সু চির নামে মামলা আর্জেন্টিনায়

রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে নিপীড়ন-নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ড ঘটানোর জন্য মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি এবং শীর্ষ কর্মকর্তাদের নামে মামলা হয়েছে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ আর্জেন্টিনায়। প্রথমবারের মতো এই নোবেল বিজয়ীর নাম রোহিঙ্গা নির্যাতনের কোনো মামলায় জড়ালো।
Aung San Suu Kyi
অং সান সু চি। ছবি: রয়টার্স ফাইল ফটো

রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে নিপীড়ন-নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ড ঘটানোর জন্য মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি এবং শীর্ষ কর্মকর্তাদের নামে মামলা হয়েছে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ আর্জেন্টিনায়। প্রথমবারের মতো এই নোবেল বিজয়ীর নাম রোহিঙ্গা নির্যাতনের কোনো মামলায় জড়ালো।

রোহিঙ্গা এবং লাতিন আমেরিকার মানবাধিকার সংগঠনগুলো আর্জেন্টিনায় ‘সার্বজনীন এখতিয়ার’ নীতির অধীনে মামলাটি দায়ের করেছে। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের বিচার পৃথিবীর যেকোনো জায়গায় হতে পারে। তার ভিত্তিতেই আর্জেন্টিনায় মামলাটি দায়ের করা হয়। খবর এএফপির।

মামলাটির আইনজীবী টমাস ওজিয়া আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থাটিকে বলেন, “এই অভিযোগটি গণহত্যার জন্য দোষী, সহযোগী এবং অপরাধ চাপা দেওয়ার চেষ্টাকারীদের বিরুদ্ধে। আমরা এটি আর্জেন্টিনার মাধ্যমে করছি কারণ অন্য কোথাও এই ফৌজদারি অভিযোগ দায়ের করার কোনও সম্ভাবনা নেই।”

ওজিয়া জানান, তিনি আশা প্রকাশ করেছেন যে মামলার ফলস্বরূপ আন্তর্জাতিক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হবে। তবে, এই মামলায় গণহত্যার অপরাধটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। কেননা, এটি আর্জেন্টিনার দণ্ডবিধিতে নেই।

রোহিঙ্গা নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে বার্মিজ রোহিঙ্গা সংগঠন ইউকে (ব্রুক) এর সভাপতি তুন খিন বলেছেন, “কয়েক দশক ধরে মিয়ানমার সরকার আমাদের অবরুদ্ধ করে রেখে আমাদের নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা করেছে। আমাদের দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য করছে। আমাদের হত্যা করছে।”

আর্জেন্টিনার আদালতে এমন আন্তর্জাতিক অপরাধের মামলা এটিই প্রথম নয়। এর আগে স্পেনের সাবেক স্বৈরশাসক ফ্রান্সিসকো ফ্রেঞ্চো এবং চীনে ফালুন গং আন্দোলনের সঙ্গে সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক আদালতের মামলাও আর্জেন্টিনার আদালত গ্রহণ করেছে।

উল্লেখ্য, নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরে জাতিসংঘের শীর্ষ আদালতেও মিয়ানমারের বিরুদ্ধে পৃথক একটি মামলা দায়ের করেছে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়া।

Comments

The Daily Star  | English
Bangladeshi migrant workers in gulf countries

Can we break the cycle of migrant exploitation?

There has been a silent consensus on turning a blind eye to rights abuses of our migrant workers.

6h ago