সিনিয়রদের উৎসাহ পেয়ে ভয়ডরহীন আফিফ-বিপ্লব-নাঈমরা

ভারতের মাটিতে তিনজনেরই প্রথম ম্যাচ। সেই সঙ্গে প্রথমবার শক্তিশালী দলটির বিপক্ষে খেলতে নামার অভিজ্ঞতা হয়েছে আফিফ হোসেন, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব ও মোহাম্মদ নাঈম শেখের। এর মধ্যে নাঈম নেমেছিলেন আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের অভিষেক ম্যাচে। এসব চাপ উতরে দিল্লিতে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে এই তরুণ ক্রিকেটাররা যে উঁচু মানের পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন, তা নিয়ে শুরু হয়ে গেছে মাতামাতি। তিনি নিজেসহ দলের নতুন সদস্যদের ভালো করার পেছনে সিনিয়রদের ভূমিকাকে কৃতিত্ব দিয়েছেন আফিফ।
afif hossain
আফিফ হোসেন। ছবি: একুশ তাপাদার

ভারতের মাটিতে তিনজনেরই প্রথম ম্যাচ। সেই সঙ্গে প্রথমবার শক্তিশালী দলটির বিপক্ষে খেলতে নামার অভিজ্ঞতা হয়েছে আফিফ হোসেন, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব ও মোহাম্মদ নাঈম শেখের। এর মধ্যে নাঈম নেমেছিলেন আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের অভিষেক ম্যাচে। এসব চাপ উতরে দিল্লিতে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে এই তরুণ ক্রিকেটাররা যে উঁচু মানের পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন, তা নিয়ে শুরু হয়ে গেছে মাতামাতি। তিনি নিজেসহ দলের নতুন সদস্যদের ভালো করার পেছনে সিনিয়রদের ভূমিকাকে কৃতিত্ব দিয়েছেন আফিফ।

গেল রবিবার অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে ভারতকে ৭ উইকেটে হারিয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। এই সংস্করণে আগের আটবারের মুখোমুখি দেখায় কখনোই প্রতিবেশীদের হারাতে পারেনি টাইগাররা। সফলতা এসেছে নবম চেষ্টায়। ওই ম্যাচে বল হাতে আলো ছড়িয়েছিলেন আফিফ ও বিপ্লব। অফ স্পিনে ৩ ওভারে মাত্র ১১ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। লেগ স্পিনার বিপ্লবও করেছিলেন ৩ ওভার। ১৮ রানের বিনিময়ে তিনি পেয়েছিলেন ২ উইকেট। ফলে ভারত পুরো ২০ ওভার খেলে ৬ উইকেটে ১৪৮ রানের মাঝামাঝি সংগ্রহে আটকে গিয়েছিল।

জবাব দিতে নেমে বাংলাদেশকে দারুণ শুরু পাইয়ে দিয়েছিলেন নাঈম। ২৮ বলে ২ চার ও ১ ছয়ে ২৬ রান করেছিলেন তিনি। এরপর সৌম্য সরকার, মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহদের ব্যাটে চড়ে ৩ বল হাতে রেখে ঐতিহাসিক জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ।

আগামী বৃহস্পতিবার সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে রাজকোটে মুখোমুখি হবে দুদল। তার আগে ফুরফুরে মেজাজে রয়েছে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে অলরাউন্ডার আফিফ বলেছেন, ‘ভারত চাপে আছে কিনা বলতে পারব না, তবে প্রথম ম্যাচ জিতে আমরা অনেক আত্মবিশ্বাস পেয়েছি। আমরা আমাদের জায়গা থেকে ভালো বোধ করছি। এটা আমাদের আরও ভালোভাবে খেলতে সাহায্য করবে।’

প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের নবাগত তারকাদের নৈপুণ্য নজর কেড়েছে সবার। ভারতের মাঠে স্টেডিয়াম ভর্তি দর্শকদের সামনে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে ভালো খেলার রসদটা তারা পেয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ-মুশফিকদের কাছ থেকে, এমনটাই জানিয়েছেন আফিফ, ‘দলের সিনিয়র ক্রিকেটাররা আমাদের মতো জুনিয়র ক্রিকেটারদের অনেক বেশি সাহায্য করেছেন। এটা আমাদের চাপমুক্ত ক্রিকেট খেলতে সাহায্য করেছে। সেই সঙ্গে ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলতে। তারা সব সময় আমাদের সহযোগিতা করে যাচ্ছে। এজন্য আশা করি, সামনেও কোনো সমস্যা হবে না।’

গেল সেপ্টেম্বরে ঘরের মাঠে ত্রিদেশীয় সিরিজে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২৬ বলে ৫২ রানের একটি ম্যাচজয়ী ইনিংস খেলেছিলেন ২০ বছর বয়সী আফিফ। তবে ভারতের বিপক্ষে ব্যাট করা হয়নি তার। বল হাতেই কার্যকর ভূমিকা রেখেছিলেন তিনি। সামনে সুযোগ এলে ব্যাটিংয়েও অবদান রাখার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন আফিফ, ‘আমি অবশ্যই একজন ব্যাটিং অলরাউন্ডার। তবে শেষ ম্যাচে আমার ব্যাটিংয়ের সুযোগ আসেনি। বোলিংয়ের সুযোগ এসেছিল। সেখানে আমি পারফর্ম করার চেষ্টা করেছি। ব্যাটিংয়ের সুযোগ আসলে আমি একইভাবে চেষ্টা করব পারফর্ম করার।’

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

7h ago