প্রমাণ দিতে না পারলে জাবির অভিযোগকারীদের শাস্তি পেতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
![](https://tds-images-bn.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/feature/images/pm-1_55.jpg?itok=JJnGCytg×tamp=1573116945)
দুর্নীতির অভিযোগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের অপসারণের দাবিতে আন্দোলনকারীদের প্রতি তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “অভিযোগ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হলে অভিযোগকারীদেরকে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে।”
তিনি বলেন, “যদি তারা (আন্দোলনকারীরা) অভিযোগ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয় তবে তারা মিথ্যা অভিযোগ আনার জন্য শাস্তি পাবে... আমরা অবশ্যই এটি করবো। কারণ, দিনের পর দিন ক্লাস বন্ধ রাখা সহ্য করা হবে না। মিথ্যা অভিযোগ উত্থাপন করা হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
আজ (৭ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত সাংবাদিকদের পরিবারের পাশাপাশি অসুস্থ, আর্থিকভাবে অসচ্ছল ও আহত সাংবাদিকদের বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের আর্থিক সহায়তার চেক বিতরণকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা জানান, তিনি ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অভিযোগকারীদের সমস্ত অভিযোগ, বক্তব্য এবং ভিডিও ফুটেজ সংরক্ষণে রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন।
অভিযোগকারীদের অবশ্যই অভিযোগের প্রমাণ দিতে হবে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, “যদি কেউ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয় তবে অভিযোগকারীকে একই শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে যেহেতু আইনে এটি বর্ণিত আছে।”
“তারা মিথ্যা অভিযোগ উত্থাপন করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা এই জাতীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবো। আমি এটি পরিষ্কারভাবে জানিয়েছি,” যোগ করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, “তারা ভিসিকে দুর্নীতিগ্রস্ত বলছে। আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে চাই যে যারা দুর্নীতির অভিযোগ আনছেন, তাদের এই অভিযোগ প্রমাণ করতে হবে এবং তথ্য সরবরাহ করতে হবে। যদি তারা তথ্য সরবরাহ করতে পারে তবে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নেবো (দুর্নীতির বিরুদ্ধে)।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আন্দোলনের নামে উপাচার্যের বাড়ি, অফিস, ভাঙচুরের পাশাপাশি ক্লাস ও বিশ্ববিদ্যালয় চালাতে বাধা দেওয়াও এক ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড।
প্রসঙ্গত, দুর্নীতির বিভিন্ন অভিযোগ এনে ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে বেশ কয়েকদিন ধরে উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলামের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। সম্প্রতি, আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং ভিসিপন্থি শিক্ষক ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষের ঘটনার পর ক্যাম্পাস অনির্দিষ্টকালের বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। তবে আন্দোলনকারীরা প্রশাসনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে উপাচার্যবিরোধী আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে।
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী মো. মুরাদ হাসান, তথ্যমন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান হাসানুল হক ইনু।
Comments