চট্টগ্রামে স্ক্রু ড্রাইভার দিয়ে তরুণ খুন
চট্টগ্রামের ১৯ বছরের এক তরুণকে স্ক্রু ড্রাইভার দিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছে। রোববার রাতে বন্দরনগরীর আমবাগান এলাকায় হাতাহাতির এক পর্যায়ে তাকে খুন করা হয়। হত্যায় অভিযুক্ত মো. সোহেল ও নিহত তরুণ মো. নাহিদ পরস্পরের বন্ধু হলেও সম্প্রতি তাদের মধ্যে বিরোধ তৈরি হয়েছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সোমবার সকালে সোহেলকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোহেলের সম্পর্কে খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রণব চৌধুরী বলেছে, তিনি আমবাগান এলাকায় একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা মেরামতির দোকানে মেকানিক হিসেবে কাজ করতেন। তার বাড়ি কুমিল্লায়। আর নিহত নাহিদ সিলেটের মো. আব্দুল্লাহর ছেলে। তিনি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর কাজ করতেন।
পুলিশ বলেছে, ব্যক্তিগত বিরোধের জের ধরে সোহেলকে পেটাতে আমবাগান এলাকায় গিয়েছিল নাহিদ। রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে পাহাড়তলি ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যালয়ের সামনে দুজনের মধ্যে বিতণ্ডার এক পর্যায়ে নাহিদকে স্ক্রু ড্রাইভার দিয়ে আঘাত করা হয়।
ওসি প্রণব চৌধুরী বলেন, ঘটনার পর রাতেই সোহেল ঢাকায় পালিয়ে যান। তার অবস্থান সনাক্ত করে পরদিন সকালে মালিবাগ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
দুজনের মধ্যে বিরোধের কারণ সম্পর্কে ওসি বলেন, শনিবার রাতে বন্দরনগরীর ঝাউতলা এলাকায় এক ছেলেকে মারধর করতে নাহিদ তার কয়েকজন বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু বন্ধুর অনুরোধের পরও সোহেল সেখানে যাননি। পরদিন রোববার রাতে নাহিদ দুজনকে সঙ্গে নিয়ে সোহেলের কাছে গিয়ে তার না যাওয়ার কারণ জানতে চান। এই ঘটনা থেকেই বাগবিতণ্ডার সূত্রপাত হয়।
তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে নাহিদ মারতে শুরু করলে সোহেল তার হাতে থাকা স্ক্রু ড্রাইভার নাহিদের বুকে ঢুকিয়ে দেন। গুরুতর অবস্থায় আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর নাহিদ মারা যান।
ওসি জানান, কাউন্সিলরের কার্যালয়ের সিসিটিভি ফুটেজে মারামারির ঘটনাটি ধরা পড়েছে। ওই ফুটেজ সংগ্রহ করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় নিহতের বাবা সোহেলকে আসামি করে মামলা করেছেন।
Comments