আশুলিয়ায় সেই যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে লুটপাট-দখলের মামলা

সাভারের আশুলিয়ায় এবার দোকান-পাট ভাঙচুর করে ৭৬ লাখ ৯২ হাজার টাকার মালামাল লুট ও মার্কেট দখল করার অভিযোগে থানা যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক মঈনুল ইসলাম ভূঁইয়াসহ ১৪ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
Moinul Islam Bhuiyan
আশুলিয়া থানা যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক মঈনুল ইসলাম ভূঁইয়া। ছবি: সংগৃহীত

সাভারের আশুলিয়ায় এবার দোকান-পাট ভাঙচুর করে ৭৬ লাখ ৯২ হাজার টাকার মালামাল লুট ও মার্কেট দখল করার অভিযোগে থানা যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক মঈনুল ইসলাম ভূঁইয়াসহ ১৪ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এর আগে গত ২১ অক্টোবর মাকসুদা বেগম নামের এক নারীর মালিকানাধীন মার্কেট দখল ও চাঁদাবাজির অভিযোগে ওই যুবলীগ নেতাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছিলো। ওই মামলায় তিনি এখন জামিনে রয়েছেন।

গতকাল (২৭ অক্টোবর) রাত ১০টার দিকে একটি মার্কেটের মালিক আলমগীর খান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় আশুলিয়া থানা যুবলীগের ১নং যুগ্ম-আহ্বায়ক ও ধামসোনা ইউনিয়ন পরিষদের ৭নং ওয়ার্ড সদস্য মঈনুল ইসলাম ভুঁইয়াকে প্রধান আসামি করে আরও তিনজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১০/১২জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলা সূত্র জানায়, বাইপাইল এলাকায় ৩৯ শতাংশ জমি ক্রয় করে এম এ খান নামের একটি মার্কেট বানিয়ে মোট ৬৮টি দোকান কাঁচা-পাকা মালের আড়ৎ হিসেবে ভাড়া দিয়ে আসছিলেন জমির মালিক। গত কয়েক মাস যাবৎ যুবলীগ নেতা তার লোকজন নিয়ে ওই মার্কেট দখল করার পাঁয়তারা করে আসছে। বিভিন্ন সময়ে মার্কেটের আড়ৎদারদের মারধর করে তাদের মালামাল লুটপাটও করে নেয়। এক পর্যায়ে গত ৬ সেপ্টেম্বর যুবলীগ নেতা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তার বাহিনী নিয়ে এসে ওই মার্কেটে হামলা চালায়। সেসময় বিভিন্ন আড়ৎদারদের মারধর করে মোট ৭৬ লাখ ৯২ হাজার টাকার মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়।

অভিযোগ অস্বীকার করে যুবলীগ নেতা মঈনুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, একটি চক্র আমাকে হয়রানি করার জন্য মিথ্যা মামলায় ফাঁসাচ্ছে।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিজাউল হক দিপু বলেন, লুটপাট, ভাঙচুর ও মার্কেট দখলের চেষ্টার অভিযোগে যুবলীগ নেতাসহ চারজনের নামে মামলা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

আরও পড়ুন:

জমি দখল ও চাঁদাবাজির অভিযোগে যুবলীগ নেতা আটক

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

8h ago