ফাইনালে হেরে গেল চট্টগ্রাম আবাহনী

প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম আবাহনীর খেলায় কোন প্রাণ ছিল না। ফাইনাল ম্যাচের স্নায়ুচাপে পড়ে পুরো ম্যাচ জুড়েই ভুল পাসের ছড়াছড়ি। ফলে মাঝ মাঠের দখলে পুরোটাই ছিল টেরেঙ্গানু এফসি। তার ফায়দা উঠিয়ে প্রথমার্ধেই দুটি গোল আদায় করে নেয় দলটি। দ্বিতীয়ার্ধে আবাহনী ঘুরে দাঁড়ালেও এক গোলের বেশি শোধ করতে পারেনি। ফলে শিরোপা পুনরুদ্ধার করা হয়নি বন্দর নগরীর দলটির।
ছবি: বাফুফে

প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম আবাহনীর খেলায় কোন প্রাণ ছিল না। ফাইনাল ম্যাচের স্নায়ুচাপে পড়ে পুরো ম্যাচ জুড়েই ভুল পাসের ছড়াছড়ি। ফলে মাঝ মাঠের দখলে পুরোটাই ছিল টেরেঙ্গানু এফসি। তার ফায়দা উঠিয়ে প্রথমার্ধেই দুটি গোল আদায় করে নেয় দলটি। দ্বিতীয়ার্ধে আবাহনী ঘুরে দাঁড়ালেও এক গোলের বেশি শোধ করতে পারেনি। ফলে শিরোপা পুনরুদ্ধার করা হয়নি বন্দর নগরীর দলটির।

চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপের ফাইনালে এদিন মালয়েশিয়ান দল টেরেঙ্গানু এফসির কাছে ২-১ গোলের ব্যবধানে হারে চট্টগ্রাম আবাহনী। ফলে রানার্সআপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় প্রথম আসরের চ্যাম্পিয়নদের। আর প্রথমবারের মতো কোন আন্তর্জাতিক শিরোপা জিতে নেয় মালয়েশিয়ার দলটি।

তবে ভাগ্যটা কিছুটা হলেও বিপক্ষে ছিল আবাহনীর। প্রথমার্ধেই ইনজুরিতে পড়ে মাঠ ছাড়েন দারুণ খেলতে থাকা লেফট ব্যাক রহমত মিয়া। তার জায়গায় খেলতে না রকি বাকী সময়ের পুরোটাই ছিলেন নিষ্প্রভ। ফলে ডান প্রান্তের বেশ কিছু গোছানো আক্রমণ থেকে কোন সুবিধা আদায় করতে পারেনি তারা। উল্টো দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে সেমি-ফাইনাল জয়ের নায়ক চার্লস দিদিয়েরও। ফলে কিছুটা ব্যকফুটে চলে যায় স্বাগতিকরা।

শিরোপা লড়াইয়ে প্রথমার্ধে খুঁজেই পাওয়া যায়নি বন্দর নগরীর দলটিকে। সে সুযোগে মুহুর্মুহু আক্রমণ করে টেরেঙ্গানু। ম্যাচের ১৫তম মিনিটে প্রথম গোল পায় তারা। যাকে নিয়ে সবচেয়ে বেশি ভয় ছিল সেই লি টাকই বিপদ ডেকে আনেন স্বাগতিকদের। তার নেওয়া নিখুঁত কর্নার থেকে দারুণ এক হেডে লক্ষ্যভেদ করেন হেইরি হাকিম বিন মামাত।

ব্যবধান বাড়াতে মাত্র পাঁচ মিনিট সময় নেয় টেরেঙ্গানু। কাউন্টার অ্যাটাক থেকে গোল পায় তারা। নিজেদের অর্ধ থেকে বাড়ানো বল ধরে এক সতীর্থ দেন আজলিনউল্লাহ আলিয়াসকে। রক্ষণভাগে তখন শুধুই ছিলেন ইকবাল জন। বাঁ প্রান্ত দিয়ে তাকে কাটিয়ে দুরূহ কোণ থেকে জোরালো শটে বল জালে জড়ান এ ফরোয়ার্ড।

তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে বেশ গোছানো ফুটবল খেলে আবাহনী। ৪৮তম মিনিটে ম্যাচে ফিরে দলটি। দারুণ একটি পরিকল্পিত আক্রমণে গোল পায় তারা। চিনাদু ম্যাথিউর কাটব্যাক ক্রস থেকে মন্টেনিগ্রোর ফরোয়ার্ড রডকোভিচ লুকার জোরালো শট বারপোস্টে লেগে ফিরে এসেছিল। তবে ভেতর থেকে ফিরে আসায় গোলের বাঁশি বাজান রেফারি। প্রাণ ফিরে পায় আবাহনী। কিন্তু পরবর্তীতে আক্রমণের সে ধারা ধরে রাখতে পারেনি তারা।

৭০তম মিনিটে আরিফুলের কাটব্যাক থেকে এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে দারুণ একটি শট নিয়েছিলেন সেই লুকা। কিন্তু দুর্ভাগ্য তার। অল্পের জন্য তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ৮০ মিনিটে লুকার আরও একটি দারুণ শট ব্লক করেন এক ডিফেন্ডার। এছাড়া উল্লেখ করার মতো আর কোন আক্রমণ হয়নি। ফলে গোলও হয়নি। ১-২ গোলের হার নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাদের।

Comments