খালেদা জিয়াকে বাইরে পাঠানোর মতো বাস্তব অবস্থা নেই: কাদের

খালেদা জিয়ার চিকিৎসা সম্পর্কে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, চিকিৎসকদের বক্তব্য ও তাদের দলের বক্তব্যে কোন মিল নেই। চিকিৎসকরা, যেখানে তাদের দলের লোক ও পছন্দের ডাক্তারও আছে, সেই মেডিকেল বোর্ড বলছে তার এখন চিকিৎসার কোন সংকট নেই।
ছবি: সংগৃহীত

খালেদা জিয়ার চিকিৎসা সম্পর্কে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, চিকিৎসকদের বক্তব্য ও তাদের দলের বক্তব্যে কোন মিল নেই। চিকিৎসকরা, যেখানে তাদের দলের লোক ও পছন্দের ডাক্তারও আছে, সেই মেডিকেল বোর্ড বলছে তার এখন চিকিৎসার কোন সংকট নেই। স্বাস্থ্য তার স্থিতিশীল আছে। তাকে বাইরে পাঠানোর মতো বাস্তব কোনো অবস্থা নেই। যেটা বিএনপি বলছে মেডিকেল বোর্ড কিন্তু সেটা বলছে না।

নতুন বাস্তবায়ন হওয়া সড়ক পরিবহন নিরাপত্তা আইন এর কার্যকর করার ব্যাপারে শনিবার সকালে নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বিআরটিএর ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম পরিদর্শনে এসে তিনি এসব কথা বলেন।

খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দরকার পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হলেও সরকার কী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে? সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

পুনরায় জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের জন্য বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দাবির বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন যদি ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার না হয় তিনি নির্বাচনে অংশ নিলেন কেন? আর তার দলের সাত জন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েই সংসদে আছে। তাহলে তার দলের এ নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন করলে জনগণের কাছে নিজেদের অবস্থান দুর্বল হয়ে যাবে সেকারণেই তারা সংসদে যোগ দিয়েছেন। সংসদকে অবৈধ বলে আবার সেই সংসদে যোগ দিলে তারা নিজেরাই তো অবৈধ হয়ে যায়। এসব বিষয় অভিযোগের খাতিরে অভিযোগ।

তিনি বলেন, “বিএনপির একটি পুরানো রোগ আছে, নালিশ করা। এ রোগের নাম হলো অভিযোগ। এটা তারা করবেই। আমরা যত ভালো কাজই করি তাদের অভিযোগ করতেই হবে। কারণ তারা বিরোধী দল। তারা আন্দোলনে ব্যর্থ, নির্বাচনে ব্যর্থ। তাদের নেতাকর্মীদের চাঙ্গা রাখতে হলে কথা মালা দিয়েই সন্তুষ্ট রাখতে হবে। গলাবাজি করতে হবে আর গলাবাজি ছাড়া তাদের এখন আর কোনো কাজ নেই। তাদের আন্দোলনের ডাকে কেউ সাড়া দেয় না।

আওয়ামী লীগের শুদ্ধি অভিযানে জেলা পর্যায়ে অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে কাদের বলেন, জেলা পর্যায়ে বাদ দিয়ে কোন কিছুই হচ্ছে না। এখানে সহযোগী সংগঠন, আমাদের মূল সংগঠন ও সব শাখা সংগঠন যেখানেই দুর্নীতি, দুষ্কর্ম, অপকর্ম, সন্ত্রাস, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা এবং ভূমিদখল এসব বিষয় যেখানে আছে সেখানেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে অনেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সারাদেশে এমনকি প্রশাসনেও অনেকে নজরদারিতে আছে। সময় মতো সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

5h ago