনিটে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন পেরেজ। পরের মিনিটে স্বাগতিক গোলরক্ষক অ্যাঙ্গাস গানকে ফের পরাস্ত করেন ভার্ডি।

৮৫তম মিনিটে জেমস ম্যাডিনসন গোল পেলে রেকর্ড গড়ার সুবাস পেতে থাকে অতিথিরা। ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে পেনাল্টি থেকে জাল কাঁপিয়ে ভার্ডিও হ্যাটট্রিকের দেখা পেলে ইতিহাসের পাতায় নাম লেখায় লেস্টার।

একটি ক্ষেত্রে অবশ্য লেস্টারের অর্জনটি অনন্য। ইউনাইটেড নিজেদের মাঠে গোল বন্যায় ভাসিয়েছিল ইপসউইচকে। আর প্রিমিয়ার লিগের ২০১৫-১৬ মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন লেস্টার প্রতিপক্ষের মাঠে গিয়ে ৯ গোল করার কৃতিত্ব দেখিয়েছে।

এই জয়ে ১০ ম্যাচে ২০ পয়েন্ট নিয়ে প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট তালিকার দুই নম্বরে উঠে এসেছে লেস্টার। ৯ ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে লিভারপুল। সমান ম্যাচে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে আছে বর্তমান লিগ চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটি।

Comments