২০২৩ সালের মধ্যে বুলেট ট্রেন চালু করবে থাইল্যান্ড
বুলেট ট্রেন চালু করতে যাচ্ছে থাইল্যান্ড। বেশ কয়েক বছরের চেষ্টা ও বহু বিতর্কের পর তারা এটি করতে যাচ্ছে।
বুলেট ট্রেন চালু করতে তিনটি প্রকল্পের মধ্যে একটি নির্মাণাধীন, একটি অনুমোদিত এবং আরেকটি অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। তবে থাইল্যান্ডের অনেকেই সন্দিহান এই দ্রুত-গতির ট্রেন তাদের জন্য উপযুক্ত হবে কী না তা নিয়ে। প্রকল্পে চীন ঋণ দিতে চেয়েছিলো। চীন থেকে ঋণ নিয়ে এমন মেগাপ্রকল্প কতোটা প্রয়োজনীয়, বিতর্ক উঠেছিলো তা নিয়েও।
চীনের প্রযুক্তিগত সহায়তা নিয়ে নির্মাণাধীন এবং অনুমোদিত প্রকল্প দুটির কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু, চীনের থেকে ঋণ নিতে রাজি হয়নি থাইল্যান্ড।
থাইল্যান্ড চীন থেকে ঋণ নিতে অস্বীকৃত জানালেও, এগুলো চায়নার বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের (বিআরআই) অংশ হবে যা চীনকে এশিয়ার অন্যান্য দেশের সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত করবে।
ব্যাংককের ১০৩ বছর পুরোনো হুয়ালাম্ফং স্টেশনটি নতুনভাবে সাজিয়ে ‘রেল-হাব’ বানানো হচ্ছে। এর জন্য একটি থেকে দুটি রেল ট্র্যাক স্থাপন করা হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে, ২০২১ সালে এটি ব্যবহারের জন্য খুলে দেওয়া হবে।
এই প্রকল্পের আওতায় সুবর্ণভূমি এবং ডন মুয়াং বিমানবন্দরকে আনতে এইচএসআর লাইন নির্মাণের জন্য থাইল্যান্ডের স্টেট রেলওয়ের (এসআরটি) সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে থাইল্যান্ডের সিপি গ্রুপের নেতৃত্বাধীন প্রতিষ্ঠান। এটি সুবর্ণভূমি বিমানবন্দরকে ব্যাংককের মেট্রোরেল ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত করবে।
মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৪ সালে সমাপ্ত হতে যাওয়া ১৩৭ মাইল এই রেল লাইনটি পাতায়ার বাইরে ইউ-তপাও বিমানবন্দরে গিয়ে শেষ হবে। এতে করে ব্যাংকক থেকে পাতায়ার প্রায় ২ ঘণ্টার স্থলপথ সংক্ষিপ্ত হয়ে ৪৫ মিনিটে চলে আসবে।
সুবর্ণভূমি ও ডন মুয়াংয়ে বিমানের চাপের কারণে সৃষ্ট যানজট নিরসনে সেদেশের সরকার ইউ-তপাওতে বিমানবন্দরে প্রায় ১০ শতাংশ ফ্লাইট সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। এটি মহাসড়কগুলিতে যান চলাচলও হ্রাস করবে।
ব্যাংককের থাম্মাসাত বিশ্ববিদ্যালয়ের লজিস্টিক গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক রুথ বানমইয়ং এই রেল লাইনগুলো নির্মাণ সমর্থন করলেও এর উচ্চ ব্যয় এবং তুলনামূলকভাবে স্বল্প দূরত্বে বুলেট ট্রেন সঠিক পছন্দ কী না তা নিয়ে সন্দিহান। এছাড়াও, থাইল্যান্ডের স্টেট রেলওয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ব্যাংকক পোস্টে প্রকাশিত এক খবরে জানা যায়, প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্যে জমি অধিগ্রহণ করতে হবে। যার জন্যে ৩,০০০ বাড়িঘর ভেঙে ফেলতে হবে। এসব বাড়ির মালিকদের অনেকেই আদালতের দ্বারস্থও হচ্ছেন।
তবে এই প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হলে থাইল্যান্ড ভ্রমণে পর্যটকদের বেশ খানিকটা সময় বাঁচাবে।
Comments