জেতার প্রত্যাশা নেই, তাই চাপও নেই মুমিনুলদের!

ভারতের সঙ্গে ভারতের মাঠে টেস্ট সিরিজ খেলতে নামাই কি বাংলাদেশের বড় প্রাপ্তি? অধিনায়ক মুমিনুল হকের কথা শুনলে অন্তত তা-ই মনে হবে। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচ, আছে পয়েন্টের হিসেব নিকেশ। বাংলাদেশ পয়েন্টও চায় বটে, তবে মুমিনুল কথার ফাঁদে পড়ে যেন বুঝিয়ে দিলেন আসলে বাস্তবতা কতটা কঠিন।
Mominul Haque & Russell Domingo
কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর সঙ্গে অধিনায়ক মুমিনুল হক। ছবি: বিসিবি

ভারতের সঙ্গে ভারতের মাঠে টেস্ট সিরিজ খেলতে নামাই কি বাংলাদেশের বড় প্রাপ্তি? অধিনায়ক মুমিনুল হকের কথা শুনলে অন্তত তা-ই মনে হবে। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচ, আছে পয়েন্টের হিসেব নিকেশ। বাংলাদেশ পয়েন্টও চায় বটে, তবে মুমিনুল কথার ফাঁদে পড়ে যেন বুঝিয়ে দিলেন আসলে বাস্তবতা কতটা কঠিন।

নতুন টেস্ট অধিনায়কত্ব পেয়েছেন। উত্তাপটা টের পেতে পেতেই আসতে হয়েছে ভারতে। ভারতের মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে তাদেরই মাঠে খেলা। তাও আবার টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচ। সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবালদের মতো তারকা নেই। মুমিনুলরা কীভাবে সামলাবেন পরিস্থিতি।

মুমিনুল হাঁটলেন বাস্তবতার পথে। দুই দলের শক্তির তারতম্য বুঝিয়ে যেন জানালেন নিজেদের অবস্থান, ‘আমার কাছে মনে হয়েছে আমাদের কোনো চাপ নাই। কারণ আমাদের কোন প্রত্যাশা ওইরকম নেই। আপনারাও জানেন, আমরাও জানি সবাই জানে। আমাদের ওইরকম চাপও নেই যে আমাদের জিততে হবে। আমরা আমদের ভালো ক্রিকেট খেলার চেষ্টা করব।’

পালটা প্রশ্ন এলো, জেতার প্রত্যাশা ছাড়া একটা দল খেলতে নামবে? নিজের আগের উত্তর কিছুটা শোধরে দেওয়ার চেষ্টা করলেন। তাতে উত্তর যা দাঁড়াল,  ‘জেতার প্রত্যাশা তা বলি নাই। আপনারা যেভাবে বলছেন যে ঐরকম প্রত্যাশা না। যখন কোনো খেলোয়াড় মাঠে নামে সে সবসময় জেতার জন্যই খেলে। যখন আপনি বেশি প্রত্যাশা নিয়ে কথা বলবেন তখন চাপ চলে আসবে আমার কাছে।’

অর্থাৎ মুমিনুল বোঝাতে চাইলেন ভালো খেলার তাড়না তাদের তীব্রই আছে। কিন্তু সেই ভালো খেলা মানে জিততেই হবে এমন বাঁচা মরার আবহে নিয়ে যেতে চান না পরিস্থিতি। 

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

5h ago