চাঁদপুরে আটকে পড়েছে প্রচুর নৌযাত্রী
ঘূর্ণিঝড় বুলবুল এর কারণে যাত্রীবাহী সব ধরণের নৌযান চলাচল বন্ধ থাকায় গতরাত থেকে চাঁদপুর লঞ্চঘাটে আটকে পড়েছেন প্রচুর সংখ্যক যাত্রী।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডাব্লিউটিএ) কোনো পূর্ব ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় আজ সকাল ১০টা পর্যন্ত খোলা আকাশের নীচে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে যাত্রীদের। আটকেপড়া যাত্রীদের বেশিরভাগেরই বাড়ি ভোলা, বরিশাল, বরগুনা ও পটুয়াখালীর বিভিন্ন এলাকায়।
কুমিল্লা থেকে আসা বরিশালের যাত্রী জমিস উদ্দিন বলেন, “ঘূর্ণিঝড়ের কোনো পূর্ব সংকেত পাইনি। রাতে এসে দেখি সব লঞ্চ বন্ধ। এ কারণে সারারাত লঞ্চঘাটেই বসে ছিলাম।”
বরিশালের নিপা নামের আরেক লঞ্চযাত্রী বলেন, “রাতে এভাবে খোলা আকাশের নীচে পুরুষেরা থাকতে পারলেও, নারীদের অনেক সমস্যা হয়। বিষয়টি কর্তৃপক্ষের ভেবে দেখা দরকার ছিলো।”
ঘূর্ণিঝড় বুলবুল ধেয়ে আসতে থাকায় বিআইডাব্লিউটিএ’র ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে গতকাল রাত ১০টায় চাঁদপুর থেকে সব ধরনের লঞ্চ ও নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ঢাকা-নারায়ণগঞ্জসহ সকল রুটের নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন চাঁদপুর নৌ-বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক।
এর আগে, গতকাল সন্ধ্যায় চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের বাসভবনে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল’র সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খান বলেন, “বুলবুল মোকাবিলার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল ধরনের প্রস্তুতি রাখা হয়েছে। এছাড়া চরাঞ্চলের সকল লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে উঠে আসার জন্য মাইকিং করে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।”
দুর্যোগ পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় ৫৮টি মেডিকেল টিম, স্থানীয় স্কাউট, রেড ক্রিসেন্ট, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্যদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
Comments