বিএসএফের গুলিতে শেরপুরে নিহত ২
শেরপুরের শ্রীবরদী সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) কর্ণঝোড়া সীমান্ত ফাঁড়ির সদস্যরা আজ সোমবার সকালে উপজেলার পানবাড়ি এলাকা থেকে উকিল মিয়ার এবং বিকেলে সীমান্তঘেঁষা কর্ণঝোড়া নদী থেকে খোকন মিয়ার গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেন। এদের মধ্যে উকিল কলেজে পড়ালেখা আর খোকন ব্যবসা করেন। তারা দুজন পরস্পর বন্ধু।
বিজিবি, পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সূত্রে জানা যায়, কিছুদিন আগে উকিল মিয়া শ্রীবরদীর সীমান্তবর্তী বাবেলাকোনা গ্রামে বিয়ে করেন। পরিণয় সূত্রে তিনি মাঝেমধ্যে ওই গ্রামে যেতেন। আজ ভোররাতে উকিল ও তার বন্ধু খোকন ভুল করে সীমান্তের ওপারে চলে যান। এ সময় বিএসএফ সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে দুজনই গুলিবিদ্ধ হন। গুরুতর আহতাবস্থায় উকিল বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের শূন্যরেখার ১০৯২ নম্বর সীমানা পিলারের ২৫০ গজ অভ্যন্তরে শ্রীবরদী উপজেলার পানবাড়ি এলাকায় চলে আসেন এবং সেখানেই মৃত্যুবরণ করেন। পরে সোমবার সকালে বিজিবি, কর্ণঝোড়া সীমান্ত ফাঁড়ির সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তার (উকিল) লাশ উদ্ধার করেন।
অপরদিকে গুলিবিদ্ধ খোকন সীমানা পিলারের অদূরে কর্ণঝোড়া নদীতে পড়ে গিয়ে মারা যান। তাৎক্ষণিকভাবে এলাকাবাসী বিষয়টি বিজিবিকে জানায়নি। পরে খবর পেয়ে বিজিবি সদস্যরা বিকেল তিনটার দিকে কর্ণঝোড়া নদী থেকে খোকনের লাশ উদ্ধার করেন। শ্রীবরদী থানার পুলিশও ঘটনাস্থলে যায়।
বিজিবি, কর্ণঝোড়া সীমান্ত ফাঁড়ির কোম্পানি কমান্ডার খন্দকার আব্দুল হাই বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশির মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, সীমান্তের শূন্যরেখার ওপারে চলে যাওয়ার কারণেই বিএসএফ তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে। এ ব্যাপারে মেঘালয় রাজ্যের তুরা জেলার রিংখিংপাড়া বিএসএফ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডারের সঙ্গে তারা পতাকা বৈঠক করে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন। বিজিবি দুই যুবকের মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত করে দেখছে।
শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রুহুল আমিন তালুকদার বলেন, এ ব্যাপারে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। নিহতদের লাশের সুরতহাল প্রতিবেদনে বুকে গুলির চিহ্ন দেখা গেছে। ময়না তদন্তের জন্য লাশ জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
Comments