কেন ত্রিশের ঘরে ঘুরপাক খাচ্ছেন ব্যাটসম্যানরা, ব্যাখ্যা ডমিঙ্গোর
শুরুটা দারুণ, ইঙ্গিত থাকে বড় কিছুর। কিন্তু মাঝপথে গিয়ে খেই হারিয়ে তালগোল পাকিয়ে বিদায়। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের প্রায় সবারই হাল একই। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে মিলেছিল বড় রান, যার ফল এসেছে হাতেনাতে। বাকি সবাই ঘুরপাক খাচ্ছেন ত্রিশের ঘরে। দ্বিতীয় ম্যাচে চারজন ব্যাটসম্যানেরই হয় একই দশা। যার প্রভাব পড়েছে ম্যাচের ফলেও। কেন এমন হচ্ছে, কোচ রাসেল ডমিঙ্গো দিলেন ব্যাখ্যা।
দিল্লিতে প্রথম ম্যাচে উইকেট ছিল মন্থর। সেখানে ভারতের ১৪৮ রান বাংলাদেশ টপকায় মুশফিকের ৬০, সৌম্য সরকারের ৩৯ আর নাঈম শেখ ২৬ রানে।
রাজকোটে দ্বিতীয় ম্যাচে উইকেট ছিল রানে ভরা। আগে ব্যাটিং পেয়ে শুরুটা দারুণ করে বাংলাদেশ। কিন্তু ভালো শুরুটা মাটি হয়েছে ইনিংস টানতে না পারার ব্যর্থতায়। সেদিন একাধিক জীবন পেয়েও লিটন দাস আউট হন ২১ বলে ২৯ করে। টানা তিন চারে ঝলমলে শুরু পেয়েও নাঈম শেখ সুযোগ হাতছাড়া করেন। সময় বাড়তে ডট বলে চাপ বাড়িয়ে ফেরেন ৩১ বলে ৩৬ করে।
সৌম্যর দোষটা আরও চড়া। রাজকোটে সেদিন খেলছিলেন দারুণ। বল লাগছিল মাঝব্যাটে। বড় সংগ্রহের জন্য আশার বাতিঘর ছিলেন তিনিই। কিন্তু যুজবেন্দ্র চেহেলকে ভুল সময়ে এগিয়ে এসে মারতে গিয়ে স্টাম্পিং হয়ে ফেরেন ২০ বলে ৩০ রান করে। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহও শেষটা করতে না পেরে ফেরেন ওই ৩০ রানেই।
আগামীকাল রবিবারের (১০ নভেম্বর) সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচের আগে ব্যাটসম্যানদের বড় ইনিংস খেলতে না পারা একটা উদ্বেগের কারণ বলে মনে করেন বাংলাদেশের কোচ, ‘হ্যাঁ, আমরা কাল রাতে এটা নিয়ে কথা বলেছি। প্রথম ম্যাচে মুশফিক বড় রান করায় আমরা জিতেছি। পরের ম্যাচে রোহিত (শর্মা) বড় রান করায় তারা জিতেছে। আমরা দুটো ৩০ রানের ইনিংস খেলেছি। কিন্তু কেউ একজন যেন ৭০-৮০ রান করতে পারে, আমাদের এটা নিশ্চিত করতে হবে।’
ত্রিশ রানের মাঝারি ইনিংস ফিফটি ছাড়িয়ে যাচ্ছে না, কেন এমন হচ্ছে? ডমিঙ্গো জানালেন, টেকনিক নয়, গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ভুল সিদ্ধান্ত থেকেই বিপদ ডেকে আনছেন ব্যাটসম্যানরা, ‘হয়তো তারা উত্তর দিতে পারবে (হাসি)। তারা নিশ্চয়ই বড় রান করার চেষ্টা করছে। কিন্তু ইনিংসের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে কোনো ভুল চিন্তায় আউট হয়ে যাচ্ছে। তাদের এটা নিয়ে কাজ করতে হবে এবং ইনিংসকে বড় করতে হবে।’
‘তারা তো আর আউট হতে চেষ্টা করে না। নিজেদের ইনিংসের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে তারা ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে নিচ্ছে। আমার মনে হয় না টেকনিকে কোনো সমস্যা আছে। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের উন্নতি করতে হবে।’
Comments