টাকার ওপর ঘুমিয়ে থাকা সেই এসআই প্রত্যাহার

নারায়ণগঞ্জে টাকার একাধিক বান্ডেলের ওপর ঘুমিয়ে থাকা জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের এক উপ-পরিদর্শকের (এসআই) ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর তাকে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জে টাকার একাধিক বান্ডেলের ওপর ঘুমিয়ে থাকা জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আরিফুর রহমান আরিফের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

নারায়ণগঞ্জে টাকার একাধিক বান্ডেলের ওপর ঘুমিয়ে থাকা জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের এক উপ-পরিদর্শকের (এসআই) ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর তাকে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

গত ৮ নভেম্বর রাতে ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম নির্দেশে তাকে প্রত্যাহার করে শহরের মাসদাইর পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়। কিন্তু, বিষয়টি জানা-জানি হয় আজ (১১ নভেম্বর) রাতে।

ওই ডিবির এসআই হলেন মো. আরিফুর রহমান আরিফ।

নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, এসপি হারুন অর রশিদের বিদায়ের কারণে বিষয়টি নজরে আসেনি। কিন্তু, আমি ভারপ্রাপ্ত এসপির দায়িত্ব নেওয়ার পর গত ৮ নভেম্বর তাকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।

তিনি বলেন, “টাকার উৎসের বিষয়ে তদন্ত চলছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত পরে জানানো হবে।”

এর আগে গত ৬ নভেম্বর সকাল থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ছবিতে দেখা যায়, একটি মাইক্রোবাসের ভেতর দ্বিতীয় সারির সিটে বসে বাম হাতের উপর মাথা রেখে কাত হয়ে ঘুমিয়ে আছেন ডিবির এসআই মো. আরিফ। আর তার কোমরের দিকে অনেকগুলো টাকার বান্ডেল রয়েছে।

বান্ডেলগুলো ১০০, ৫০০ ও ১ হাজার টাকার নোটের। যেখানে ১০ থেকে ১২টি বান্ডেল রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে পুলিশ রেকর্ড ফাইল, কলম, ওয়ারলেস, মোবাইল, মোবাইলের পাওয়ার-ব্যাংক।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ৫ নভেম্বর রাত থেকে সিদ্ধিরগঞ্জ ও এর আশেপাশে এলাকায় ডিউটি করেন এসআই আরিফসহ একটি দল। পরদিন সকালে সিদ্ধিরগঞ্জে তাদের ব্যবহারের একটি গাড়িও রাস্তার পাশে পার্কিং করা ছিলো। সেসময় কেউ ওই ছবি তোলেন। তবে টাকার উৎস কী তা কিছু জানা যায়নি।

ডিবির এসআই মো. আরিফ ডেইলি স্টারকে বলেন, “এ ছবিটা ৪ থেকে ৫ মাস আগের। আমার মা অসুস্থ ছিলেন। আমি আমার এক বন্ধুর কাছ থেকে টাকা ধার নিয়েছিলাম এবং ইচ্ছা না থাকা শর্তেও ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। হয়তো ওইসময় কেউ ছবিটা তোলে ফেলে। প্রায় ৩ মাস আগে এ গাড়িটা ব্যবহার করা হয়। এ ছবি কোন এলাকায় সেটা বলতে পারবো না। এখানে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা ছিলো।”

তবে তার মা কোন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন আর কী রোগের জন্য এতো টাকা প্রয়োজন ছিলো এসব কিছু না বলে ফোন রেখে দেন।

ডিবির পরিদর্শক কামরুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, “এরকম কোনো ছবি দেখিনি। এ বিষয়ে কিছু বলতে পারছি না। বিষয়টা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

5h ago