ছাত্রলীগের ৩৪ নেতার ‘অবৈধ’ ভর্তি নিয়ে দ্বন্দ্বে ঢাবির শিক্ষকরা
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৩৪ নেতার ‘অবৈধ’ ভর্তি নিয়ে গতকাল একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠকে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষকরা।
ডাকসু নির্বাচনের আগে ঢাবির ভর্তির নিয়ম ভঙ্গ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন ডাকসুর বর্তমান জিএস ও ছাত্রলীগের সদ্য পদ হারানো সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীসহ ৩৪ জন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এবং বিএনপিপন্থী সাদা দলের শিক্ষকদের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম ছাত্রলীগ নেতাদের অবৈধ ভর্তির বিষয়ে লিখিত বক্তব্য দিলে আওয়ামীপন্থী নীল দলের শিক্ষকদের সঙ্গে বিতর্ক শুরু হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে গতকাল (২৮ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে তিনটায় একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠক শুরু হয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে চলে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, বিভাগের চেয়ারপারসন এবং অনুষদের পরিচালকদের নিয়ে একাডেমিক কাউন্সিল গঠিত।
অধ্যাপক এবিএম ওবায়দুল বলেছেন, “আমরা কাউন্সিলকে বলছি যে- যথাযথ তদন্ত শুরু করা উচিত এবং দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। ছাত্রলীগের ৩৪ জনের অবৈধ তালিকাভুক্তি ঢাবির ভাবমূর্তি ও মর্যাদাকে কলঙ্কিত করেছে।”
“গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক আবুল মনসুর আহমেদ আমার বক্তব্য রাজনৈতিক উল্লেখ করে প্রথম তর্ক শুরু করেন এবং পরে নীল দলের অন্য শিক্ষকরা তার সঙ্গে যোগ দেন,” যোগ করেন ওবায়দুল।
ডাকসু নির্বাচনের আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বিভাগের সান্ধ্যকালীন কোর্সে ‘জালিয়াতি’ করে ছাত্রলীগের ৩৪ কর্মী ভর্তি হন।
Comments