দিনের শুরুতেই পূজারা-কোহলিকে ফেরালেন আবু জায়েদ
দিনের দ্বিতীয় ওভারেই চেতেশ্বর পূজারাকে ফেরাতে পারত বাংলাদেশ। কিন্তু আবু জায়েদ রাহীর বলে স্লিপে কঠিন ক্যাচটি হাত ছোঁয়ালেও তালুবন্দি করতে পারেননি মেহেদী হাসান মিরাজ। পরের বলেই বাউন্ডারি মেরে হাফসেঞ্চুরি পূরণ করেন এই ভারতীয় ব্যাটসম্যান। তবে তার দ্বিতীয় জীবনকে দীর্ঘস্থায়ী হতে দেননি সেই আবু জায়েদই। নিজের পরের ওভারেই বাংলাদেশকে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য এনে দিয়েছেন এই পেসার। এক ওভার পর আবারও আঘাত হেনেছেন আবু জায়েদ, তুলে নিয়েছেন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উইকেটটি। রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে পাঠিয়েছেন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলিকে।
শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) হল্কার স্টেডিয়ামে গড়িয়েছে ইন্দোর টেস্টের দ্বিতীয় দিনের খেলা। এই প্রতিবেদন লেখার সময়, প্রথম ইনিংসে ভারতের সংগ্রহ ৩২ ওভারে ৩ উইকেটে ১১৯ রান। উইকেটে আছেন ওপেনার মায়াঙ্ক আগারওয়াল ৫৭ ও মাত্রই নামা আজিঙ্কা রাহানে ০ রানে।
প্রথম দিন সকালে ভারতীয় পেসাররা উইকেট থেকে সুবিধা আদায় করে নিয়েছিলেন। এদিন বাংলাদেশের দুই পেসার আবু জায়েদ ও ইবাদত হোসেনও কাজে লাগাচ্ছেন ঘাসের ছোঁয়া থাকা পিচকে।
দিনের খেলা শুরু করেন ভারতের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান মায়াঙ্ক ও পূজারা। মিরাজের হাত থেকে ক্যাচ বেরিয়ে যাওয়ার পর টেস্ট ক্রিকেটে ২৩তম ফিফটি তুলে নেন পূজারা। এরপর আবু জায়েদের ডেলিভারিতেই ড্রাইভ করতে গিয়ে চতুর্থ স্লিপে ক্যাচ দেন তিনি। যে মিরাজ পূজারাকে জীবন দিয়েছিলেন, তার বদলি হিসেবে নামা সাইফ হাসান লুফে নেন বল। ৭২ বলে ৯ চারে ৫৪ রান করে ফেরেন তিনি।
ইবাদতকে দুই চার মেরে হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন মায়াঙ্ক। অষ্টম টেস্টে এটি তার চতুর্থ ফিফটি। পরের ওভারে ফের উল্লাসে মাতে বাংলাদেশ। টেস্ট ক্যারিয়ারে দশমবারের মতো শূন্য রানে আউট হন কোহলি। আবু জায়েদের দুর্দান্ত ডেলিভারিটি অফ স্টাম্পের বাইরে পিচ করে বাঁক খেয়ে ভেতরে ঢুকে আঘাত করে কোহলির পেছনের পায়ে। জোরালো আবেদন সত্ত্বেও সাড়া দেননি আম্পায়ার। তাই বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল হক নেন রিভিউ। দেখা যায়, ইম্প্যাক্ট লাইনেই ছিল, বলও লাগছিল লেগ স্টাম্পে। ফল, ২ বল খেলে ডাক মেরে ফেরেন কোহলি।
আগের দিন টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ভারতীয় বোলারদের তোপের মুখে চা বিরতির পরপরই বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে গুটিয়ে যায় ১৫০ রানে। ভারত দিনের খেলা শেষ করেছিল ২৬ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৮৬ রান তুলে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ৫৮.৩ ওভারে ১৫০ (সাদমান ৬, ইমরুল ৬, মুমিনুল ৩৭, মিঠুন ১৩, মুশফিক ৪৩, মাহমুদউল্লাহ ১০, লিটন ২১, মিরাজ ০, তাইজুল ১, আবু জায়েদ ৭*, ইবাদত ২; ইশান্ত ২/২০, উমেশ ২/৪৭, শামি ৩/২৭, অশ্বিন ২/৪৩, জাদেজা ০/১০)।
Comments