জাতীয় লিগের চারটি ম্যাচই ড্র

জাতীয় লিগের পঞ্চম রাউন্ডে প্রথম ও দ্বিতীয় স্তরের সবগুলো ম্যাচই নিষ্প্রাণ ড্র হয়েছে। ফলে আরও একটি শিরোপার খুব কাছাকাছি চলে এসেছে খুলনা বিভাগ। পঞ্চম রাউন্ড শেষে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে আছে তারা। শেষ ম্যাচে ঢাকার বিপক্ষে ড্র করলেই নিশ্চিত হবে তাদের শিরোপা। তবে সুযোগ থাকছে ঢাকাও। শেষ রাউন্ডে খুলনাকে হারাতে পারলে চ্যাম্পিয়ন হবে তারা।
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

জাতীয় লিগের পঞ্চম রাউন্ডে প্রথম ও দ্বিতীয় স্তরের সবগুলো ম্যাচই নিষ্প্রাণ ড্র হয়েছে। ফলে আরও একটি শিরোপার খুব কাছাকাছি চলে এসেছে খুলনা বিভাগ। পঞ্চম রাউন্ড শেষে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে আছে তারা। শেষ ম্যাচে ঢাকার বিপক্ষে ড্র করলেই নিশ্চিত হবে তাদের শিরোপা। তবে সুযোগ থাকছে ঢাকাও। শেষ রাউন্ডে খুলনাকে হারাতে পারলে চ্যাম্পিয়ন হবে তারা।

শেষ দিনে নজর কেড়েছেন ঢাকা মেট্রোর অধিনায়ক মার্শাল আইয়ুব। দারুণ এক সেঞ্চুরি তুলে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে করেছেন ১৬৩ রান। আগের দিন সেঞ্চুরি তোলা নাসির হোসেনও ১৬১ রানে অপরাজিত থেকেছেন। এছাড়া রাজশাহী বিভাগের ফরহাদ রেজা পেয়েছেন ৬টি উইকেট।

রাজশাহী বিভাগ বনাম খুলনা বিভাগ

মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচের আগের দিনের ৪ উইকেটে ১৫৪ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামে খুলনা। শেষ দিনে ফরহাদ রেজার তোপে পড়ে দলটি। একাই শেষ ছয়টি উইকেটই তুলে নেন এ পেসার। ফলে এদিন আর ৪৭ রান যোগ করে ২০১ রানে গুটিয়ে যায় তারা। নাহিদুল ইসলামের ব্যাট থেকে আসে ৩৩ রান। ৪৮ রানের খরচায় ফরহাদ পান ৬টি উইকেট। এছাড়া মোহর শেখ অন্তর ও মুক্তার আলী ২টি করে উইকেট নেন।

৫০ রানে পিছিয়ে থেকে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে রাজশাহী। ৫ উইকেটে ৯৮ রান তোলার পর দুই দলই ড্র মেনে নেয়। ফলে নির্ধারিত সময়ে এক ঘণ্টা আগেই শেষ হয় ম্যাচটি। দায়িত্বশীল ব্যাটিং করে অভিষেক মিত্র ৩৩ রান করে অপরাজিত থাকেন। খুলনার পক্ষে ২টি করে উইকেট পেয়েছেন আব্দুল হালিম ও আব্দুর রাজ্জাক।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

রাজশাহী ১ম ইনিংস: ৫০.৪ ওভারে ১৫১

খুলনা ১ম ইনিংস: ৭৩.১ ওভারে ২০১ (রবি ১২, এনামুল ৭, অমিত ৫৯, তুষার ৫৮, সোহান ৯, নাহিদুল ৩৩, জিয়া ৬, মইনুল ৮, রাজ্জাক ০, রুবেল ২, হালিম ০; ফরহাদ রেজা ৬/৪৮, মোহর ২/৪০, সুজন ০/৩৯, মুক্তার ২/৪০, সানজামুল ০/৩১)।

রাজশাহী ২য় ইনিংস: ৩০.২ ওভারে ৯৮/৫ (অভিষেক ৩৩*, মিজানুর ৫, জুনায়েদ ০, ফরহাদ হোসেন ২৮, সাব্বির ২৫, ফরহাদ রেজা ১, মুক্তার ৫*; রুবেল ০/৩১, হালিম ২/৩৫, রাজ্জাক ২/২৩, নাহিদুল ১/৯, মইনুল ০/০)।

ফলাফল: ড্র

ম্যান অব দ্য ম্যাচ: রুবেল হোসেন (খুলনা বিভাগ)।

ঢাকা বিভাগ বনাম রংপুর বিভাগ

বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে আগের দিনের ৫ উইকেটে ২০০ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামে রংপুর বিভাগ। এদিন আরও ৪টি উইকেট হারিয়ে ৭১ যোগ করে ইনিংস ঘোষণা করে দলটি। আগের দিনই সেঞ্চুরি তুলে নেওয়া নাসির হোসেন দারুণ ব্যাটিং করে ১৬১ রানে অপরাজিত থাকেন। ২৮৩ বলে ১৯টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে এ রান করেন তিনি। ঢাকার পক্ষে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন শাহাদাত হোসেন, সালাউদ্দিন শাকিল, তাইবুর রহমান ও আরাফাত সানি জুনিয়র।

