ইমরুলকে কি ধন্যবাদ দিয়েছিলেন মায়াঙ্ক?

ছক্কা মেরে ডাবল সেঞ্চুরি করার পরই ঝড় তুলেছিলেন মায়াঙ্ক আগারওয়াল। চার-ছয়ে দ্রুত এগুচ্ছিলেন। তেমনি এক ছক্কা মারতে গিয়ে মেহেদী হাসান মিরাজের বলে কাটা পড়েন ২৪৩ রানে। ড্রেসিং রুমে ফেরার পথে বাংলাদেশের অনেক ক্রিকেটারের সঙ্গে তাকে অভিনন্দন জানান ইমরুল কায়েসও। আগের দিন ইমরুলের সৌজন্যে পাওয়া জীবন কাজে লাগিয়েই তো তার অমন ব্যাটিং। মায়াঙ্কের মতো একাধিক সুযোগ পেয়েও অবশ্য কাজে লাগাতে পারেননি বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা।
Mayank Agarwal
ছবি: এএফপি

ছক্কা মেরে ডাবল সেঞ্চুরি করার পরই ঝড় তুলেছিলেন মায়াঙ্ক আগারওয়াল। চার-ছয়ে দ্রুত এগুচ্ছিলেন। তেমনি এক ছক্কা মারতে গিয়ে মেহেদী হাসান মিরাজের বলে কাটা পড়েন ২৪৩ রানে। ড্রেসিং রুমে ফেরার পথে বাংলাদেশের অনেক ক্রিকেটারের সঙ্গে তাকে অভিনন্দন জানান ইমরুল কায়েসও। আগের দিন ইমরুলের সৌজন্যে পাওয়া জীবন কাজে লাগিয়েই তো তার অমন ব্যাটিং। মায়াঙ্কের মতো একাধিক সুযোগ পেয়েও অবশ্য কাজে লাগাতে পারেননি বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা।  

দ্বিতীয় জীবন পেয়ে ভারতের এই ওপেনার সারাদিন ছড়ি ঘুরিয়েছেন বাংলাদেশের বোলারদের উপর। দিনশেষে প্রশ্ন গেল ফেরার পথে ইমরুলকে কি ধন্যবাদ দিয়েছিলেন মায়াঙ্ক? মজার সেই প্রশ্নে এই ওপেনার জানিয়েছেন সুযোগ কাজে লাগাতে তার দৃঢ়তার কথা, ‘এটা আমার কাজের অংশ না (হাসি)। তবে যেটা চিন্তা করেছি যদি আমি সুযোগ পাই তাহলে অনেক বড় করব ইনিংস। হ্যাঁ ক্যাচটা নিলে আউট হয়ে যেতে পারতাম কালই। কিন্তু যখন সুযোগ পেয়েছি এটাকে বড় করা দায়িত্ব ছিল।’

আগের দিন তখন ব্যাট করছিলেন ৩২ রানে। আবু জায়েদ রাহির ড্রাইভে প্রলুব্ধ করা এক বলে ভুল করে বসেছিলেন। ব্যাটের কানায় লেগে ক্যাচ উঠে গিয়েছিল প্রথম স্লিপে। সেখানে দাঁড়ানো ইমরুল সহজ ক্যাচটি হাতে নিয়েও রাখতে পারেননি। অমন জীবন আর হেলায় হারাতে দেননি মায়াঙ্ক। দ্বিতীয় দিনে নেমে আরও ক্ষুরধার তার। এবার আর কোন ভুল নয়। বাকি পথ এগিয়েছেন প্রায় নিখুঁতভাবে।

সকালে যখন সেই রাহি আবার স্যুয়িং বলে কাবু করে চেতশ্বর পূজারা আর বিরাট কোহলিকে আউট করে দেন  তখন ক্রিজে অবিচল মায়াঙ্ক। আজিঙ্কা রাহানেকে নিয়ে ১৯০ রান আর রবীন্দ্র জাদেজাকে নিয়ে ১২৩ রানের আরও দুই জুটি গড়ে বাউন্ডারির বাইরে উড়ান সব চাপ। তুলে নেন ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি। পাঁচ ইনিংসের মধ্যে করে ফেলেন দুটি ডাবল সেঞ্চুরি। শেষ দিকে তেড়েফুঁড়ে ব্যাট চালিয়ে রান বাড়িয়েছেন। ৩৩০ বলের ইনিংস স্ট্রোক ঝলমল। ২৪৩ রান করার পথে মেরেছেন ২৮ চার আর ৮ ছক্কা।

মায়াঙ্ক সুযোগ কাজে লাগিয়েছেন। কিন্তু এমন সুযোগ একাধিকবার পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। মুশফিকুর রহিম দুবার জীবন পেয়েও পরে ফেরেন ৪৩ রানে। মাহমুদউল্লাহ ৭ রানে জীবন পেয়েও আউট হন ১০ রানে। মুমিনুল হক ৩ রানে জীবন পেয়েও করতে পেরেছিলেন ৩৭ রান।

বোলিংয়ের পাশাপাশি দু’দলের মধ্যে পার্থক্য গড়েছে  এসবও। বাংলাদেশের ১৫০ রানে গুটিয়ে যাওয়ার জবাবে ৬ উইকেটে ৪৯৩ রান তুলে বড় জয়ের অপেক্ষায় ভারত।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

10h ago