‘জাতীয় দলের দরজা খোলা, পারফর্ম করলে দলে ঢুকতে পারব’

ভারতের বিপক্ষে ইন্দোর টেস্টে নামার আগে যখন শেষ প্রস্তুতিটুকু সারছেন মোস্তাফিজুর রহমান, আল-আমিন হোসেন, আবু জায়েদ রাহি ও ইবাদত হোসেন, তখন দেশের মাটিতে রুবেল হোসেন চোখ রাখছেন জাতীয় লিগের শিরোপার দিকে। সবশেষ ম্যাচে খুলনা বিভাগের হয়ে প্রথম শ্রেণিতে ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ফিগার অর্জন করা এই পেসারের মূল লক্ষ্য এখন পারফর্ম করে ফের বাংলাদেশ দলে জায়গা করে নেওয়া।
rubel hossain
ছবি: এএফপি

ভারতের বিপক্ষে ইন্দোর টেস্টে নামার আগে যখন শেষ প্রস্তুতিটুকু সারছেন মোস্তাফিজুর রহমান, আল-আমিন হোসেন, আবু জায়েদ রাহি ও ইবাদত হোসেন, তখন দেশের মাটিতে রুবেল হোসেন চোখ রাখছেন জাতীয় লিগের শিরোপার দিকে। সবশেষ ম্যাচে খুলনা বিভাগের হয়ে প্রথম শ্রেণিতে ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ফিগার অর্জন করা এই পেসারের মূল লক্ষ্য এখন পারফর্ম করে ফের বাংলাদেশ দলে জায়গা করে নেওয়া।

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) মিরপুরে চলমান জাতীয় লিগের পঞ্চম রাউন্ডে ড্র হয়েছে খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের মধ্যকার ম্যাচটি। পাঁচ ম্যাচে দুই জয় ও তিন ড্রয়ে প্রথম স্তরের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে রয়েছে খুলনা, পাচ্ছে শিরোপার সুবাস। রাজশাহীর বিপক্ষে ম্যাচে দুর্দান্ত বোলিং করেন গতি তারকা রুবেল। প্রথম ইনিংসে ৫১ রানে নেন ৭ উইকেট, যা প্রথম শ্রেণিতে তার সেরা বোলিং নৈপুণ্য।

ভারতের সফরের কোনো ফরম্যাটের বাংলাদেশ দলেই জায়গা হয়নি রুবেলের। তাই জাতীয় লিগের সবকটি ম্যাচেই খেলার সুযোগ হয়েছে তার। প্রথম চার ম্যাচে নিজের জাত চেনাতে ব্যর্থ হলেও পঞ্চম রাউন্ডে স্বরূপে ফেরেন তিনি। এতে নিজেকে নিয়ে সন্তুষ্টি ঝরছে রুবেলের কণ্ঠে, ‘অবশ্যই, ভালো লাগছে। আমি শেষ চারটা ম্যাচ খেলেছি, বোলিং ভালো হচ্ছিল, কিন্তু উইকেট সেভাবে পাচ্ছিলাম না। এ ম্যাচটায় উইকেট আমার পক্ষে ছিল, উইকেট নরম ছিল, সঙ্গে আমি চেষ্টা করেছি যেন ঠিক জায়গায় বল করতে পারি। আর সে জায়গায় সফল হয়েছি।’

খুলনার হয়ে জাতীয় লিগে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘আমাদের দল খুব ভালো পজিশনে আছে, আমাদের পরের ম্যাচটি খুব গুরুত্বপূর্ণ, ঢাকার সঙ্গে। ওই ম্যাচটা অবশ্য ড্র হলেও আমরাই চ্যাম্পিয়ন হব, তারপরও আমরা জেতার জন্যই খেলব। তো ওই ম্যাচটা আমাদের সবার জন্যই ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।’

আপাতত দলের বাইরে থাকায় কিছুটা হতাশ রুবেল, তবে ভেঙে পড়ছেন না তিনি। আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে জানিয়েছেন ফের লাল-সবুজের জার্সিতে ফেরার প্রত্যাশার কথা, ‘অবশ্যই, জাতীয় দলের বাইরে থাকা সবসময়ই খারাপ লাগে। অনেকদিন ধরে খেলছি, হঠাৎ করে দলের বাইরে, খারাপ তো লাগছেই। অবশ্য জাতীয় দলের দরজা তো সবসময়ই খোলা আছে, পারফর্ম করতে পারলে দলে ঢুকতে পারব। আমিও চেষ্টা করব, পরের ম্যাচ আরও ভালো খেলার।’

দলে জায়গা ফিরে পেতে নিজেকে উজাড় করে দেওয়ার বার্তাও দিয়েছেন বাংলাদেশের হয়ে ২৬ টেস্ট, ১০১ ওয়ানডে ও ২৭ টি-টোয়েন্টি খেলা এই অভিজ্ঞ ফাস্ট বোলার, ‘আমি সবসময় চেষ্টা করি। সামনে আরেকটা ম্যাচ আছে (জাতীয় লিগের)। এরপর বিপিএল আছে, ওখানেও ভালো করলে অবশ্যই জাতীয় দলে ফেরার সুযোগ থাকছে। আমার লক্ষ্য, পরের ম্যাচগুলো যেখানেই খেলি যেন ভালো খেলতে পারি।’

Comments

The Daily Star  | English
Detained opposition activists

The flipside of the democracy carnival

Bereft of the basic rights to assemble and express, let alone protest, the people of Bangladesh are currently bearing the brunt of the coercive apparatuses of the state.

10h ago