কন্ডিশনের কারণে লড়াই আশা করছেন কোহলি

সবশেষ সিরিজে নিজেদের মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে কাঁদিয়ে ছেড়েছে ভারত। তিন ম্যাচের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল প্রোটিয়ারা, দুটিতে হেরেছিল ইনিংস ব্যবধানে। ঘরের মাঠে অদম্য এই ভারতের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার চেয়ে বাংলাদেশ বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে কিনা, বুধবার (১৩ নভেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে এমন প্রশ্ন ছুঁড়ে দেওয়া হয়েছিল বিরাট কোহলির কাছে।
জবাবে ভারতীয় দলনেতা সরাসরি ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ বোধক উত্তর দেননি। তবে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন, যেহেতু বাংলাদেশ ও ভারতের কন্ডিশন প্রায় একই রকমের, সেহেতু ইন্দোরে সিরিজের প্রথম টেস্টে মুমিনুল হকের দলের কাছ থেকে লড়াই আশা করছেন তিনি।
শক্তির বিচারে বাংলাদেশ ও ভারতের ব্যবধান বিস্তর। নিজেদের সবশেষ টেস্টে বাংলাদেশ হেরেছে আফগানিস্তানের কাছে। তাছাড়া খেলাটা হচ্ছে কোহলিদের চেনা আঙিনায়। তাই স্বাভাবিকভাবেই হট ফেভারিট তকমা তাদের গায়ে। তারপরও বাংলাদেশকে গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়ার কথা বলেছেন কোহলি, ‘তারা একই ধরনের কন্ডিশনে খেলে অভ্যস্ত। তাই আমরা নিশ্চিতভাবেই মনে করি যে তারা তাদের গেম-প্ল্যানটা জানে, কী করা প্রয়োজন সেটা তারা জানে। ফল নিজেদের পক্ষে আনতে আমরাদের ভালো খেলতে হবে যেভাবে আমরা আগের সব ম্যাচ খেলেছি। তাই আমরা কোনোকিছুই হালকাভাবে নিচ্ছি না। আমরা বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যান-বোলারকেই হালকাভাবে নিচ্ছি না।’
বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের যোগ্যতা-সামর্থ্যের সম্পর্কে অবগত থাকার কথা জানালেও নিজেদের লক্ষ্যটা এক ফাঁকে বলে দিতে ভুলে যাননি সময়ের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান কোহলি, ‘যখন তারা ভালো খেলে, তখন তারা খুবই দক্ষতাসম্পন্ন দল হিসেবে আবির্ভূত হয়। আর ভালো ক্রিকেট খেলার সব রকমের সামর্থ্য তাদের আছে। এই বিষয়টাকে আমরা সম্মান করছি। তবে সবকিছুর ঊর্ধ্বে, নিজেদের উদ্দেশ্যের ওপর আমাদের আস্থা রয়েছে।’
উল্লেখ্য, ভারতের মাটিতে এটাই বাংলাদেশের প্রথম পূর্ণাঙ্গ সিরিজ। এর আগে সেখানে কেবল একটি টেস্টই খেলেছে টাইগাররা, ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে হায়দরাবাদে। পঞ্চম দিনে গড়ানো ম্যাচটি বাংলাদেশ হেরেছিল ২০৮ রানের বড় ব্যবধানে।
Comments