রোহিঙ্গা ইস্যুতে আইসিসির তদন্ত প্রত্যাখ্যান মিয়ানমারের

রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নিপীড়ন-নির্যাতন অভিযানে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে কী না, তা তদন্তের অনুমোদন দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)।
rakhine.jpg
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হাতে রোহিঙ্গা নির্যাতনের দৃশ্য। ফাইল ছবি

রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নিপীড়ন-নির্যাতন অভিযানে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে কী না, তা তদন্তের অনুমোদন দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)।

বিষয়টিকে প্রত্যাখ্যান করে গতকাল (১৫ নভেম্বর) মিয়ানমারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এটি আন্তর্জাতিক আইনকে সমর্থন করে না।

মিয়ানমার সরকারের মুখপাত্র জ্য হেতে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, “মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আইসিসির তদন্তের অনুমোদন আন্তর্জাতিক আইনকে সমর্থন করে না।”

রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে নিপীড়ন-নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ড ঘটানোর জন্য মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি এবং শীর্ষ কর্মকর্তাদের নামে মামলা হয় দক্ষিণ আমেরিকার দেশ আর্জেন্টিনায়।

রোহিঙ্গা এবং লাতিন আমেরিকার মানবাধিকার সংগঠনগুলো আর্জেন্টিনায় ‘সার্বজনীন এখতিয়ার’ নীতির অধীনে মামলাটি দায়ের করেছে।

এই মামলার প্রেক্ষিতে রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে তদন্তের অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে গত বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে জানায় আইসিসি।

এর আগে, গত ১১ নভেম্বর নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরে জাতিসংঘের শীর্ষ আদালতেও মিয়ানমারের বিরুদ্ধে পৃথক একটি মামলা দায়ের করেছে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়া।

উল্লেখ্য, বিদ্রোহীদের হামলার জবাবে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী ২০১৭ সালের আগস্টে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে এক কঠোর বিদ্রোহ দমন অভিযান শুরু করে। সেসময় গণধর্ষণ, হত্যা ও ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়াসহ জাতিগত নির্মূল অভিযান থেকে বাঁচতে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে প্রতিবেশী বাংলাদেশে আশ্রয় নেন।

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা তাদের উপর নির্বিচারে হত্যা, ধর্ষণ, জ্বালাও-পোড়াওয়ের ভয়াবহ বিবরণ তুলে ধরেন, যাকে জাতিগত নির্মূল অভিযান হিসেবে আখ্যায়িত করেছে জাতিসংঘ।

Comments

The Daily Star  | English

Fashion brands face criticism for failure to protect labour rights in Bangladesh

Fashion brands, including H&M and Zara, are facing criticism over their lack of action to protect workers' basic rights in Bangladesh, according to Clean Clothes Campaign (CCC)..One year after a violent crackdown by state actors and employers against Bangladeshi garment workers protesting

Now