‘আবরার হত্যাকারীরা উচ্ছৃঙ্খল জীবনযাপন করতো, ভয়ের রাজত্ব সৃষ্টি করেছিলো’

১৩ নভেম্বর ২০১৯, আবরার হত্যায় ২৫ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেওয়ার পর এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম। ছবি: স্টার

বুয়েট শিক্ষার্থী আবরারের হত্যাকারীরা উচ্ছৃঙ্খল জীবনযাপনে অভ্যস্ত হয়েছিলো। তারা ক্যাম্পাসে ভয়ের রাজত্ব কায়েম করেছিলো বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

আজ (১৩ নভেম্বর) আবরার হত্যায় ২৫ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেওয়ার পর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, “আবরারকে শিবির সন্দেহ করা ছিলো অনেক কারণের মধ্যে একটি মাত্র কারণ। ওরা (আসামিরা) উচ্ছৃঙ্খল জীবনযাপনে অভ্যস্ত হয়েছিলো। ছোটখাটো বিষয়ে কেউ একটু দ্বিমত পোষণ করলে, সালাম না দিলে, কেউ এদের বিরুদ্ধে কথা বললে- ওরা র‌্যাগিংয়ের নামে অন্যদেরকে আতঙ্কিত করে রাখার জন্য এ কাজগুলো করে আসছিলো।”

“একজনের উপর নির্যাতন করে যাতে বাকিরা তাদেরকে যথাযথভাবে সালাম দেয়, ভয় করে চলে। এরকম ভয়ের রাজত্ব কায়েম করার জন্য যে দীর্ঘদিনের প্রক্রিয়া সেটির অংশ হিসেবে উচ্ছৃঙ্খল ছেলেগুলো এই হত্যাকাণ্ড করেছে,” যোগ করেন ডিএমপি কর্মকর্তা।

তিনি আরও বলেন, “হল প্রশাসন বা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আরেকটু সতর্ক হলে, যদিও সেটি তদন্তের অংশ হিসেবে সেভাবে আসেনি, তারপরও পারিপার্শ্বিক বিবেচনায় এবং সমস্ত ঘটনা প্রবাহ বিশ্লেষণ করে হল প্রশাসনের এক ধরনের ব্যর্থতা আমরা দেখেছি।”

তার মতে, “এরা রাজনৈতিক পরিচয়কে শেল্টার হিসেবে ব্যবহার করেছে। এরা অছাত্রসুলভ জীবন-যাপনে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছিলো। তাদের কর্তৃত্ববাদী আচরণকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য, রাজনৈতিক পরিচয় প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার করেছে বলে আমরা তদন্তে পেয়েছি।”

“আমরা তদন্তে আরও পেয়েছি মোটামুটি রাত ১০টার পর থেকে তার (আবরার) উপর নির্যাতন শুরু হয়” উল্লেখ করে তিনি বলেন, “ডাক্তার এসে তিনটার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করে। এতো দীর্ঘ সময় তাকে পেটানো হচ্ছিলো। তাকে হয়তো ওই সময় হাসপাতালে নিয়ে গেলে এই নৃশংস পরিণতি হতো না।”

Comments

The Daily Star  | English

Ishraque announces suspension of protest for 48 hours

He made the announcement while talking to the party men in front of Kakrail mosque this afternoon

15m ago