তেভেজের দৃষ্টিতে মেসি-রোনালদো

এক দশকের বেশি সময় ধরে বিশ্ব ফুটবল শাসন করে চলেছেন লিওনেল মেসি ও ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। দুই জনই জিতেছেন পাঁচটি করে ব্যলন ডি'অর। সৌভাগ্যক্রমে এ দুই খেলোয়াড়েরই সতীর্থ ছিলেন আর্জেন্টাইন তারকা কার্লোস তেভেজ। তাই দুই তারকা সম্পর্কেই খুব ভালো করে জানেন তিনি। তাদের তুলনামূলক চিত্রটাও তাই খুব করে উল্লেখ করলেন এ আর্জেন্টাইন।
ছবি: এএফপি

এক দশকের বেশি সময় ধরে বিশ্ব ফুটবল শাসন করে চলেছেন লিওনেল মেসি ও ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। দুই জনই জিতেছেন পাঁচটি করে ব্যলন ডি'অর। সৌভাগ্যক্রমে এ দুই খেলোয়াড়েরই সতীর্থ ছিলেন আর্জেন্টাইন তারকা কার্লোস তেভেজ। তাই দুই তারকা সম্পর্কেই খুব ভালো করে জানেন তিনি। তাদের তুলনামূলক চিত্রটাও তাই খুব করে উল্লেখ করলেন এ আর্জেন্টাইন।

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে থাকাকালীন সময়ে রোনালদোর সতীর্থ ছিলেন তেভেজ। তখনও এতো বড় তারকা হয়ে ওঠেননি রোনালদো। তেভেজ তখন বেশ নামীদামী তারকাই। সে সময়ের বেশ কিছু অভিজ্ঞতার কথা সম্প্রতি স্থানীয় এক গণমাধ্যমে জানিয়েছেন তেভেজ।

রোনালদো সম্পর্কে তেভেজ বলেন, 'সে (রোনালদো) প্রায় পুরোটা দিন জিমে থাকে। অনেকটা ঘোরের মতোই। আমার মনে আছে ম্যানচেস্টারে আমাদের অনুশীলনের সময় ছিল ৯টায়। আমি ৮টা বাজে পৌঁছে যাই এবং দেখি সে ওইখানে আছে। তাই আমি আরও আগের আসার চেষ্টা করি। সাড়ে ৭টায় চলে আসি, তখন দেখি সে সেখানে আছে। একদিন আমি চেষ্টা করেছি যেভাবে হোক তাকে পেছনে ফেলার। তাই আমি সাড়ে ৬টায় সেখানে পৌঁছে যাই। দেখি তখনও সে সেখানে আছে। সে তখন প্রায় অর্ধেক ঘুমন্ত কিন্তু ছিল।'

অন্যদিকে তেভেজের জাতীয় দলের সতীর্থ ছিলেন মেসি। লম্বা সময়ই খেলেছেন একসঙ্গে। ঠিক এমন কঠিন পরিশ্রম করতে দেখেননি মেসিকে। তাকে প্রকৃতিগত মেধাবী বললেন তেভেজ, 'মেসি এমনটা নয়, তার কাছে এ সব কিছুই প্রকৃতিগত ভাবে এসেছে। তবে যেটা তার কাছে প্রকৃতিগত ভাবে আসেনি তার জন্য সে অনুশীলন করেছে। এক সময় সে খুব ভালো ফ্রি-কিক নিতে পারতো না। কিন্তু এখন সে যে কোন প্রান্ত দেখে দারুণ ফ্রি-কিক নেয়। সে অনুশীলন করেছে এবং উন্নতি করেছে।'

২০০৭ সাল থেকে দুটি মৌসুম ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে কাটিয়েছেন তেভেজ। খেলেছেন নগর প্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার সিটিতেও। রোনালদোর বর্তমান দল জুভেন্টাসেও খেলেছেন এ আর্জেন্টাইন। বর্তমানে অবশ্য নিজ দেশের দল বোকা জুনিয়র্সে খেলেন। ২০০৪ সালে প্রথম আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে দেওয়ার পর এখন পর্যন্ত খেলেছেন ৬৩টি ম্যাচ। করেছেন ১৩টি গোল।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

10h ago