৩০৪ রানের লক্ষ্য ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেটে ১৭৬ রান করার পর ড্র মেনে নেয় দুই দল। ফলে নির্ধারিত সময়ের আগেই শেষ হয় খেলাটি। দারুণ ব্যাট করে ৮০ রানে অপরাজিত থাকেন রকিবুল হাসান। ১৭৩ বলে ৫টি চার ও ২টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

রংপুর ১ম ইনিংস: ২৩৪

ঢাকা ১ম ইনিংস: ২২২

রংপুর ২য় ইনিংস: ৯৯ ওভারে ২৭১/৯ (ইনিংস ঘোষণা) (রিশাদ ৫, মারুফ ১৭, সোহরাওয়ার্দী ১, নাসির ১৬১*, আরিফুল ৩০,  তানবীর ৯, নাঈম ৩২, ধীমান ৫, আলাউদ্দিন ০, আব্দুর ০, মুকিদুল ০*; শাহাদত ২/২৪, সালাউদ্দিন ২/৬৮, অপু ১/৬০, সানি জুনিয়র ২/৩৬, শুভাগত ০/৩৭, তাইবুর ২/২৭)।

ঢাকা ২য় ইনিংস: ১৭৬/৪ (জয়রাজ ৩, মজিদ ১৯, সানি জুনিয়র ৩৬, রকিবুল ৮০*, তাইবুর ২৪, শুভাগত ৮; মুকিদুল ১/৩২, আলাউদ্দিন ১/২০, রিশাদ ১/৩৮, নাসির ১/১০, আরিফুল ০/৫, তানবীর ০/২০, সোহরাওয়ার্দি ০/১৬, আব্দুর ০/২৯)।

ফলাফল: ড্র

ম্যান অব দ্য ম্যাচ: নাসির হোসেন (রংপুর বিভাগ)।

সিলেট বিভাগ বনাম ঢাকা মেট্রো

রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে আগের দিনের ৪ উইকেটে ২৪৫ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামে ঢাকা মেট্রো। এদিন আরও তিন উইকেট হারিয়ে ১৫০ রান যোগ তারা। ৬ উইকেটে ৩৯৫ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে দলটি। ৭৩ রানে ব্যাট করা মার্শাল আইয়ুব এদিন সেঞ্চুরি তুলে ১৬৩ রানে অপরাজিত থাকেন। ২১২ বলে ২২টি চার ও ১টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। জাবিদ হোসেন করেন ৩০ রান। সিলেটের পক্ষে ২টি করে উইকেট নেন এনামুল হক জুনিয়র ও আলোক কাপালী।

৩৫৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১ উইকেট হারিয়ে ৬০ রান তোলে সিলেট। এরপর দুই দল ড্র মেনে নিলে নির্ধারিত সময়ের ঘণ্টা খানেক আগেই ম্যাচটি শেষ হয়। ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাটিং করে ৫১ বলে ৪৩ রান করে অপরাজিত থাকেন তৌফিক খান।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ঢাকা মেট্রো ১ম ইনিংস: ৩১১/৮ (ইনিংস ঘোষণা)

সিলেট ১ম ইনিংস: ৩৫১

ঢাকা মেট্রো ২য় ইনিংস: ১০১ ওভারে ৩৯৫/৬ (ইনিংস ঘোষণা) (আজমির ৮০, রাকিন ১৫, শামসুর ৩৭, মার্শাল ১৬৩, আল-আমিন ৪, জাবিদ ৩০, শরিফুল্লাহ ২১, শহিদুল ২১; রেজাউর ১/৬৮, আবিদুল ০/৫২, নাসুম ১/৮৭, এনামুল জুনিয়র ২/১১৪, অলক ২/৫৯, রাহাতুল ০/২)।

সিলেট ২য় ইনিংস: ১৫.৩ ওভারে ৬০/১ (ইমতিয়াজ ৪, শানাজ ১২, তৌফিক ৪৩; তাসকিন ১/২২, শরিফুল্লাহ ০/১, মানিক ২/২২)।

ফলাফল: ড্র

ম্যান অব দ্য ম্যাচ: আমিত হাসান (সিলেট বিভাগ)

বরিশাল বিভাগ বনাম চট্টগ্রাম বিভাগ

বরিশাল বিভাগীয় স্টেডিয়ামে আগের তিন দিন খেলা না হলেও চতুর্থ দিনে মাঠে বল গড়িয়েছে। যদিও ম্যাচের ফলাফল নির্ধারিতই ছিল। বরিশাল প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৩ উইকেটে ৭০ রান করার পর ইনিংস ঘোষণা করে। পরে কোন উইকেট না হারিয়ে ৪৫ রান করে চট্টগ্রাম বিভাগ। এরপর ড্র মেনে নেয় দুই দল।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বরিশাল ১ম ইনিংস: ১৩ ওভারে ৭০/৩ (ইনিংস ঘোষণা) (রাফসান ০, আশরাফুল ২, গাজী ৪৪, নাঈম ২১*, নুরুজ্জামান ৩*; ইফ্রান ২/১৩, শাখাওয়াত ০/৪৫, নোমান ১/১২)।

চট্টগ্রাম ১ম ইনিংস: ৬ ওভারে ৪৫/০ (সাদিকুর ১২, পিনাক ৩০; রাব্বি ০/৯, গাজী ০/১৭, মইন ০/১২, মনির ০/৭)।

ফলাফল: ড্র

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

9h ago