অধ্যক্ষকে পুকুরে ফেলার ঘটনায় গ্রেপ্তার ছাত্রলীগের আরও ৪ নেতাকর্মী

রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে অধ্যক্ষ ফরিদ উদ্দীন আহম্মেদকে পুকুরে ফেলে দেওয়ার ঘটনায় আরও চার আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ নিয়ে মোট নয়জনকে গ্রেপ্তার করা হলো।
Rajshahi politechnic principal
ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী অধ্যক্ষকে টেনে নিয়ে গিয়ে পুকুরে ফেলে দেন। ছবি: ভিডিও ফুটেজ থেকে নেওয়া

রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে অধ্যক্ষ ফরিদ উদ্দীন আহম্মেদকে পুকুরে ফেলে দেওয়ার ঘটনায় আরও চার আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ নিয়ে মোট নয়জনকে গ্রেপ্তার করা হলো।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, রাজশাহী মহানগরীর চন্দ্রিমা থানার আসাম কলোনির অধিবাসী রবিউল ইসলামের ছেলে মেহেদী হাসান আশিক (২২), শাহ আলমের ছেলে মেহেদী হাসান হিরা, মহানগরীর বোয়ালিয়া থানার সাধুর মোড় এলাকার অধিবাসী নোমানের ছেলে নাবিউল উৎস (২০) এবং খোন্দকার নজরুল ইসলাম (২৩)।

তারা সবাই রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী এবং ইনস্টিটিউট শাখার ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত।

রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) মুখপাত্র অতিরিক্ত উপ-কমিশনার গোলাম রুহুল কুদ্দুস দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, গতকাল (৩ নভেম্বর) রাতের বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে তারা কেউই এজহারভুক্ত আসামি নন।

সূত্র জানায়, অধ্যক্ষের উপর হামলার ঘটনায় রাজশাহী মহানগরীর চন্দ্রিমা থানায় আটজন আসামির নাম উল্লেখ করে এবং ৫০ জন অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়।

চন্দ্রিমা থানা পুলিশ ও মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ যৌথভাবে রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা ও প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষীদের সনাক্ত মতে মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে উক্ত ঘটনার সঙ্গে জড়িত চার আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয় যে অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত আছে।

উল্লেখ্য, রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ ফরিদ উদ্দীন আহম্মেদকে টেনে-হিঁচড়ে পুকুরে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে। ২ অক্টোবর বিকালে অধ্যক্ষ তার কার্যালয়ে যাওয়ার সময় এই ঘটনা ঘটানো হয়। তিনি সাঁতরে পাড়ে উঠে নিজের প্রাণ রক্ষা করেন।

অধ্যক্ষকে টেনে আনা থেকে শুরু করে পুকুর থেকে তার উঠে আসা পর্যন্ত পুরো ঘটনাটি ইনস্টিটিউটের সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। এর জন্য অধ্যক্ষ ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন সৌরভকে দায়ী করেছেন।

তিনি বলেন, তাদের অন্যায় দাবি না মানায় দলবল নিয়ে এসে সৌরভ এই কাজ করেছেন। এদের মধ্যে অন্তত দুজনের মুখ কাপড় দিয়ে ঢাকা ছিলো।

কার্যালয়ে অধ্যক্ষ সাংবাদিকদের বলেন যে তিনি সাঁতরে পাড়ে উঠে আসতে না পারলে ডুবে মারাও যেতে পারতেন।

আরও পড়ুন: 

রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটেও ছাত্রলীগের ‘টর্চার সেল’

পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষকে পুকুরে ফেলে দিল ছাত্রলীগ

Comments