এক বছরে যে সব ম্যাচে খেলতে পারবেন না সাকিব
এক বছরের স্থগিত নিষেধাজ্ঞাসহ দুই বছরের জন্য সব রকমের ক্রিকেটীয় কার্যক্রম থেকে নিষিদ্ধ হয়েছেন বাংলাদেশ দলের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। শর্ত মেনে নিলে আগামী ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর আবার ফিরতে পারবেন ক্রিকেটে। কিন্তু এর মাঝে বেশ কিছু সিরিজ ও টুর্নামেন্ট মিস করবেন সাকিব। যার মধ্যে একটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও টি-টোয়েন্টি সংস্করণের এশিয়া কাপও রয়েছে।
আগামী এক বছরে ছোট বড় মিলিয়ে মোট ৮টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। আলোচনা সাপেক্ষে বাড়তে পারে আরও। বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডারকে ছাড়া টাইগারদের ভুগতে হতে পারে তা বলা যায় নিঃসন্দেহে। এশিয়া কাপ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ছাড়াই এ সময়ে ১৭টি টি-টোয়েন্টি, ১১টি টেস্ট ও ৩টি ওয়ানডে ম্যাচ মিস করবেন সাকিব। আর সাকিবকে মিস করবে বাংলাদেশ।
এর মধ্যে নিঃসন্দেহে নভেম্বরে ভারত সিরিজটি উল্লেখযোগ্য। টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পর গত ১৯ বছরে এবারই প্রথম পুর্নাঙ্গ সিরিজ খেলতে ভারত যাচ্ছে বাংলাদেশ। এ সফরে ২টি টেস্ট ও ৩টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে টাইগাররা। এরপর জানুয়ারিতে রয়েছে পাকিস্তান সফর। সে সিরিজেও ৩টি টি-টুয়েন্টি ও ২টি টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ।
ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ সফরে আসবে অস্ট্রেলিয়া। অসিদের বিপক্ষে ২টি টেস্ট খেলবে টাইগাররা। মার্চে আসবে জিম্বাবুয়ে। তাদের বিপক্ষে একটি টেস্ট ও ৫টি টি-টুয়েন্টিতে অংশ নেবে তারা। জিম্বাবুয়ে সিরিজের পর অবশ্য এক মাসের বেশি সময় বিশ্রাম পাবে বাংলাদেশ দল।
এরপর মে মাসের শেষ দিকে বাংলাদেশ যাবে আয়ারল্যান্ড সফরে। সে সফরে একটি টেস্ট ও তিনটি টি-টুয়েন্টি ও ওয়ানডে খেলবে বাংলাদেশ। জুলাইয়ে ৩টি টেস্ট খেলতে শ্রীলঙ্কা যাবে টাইগাররা। পরের মাসে ২টি টেস্ট খেলতে বাংলাদেশ সফরে আসবে নিউজিল্যান্ড।
এরপর সেপ্টেম্বরের শুরুতে পাকিস্তানে অনুষ্ঠিতব্য এশিয়া কাপে অংশ নিবে বাংলাদেশ। এবার এ আসর হবে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে। এশিয়া কাপ শেষ করে অক্টোবরের শুরুতে ৩টি টি-টুয়েন্টি খেলতে নিউজিল্যান্ড যাবে বাংলাদেশ। একই মাসে অস্ট্রেলিয়াতে অনুষ্ঠিত হবে টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ। তাই আগামী এক বছর বেশ ব্যস্ত সময়ই পার করবে বাংলাদেশ। আর এ সময়েই নেই সাকিব।
Comments