রোহিতের কাছে বেধড়ক মার খেলেও ভড়কে যাচ্ছেন না শফিউলরা

জিতলেই গড়া হতো ইতিহাস। ভারতের বিপক্ষে ভারতের মাটিতে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের কীর্তিগাঁথা লেখা হতো। তা হয়নি। লড়াই-ই করতে পারেননি মাহমুদউল্লাহরা। রোহিত শর্মার ঝড়ে দ্বিতীয় ম্যাচে উল্টো লণ্ডভণ্ড হয়েছে বাংলাদেশের বোলিং লাইনআপ। তিনজন বোলার ওভারপ্রতি দশের বেশি রান দিয়েছেন, একজন দশের কাছাকাছি। রোহিতের চওড়া ব্যাটের সামনে নিজেদের এমন নখদন্তহীন হয়ে পড়াকে অবশ্য স্বাভাবিকভাবেই নিচ্ছেন পেসার শফিউল ইসলাম। অনুকূল পরিস্থিতিতে নিজের দিনে যেকোনো ক্রিকেটার যেকোনো ম্যাচ ঘুরিয়ে দিতে পারেন জানিয়ে তিনি বলেছেন, মনোবল না হারিয়ে পরের ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াতে মনোযোগ দিচ্ছেন তারা।
shafiul islam
শফিউল ইসলাম। ফাইল ছবি: একুশ তাপাদার

জিতলেই গড়া হতো ইতিহাস। ভারতের বিপক্ষে ভারতের মাটিতে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের কীর্তিগাঁথা লেখা হতো। তা হয়নি। লড়াই-ই করতে পারেননি মাহমুদউল্লাহরা। রোহিত শর্মার ঝড়ে দ্বিতীয় ম্যাচে উল্টো লণ্ডভণ্ড হয়েছে বাংলাদেশের বোলিং লাইনআপ। তিনজন বোলার ওভারপ্রতি দশের বেশি রান দিয়েছেন, একজন দশের কাছাকাছি। রোহিতের চওড়া ব্যাটের সামনে নিজেদের এমন নখদন্তহীন হয়ে পড়াকে অবশ্য স্বাভাবিকভাবেই নিচ্ছেন পেসার শফিউল ইসলাম। অনুকূল পরিস্থিতিতে নিজের দিনে যেকোনো ক্রিকেটার যেকোনো ম্যাচ ঘুরিয়ে দিতে পারেন জানিয়ে তিনি বলেছেন, মনোবল না হারিয়ে পরের ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াতে মনোযোগ দিচ্ছেন তারা।

দিল্লিতে ৭ উইকেটে জয়ের পর রাজকোটে ৮ উইকেটের ব্যবধানে ভারতের কাছে হেরেছে বাংলাদেশ। ফলে সিরিজে এসেছে সমতা। নাগপুরে আসন্ন তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি তাই হয়ে পড়েছে সিরিজ নির্ধারণী।

এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ জয়ের সুযোগ বেরিয়ে গেছে। ফলে রাজকোটের অভিযান ব্যর্থ। সেটা পেছনে ফেলে শুক্রবার (৮ নভেম্বর) সকালে নাগপুরের উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছে বাংলাদেশ দল। তবে কিছু জটিলতার কারণে নির্ধারিত সময়ের এক ঘন্টা দেরিতে ছেড়েছে ফ্লাইট। এই ফাঁকা সময়টাতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন শফিউল। তিনি কৃতিত্ব দিয়েছেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিতকে, ‘উইকেটটা খুব সুন্দর ছিল ব্যাটিংয়ের জন্য। ফ্ল্যাট উইকেট ছিল, আমার মনে হয়েছে। রোহিত খুব সুন্দর ব্যাটিং করছে। ওর ভালো দিন গিয়েছে কাল (বৃহস্পতিবার)। যা চেষ্টা করেছে, সেটাই পেরেছে।’

রাজকোটে বাংলাদেশের ছুঁড়ে দেওয়া ১৫৪ রানের লক্ষ্য তাড়ায় সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন রোহিত। নিজের শততম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি তিনি রাঙান আপন আলোয়। ৪৩ বলে ৮৫ রানের ইনিংসে মারেন সমান ৬টি করে চার ও ছয়। তার ব্যাটের কাছে নাজেহাল হন মোস্তাফিজ-মোসাদ্দেক-আফিফ-শফিউলরা। অথচ দিল্লিতে দুর্দান্ত ছিল বাংলাদেশের বোলিং। পরের ম্যাচেই দশা এমন বেহাল হলেও তাতে ভেঙে পড়ার কোনো কারণ দেখছেন শফিউল, ‘রোহিতের ভালো একটা দিন গিয়েছে। একজন খেলোয়াড়ের যখন ভালো দিন যায়, তখন মানসিকভাবে আসলে আমাদের দুর্বল হয়ে যাওয়ার  কিছু নাই। কারও এমন দিন গেলে যেকোনো দলকে হারানো সম্ভব। আমরা সবাই শক্ত আছি, এখনও একটা সুযোগ আছে। আমরা খুব ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়াব।’

প্রথম টি-টোয়েন্টিতে তিন বিভাগেই বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ছিল নজরকাড়া। দ্বিতীয়টিতে তার দেখা মেলেনি, ধরা পড়েছে নানা ভুল। নাগপুরে অঘোষিত ‘ফাইনাল’ ম্যাচে সেসব শুধরে নেওয়ার কথা জানিয়েছেন শফিউল, রাখছেন সিরিজ জয়ের প্রত্যাশা, ‘অবশ্যই, আমাদের এখনও সুযোগ আছে (সিরিজ জয়ের), যদি আমরা ভালো ক্রিকেট খেলি। প্রথম ম্যাচটা যেরকম খেলেছি, সেরকম যদি খেলতে পারি। আর এই ম্যাচে কিছু ছোট ছোট ভুল ছিল। যদি আমরা সামনের ম্যাচে এই ভুলগুলো না করি, অবশ্যই, আমাদের সিরিজ জেতা সম্ভব। আশা করি, আমরা দৃঢ়ভাবে ঘুরে দাঁড়াব। আমরা সিরিজ জেতার জন্যই খেলব।’

Comments