থিতু হয়েও ইনিংস টানতে না পারার আক্ষেপ অধিনায়কের
শুরুটা বেশ আশা জাগানিয়া। আভাস ছিল বড় কিছুর। কিন্তু ত্রিশের ঘরে গিয়েই কুপোকাত। চার-চারজন ব্যাটসম্যানেরই দশা হয়েছে একই রকম। ম্যাচ শেষে হারের জন্য ব্যাটিংকে দায়ী করা অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ আফসোস করছেন ইনিংস টানতে না পারার।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) রাজকোটে টস হেরে ব্যাট করতে গিয়ে শুরুটা বেশ ভালো হয় বাংলাদেশের। দুই ওপেনার পাওয়ার প্লেতে আনেন ৫৪ রান। দুবার জীবন পেয়েও লিটন দাস থামেন ২১ বলে ২৯ করে। আরেক ওপেনার নাঈম শেখ টানা তিন চারে দাপট দেখিয়ে শুরু পেয়েছিলেন। কিন্তু সময়ের সঙ্গেই নেতিয়ে পড়েন। ডট বলে চাপ বাড়িয়ে আউট হন ৩১ বলে ৩৬ করে।
সৌম্য সরকার নেমেই মাঝ ব্যাটে পাচ্ছিলেন বল। রান বাড়াচ্ছিলেন তরতর করে। তার উত্তাল ব্যাটে যখন বড় কিছুর আভাস, তখনই থামেন দৃষ্টিকটুভাবে। ২০ বলে শেষ হয় সৌম্যের ৩০ রানের ইনিংস। যে যুজবেন্দ্র চেহেলকে দেখে খেলার পরিকল্পনা ছিল, তাকে বেরিয়ে এসে মারতে গিয়ে দিয়েছেন উইকেট।
দায় অধিনায়কেরও আছে। নিজে স্বীকারও করলেন তা। শেষ ভরসা হয়ে তিনিই জোগাচ্ছিলেন অক্সিজেন, ব্যাট হয়ে উঠছিল শেষেটায় বিস্ফোরণের জন্য প্রস্তুত, তখনই গড়বড়। ২১ বলে ৩০ করে দীপক চাহারকে আপার কাটে শর্ট থার্ড ম্যানে ক্যাচিং অনুশীলন করে ফেরেন মাহমুদউল্লাহ।
উইকেটে থিতু হয়েও কারোরই ইনিংস বড় করতে না পারায় দায়কে হারের কারণ বলে ম্যাচ শেষে উল্লেখ করেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক, ‘আমি মনে করি, আমাদের ওপেনাররা খুব ভালো শুরু এনে দিয়েছিল। এটা ১৮০ এর বেশির উইকেট ছিল। উইকেট খুব ভালো ছিল ব্যাটিংয়ের জন্য। সৌম্য যখন আউট হলো, আমাদের দুই ব্যাটসম্যানের উচিত ছিল সময় নেওয়া। টপ অর্ডার ভালো ব্যাটিং করেছে। আমাদের অন্তত ১৭৫ করা উচিত ছিল।’
‘এ ধরনের উইকেটে একজন সেট ব্যাটসম্যানের ১৫-১৬ ওভার পর্যন্ত থাকা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। যে কিনা টেনে নিতে পারবে এবং সঙ্গে যারা থাকবে তারা হয়তো ছোট ছোট জুটিতে ২০-৩০ রান করতে পারলে, সেটা অনেক সাহায্য করবে। আপনি যদি ভারতের ব্যাটিং অর্ডারের দিকে দেখেন, রোহিত একাই টেনে নিয়ে গেছে, অসাধারণ ব্যাটিং করেছে। আমাদের টপ অর্ডার থেকে যদি এমন একটি ইনিংস আসতো, সম্ভবত আমাদের সুযোগ আরো বেশি থাকত ১৭০-১৮০ রান করার।’
Comments