দর্শকের দিকে তেড়ে গেলেন মুশফিক

ম্যাচটা ছিল প্রস্তুতির। তবে প্রস্তুতি ম্যাচ হোক কিংবা প্রীতি, সবসময়ই সিরিয়াস থাকেন মুশফিকুর রহিম। এদিন বাংলাদেশ সবুজ দলের বিপক্ষে রান না করতে পেরে হতাশা লুকাতে পারেননি। এরমধ্যে আউট হয়ে ফেরার সময় এক দর্শকের টিপ্পনী তার হতাশা পরিণত করে রাগে। টিপ্পনী সহ্য করতে না পেরে গ্র্যান্ড স্ট্যান্ডের প্রাচীর টপকে গ্যালারিতে উঠে উত্তপ্ত কণ্ঠে আঙুল তুলে শাসিয়েছেন সে দর্শককে।
গ্র্যান্ডস্ট্যান্ডে উঠে দর্শকদের দিকে তেড়ে যান ক্ষীপ্ত মুশফিক। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

ম্যাচটা ছিল প্রস্তুতির। তবে প্রস্তুতি ম্যাচ হোক কিংবা প্রীতি, সবসময়ই সিরিয়াস থাকেন মুশফিকুর রহিম। এদিন বাংলাদেশ সবুজ দলের বিপক্ষে রান না করতে পেরে হতাশা লুকাতে পারেননি। এরমধ্যে আউট হয়ে ফেরার সময় এক দর্শকের টিপ্পনী তার হতাশা পরিণত করে রাগে। টিপ্পনী সহ্য করতে না পেরে গ্র্যান্ড স্ট্যান্ডের প্রাচীর টপকে গ্যালারিতে উঠে উত্তপ্ত কণ্ঠে আঙুল তুলে শাসিয়েছেন সে দর্শককে।

ভারত সফরের প্রস্তুতি হিসেবে লাল এবং সবুজ দলে ভাগ হয়ে রোববার টি-টোয়েন্টি প্রস্তুতি ম্যাচে অংশ নেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। সবুজ দলের দেওয়া ১৪৪ রানের লক্ষ্যে মাঠে নেমে এদিন তেমন একটা সুবিধা করতে পারছিলেন না মুশফিক। ব্যাটে বলে ঠিকভাবে সংযোগ করতে পারছিলেন না। আল-আমিন হোসেনের বলে ব্যাটের কানায় লেগে চার পেয়েছেন। কিন্তু বলটা উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ মিঠুনের মাথার সামান্য উপর দিয়েই যায়। তখনই মাথা ঝাঁকুনি দিয়ে তখনই হতাশার কথা প্রকাশ করেন।

পরের ওভারে আরাফাত সানির বলে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে ইবাদত হোসেনের হাতে সহজ ক্যাচ তুলে দেন। স্বাভাবিকভাবেই হতাশা আরও বেড়ে যায় তার। মাথা নিচু করে ব্যাট দেখতে দেখতে ফিরছিলেন ড্রেসিং রুমে। মুশফিকের এমন ব্যাটিংয়ে হতাশ উপস্থিত শ'পাঁচেক দর্শকও। তাদের মধ্যে কেউ একজন টিপ্পনি কাটেন। এরপর তাকে তেড়ে যান অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার। 

মূলত গ্র্যান্ড স্ট্যান্ডে বসে থাকা ইমরান হোসেন নামের সেই ভক্ত বলেন, 'ব্যাট দেখে কি করবেন, আমাকে দেখেন?'

আর এমন টিপ্পনি কাটায় মেজাজ ধরে রাখতে পারেননি মুশফিক। প্রাচীর ডিঙ্গিয়ে তেড়ে গেলেন সে সমর্থকের কাছে। উত্তপ্ত স্বরে কথা বলার এক পর্যায়ে আঙুল তুলে বলেন, 'তোমাকে কী দেখতে হবে?।'

পরে পরিস্থিতি সামাল দেন নিরাপত্তাকর্মীরা। তাৎক্ষনিকভাবে ইমরানকে সরিয়ে নেওয়া হয় ঘটনাস্থল থেকে। জানা যায় ইমরান হোসেনের বাড়ি জামালপুর। ঢাকা কমলাপুরে বাস করেন। কায়সার নামের একজনের সঙ্গে খেলা দেখতে এসেছিলেন। তবে কোন ধরণের কটূক্তি করার কথা অস্বীকার করেন তিনি, 'আমি কিছুই বলিনি মুশফিক ভাইকে। আমি শুধু বলেছি ব্যাডলাক। মাথা নিচু করার দরকার নেই।'

অবশ্য তাকে আরও জেরা করছিলেন নিরাপত্তাকর্মীরা। জানা যায় পরে মুশফিকই তাকে ছেড়ে দিতে বলেন। তবে মাঠে থেকে বের করে দেওয়া হয় তাকে।

Comments

The Daily Star  | English

DMCH doctors threaten strike after assault on colleague

A doctor at Dhaka Medical College Hospital (DMCH) was allegedly assaulted yesterday after the death of a private university student there, with some of his peers accusing the physicians of neglecting their duty in his treatment

5h ago